ফেসবুকে প্রতারণা: ৮৫ ভরি স্বর্ণালংকারসহ ৩ জন গ্রেপ্তার
Published: 17th, May 2025 GMT
৮৫ ভরি স্বর্ণালংকারসহ একটি সংঘবদ্ধ অনলাইন প্রতারক চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাতে সাভার ও মোহাম্মদপুর এলাকায় পৃথক অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার তিনজন হলেন মো. আসিফুর রহমান (২০), মো. আল আমিন (২৫) ও অনামিকা (২৪)।
আজ শনিবার ডিএমপির গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
ডিএমপির সংবাদ বিজ্ঞপ্তির তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে নিউমার্কেট এলাকার এক নারী প্রতারণার শিকার হন। তিনি ফেসবুকে ‘দোয়া কবুলের অলৌকিক গল্প’ নামের একটি গ্রুপে একটি পোস্ট দেখে ‘তদবীর রুকাইয়া’ নামে একটি আইডির সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এরপর তাঁকে আরেকটি ফেসবুক আইডির লিংক পাঠানো হয়। সেখানে যোগাযোগ করলে তাঁকে জানানো হয়, তাঁর সন্তান না হওয়ার সমস্যার সমাধান করা সম্ভব।
১৮ জানুয়ারি বিকাশের মাধ্যমে ৬ হাজার ১০০ টাকা পাঠাতে বলা হয়। পরে স্বর্ণালংকারসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র পাঠাতে বলা হয় ঝাড়ফুঁকের কথা বলে। সরল বিশ্বাসে ওই নারী ২৫ ভরি স্বর্ণালংকার ও অন্যান্য ব্যবহৃত সামগ্রী কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে পাঠান। এরপর প্রতারক চক্র তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়।
এ ঘটনায় পরে নিউমার্কেট থানায় একটি মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী। মামলা তদন্তে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় পুলিশ প্রথমে সাভারের একটি বাসা থেকে আসিফুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে। তাঁর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী মোহাম্মদপুরের বছিলা এলাকার ফিউচার হাউজিংয়ের একটি বাসা থেকে অপর দুই সদস্য আল আমিন ও অনামিকাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ জানায়, আসামিদের কাছ থেকে ৮৫ ভরি স্বর্ণালংকার, ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা ও দুটি দামি মুঠোফোন জব্দ করা হয়েছে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: স বর ণ ল ক র গ র প ত র কর
এছাড়াও পড়ুন:
গৃহকর্তাকে থাপ্পড় দিয়ে ডাকাত বলে, ‘বসতঘরে সিসি ক্যামেরা কেন লাগিয়েছিস’
বসতঘরের জানালার গ্রিল কেটে ভেতরে ঢোকার সময় ডাকাত সদস্যরা ক্লোজ সার্কিট (সিসিটিভি) ক্যামেরার সংযোগ কেটে দেয়। এরপর বসতঘরের ভেতরে ঢুকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে পরিবারের সদস্যদের একটি কক্ষে নিয়ে আটকে রাখে। এ সময় এক ডাকাত গৃহকর্তার গালে কষে থাপ্পড় দিয়ে বলে, ‘পুরো বসতঘরে সিসি ক্যামেরা কেন লাগিয়েছিস?’
আজ বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের মাদ্রাসাপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এই এলাকার একটি বাড়িতে বসবাস করেন ব্যবসায়ী হেলাল উদ্দিন, বেলাল উদ্দিন ও জালাল উদ্দিন। তাঁরা তিনজনই আপন ভাই। ডাকাতেরা ওই বাড়ির তিনটি আলমারি থেকে চার ভরি সোনা, দুই লাখের কাছাকাছি টাকা ও দুটি মুঠোফোন লুট করে নিয়ে যায়।
আজ বেলা দুইটার দিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন চকরিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সোহবার সাকিব। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ডাকাতি সংঘটিত হওয়ার কিছু আলামত পেয়েছি। পুলিশ ঘটনাটি বিভিন্নভাবে তদন্ত করছে। ডাকাতির শিকার পরিবারের লোকজন সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত থানায় লিখিত অভিযোগ দেননি।’
নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বাড়ির বাইরে ও ভেতরে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগিয়েছিলেন বাড়ির মালিক জালাল উদ্দিন। ভোররাতে ১০ থেকে ১২ সদস্যের মুখোশধারী সশস্ত্র ডাকাত তাঁর বাড়িতে হানা দেয়। কিন্তু সিসিটিভি ক্যামেরার কারণে ডাকাতেরা বাড়ির মূল দরজা দিয়ে আসতে না পেরে একটি কক্ষের জানালার গ্রিল কেটে ভেতরে ঢোকে। এ সময় পরিবারের সদস্যদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করার পর একটি কক্ষে নিয়ে আটকে রাখে। এরপর ডাকাত দলের সদস্যরা তিন ভাইয়ের রুমে থাকা আলমারির চাবি নিয়ে সোনা, টাকা ও মুঠোফোন লুট করে।
জালাল উদ্দিন বলেন, ‘আমাদের বাড়িতে কেন সিসিটিভি ক্যামেরা লাগিয়েছি, তা জানতে চেয়ে ডাকাত দলের এক সদস্য আমাকে একটা চড় মারে। তবে এরপর পরিবারের অন্য সদস্যদের গায়ে আর হাত তোলেনি ডাকাতেরা।’
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, এরই মধ্যে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। থানায় লিখিত অভিযোগ দিলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। তবে ঘটনার সঙ্গে কারা জড়িত, তা বের করার চেষ্টা করছে পুলিশ।