নিরাপদ নির্মাণে আস্থা অর্জনের লক্ষ্যে এনজিএস সিমেন্ট ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড-এর উদ্যোগে চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত হয়েছে ‘লাইফ সাইকেল অফ সিমেন্ট ইন কনস্ট্রাকশন’ শীর্ষক কর্মশালা।

শনিবার (১৭ মে) সন্ধ্যায় নগরের চিটাগং ক্লাব অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত এই কর্মশালায় প্রায় পাঁচ শতাধিক সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রকৌশলী, প্রকৌশল শিক্ষাবিদরা অংশ নেন।

কর্মশালার উদ্দেশ্য ছিল সিমেন্ট-ভিত্তিক নির্মাণের বিভিন্ন পর্যায় সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা প্রদান করা। যার মধ্যে রয়েছে কাঁচামাল সংগ্রহ, উৎপাদন, ব্যবহার, রক্ষণাবেক্ষণ, ভাঙন এবং পরিবেশগত প্রভাব। 

কর্মশালার বিভিন্ন সেশনে সিমেন্ট কনস্ট্রাকশনের লাইফ সাইকেল নিয়ে আলোচনা হয় এবং অংশগ্রহণকারীদের পক্ষ থেকে গ্রুপ প্রেজেন্টেশন ও প্রশ্ন উত্তর পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। কর্মশালা শেষে নির্মাণ খাতের সঙ্গে জড়িত প্রকৗশলীদের নিয়ে সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) উপাচার্য অধ্যাপক ড.

মাহমুদ আব্দুল মতিন ভূঁইয়া। বিশেষ অতিথি ছিলেন-  সাংবাদিকতায় একুশে পদকপ্রাপ্ত এম. এ. মালেক, ইনস্টিটিউশন অফ ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (আইইবি) চট্টগ্রাম কেন্দ্রের চেয়ারম্যান এবং সিডিএ বোর্ড সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মনজারে খোরশেদ আলম, চুয়েট-এর পুরকৌশল ও পরিবেশ প্রকৌশল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সুদীপ কুমার পাল। স্বাগত বক্তব্য দেন এনজিএস সিমেন্ট ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড-এর পরিচালক অভিমন্যু সাহা।

কর্মশালা সমন্বয় করেন ড. সুদীপ কুমার পাল, ইঞ্জিনিয়ার ভাস্কর চৌধুরী, ইঞ্জিনিয়ার লিটন কুমার শর্মা ও আর্কিটেক্ট কানু কুমার দাস। সেমিনারে ড. জি. এম. সাদিকুল ইসলাম ‘ফ্রম ক্রেডল টু কনক্রিট: ট্রেসিং দ্য লাইফ সাইকেল অফ সিমেন্টিসিয়াস মেটেরিয়ালস’ বিষয়ে একটি প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন এনজিএস সিমেন্ট ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক আসিৎ কুমার সাহা।

ঢাকা/রেজাউল/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ম ন ট ইন অন ষ ঠ ত

এছাড়াও পড়ুন:

এস আলম ও পি কে হালদারসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলার অনুমোদন

রিলায়েন্স ফাইন্যান্স লিমিটেড (বর্তমানে আভিভা ফাইন্যান্স লিমিটেড) থেকে প্রায় ২৭০ কোটি টাকার অর্থ আত্মসাৎ ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে এস আলম গ্রুপের কর্ণধার মোহাম্মদ সাইফুল আলম, রিলায়েন্স ফাইন্যান্স লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রশান্ত কুমার (পি কে) হালদারসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে তিনটি পৃথক মামলা দায়েরের অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ বুধবার তাঁদের বিরুদ্ধে মামলার অনুমোদন দেওয়া হয়।

রাজধানীর সেগুনবাগিচা এলাকায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির মহাপরিচালক আক্তার হোসেন সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান। তিনি বলেন, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে নামসর্বস্ব প্রতিষ্ঠানগুলোর নামে ভুয়া কাগজপত্র তৈরি, জালিয়াতি ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিপুল অঙ্কের ঋণ গ্রহণ করে তা আত্মসাৎ এবং পরবর্তী সময়ে মানি লন্ডারিংয়ের মাধ্যমে এস আলম গ্রুপের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানগুলোতে স্থানান্তর করেছেন।

দুদক সূত্র জানায়, প্রথম মামলায় অভিযোগ করা হয়, ‍৩২ কোটি ৫০ লাখ টাকার ঋণ মঞ্জুর করা হয় মেসার্স মোস্তফা অ্যান্ড কোংয়ের নামে। পরে এই অর্থ মেরিন ভেজিটেবল অয়েলস লিমিটেড ও এস আলম সুপার এডিবল অয়েল লিমিটেডের বিভিন্ন হিসাবে স্থানান্তর করা হয়। দ্বিতীয় মামলার অভিযোগে বলা হয়, মেসার্স এ এম ট্রেডিংয়ের নামে ১০৪ কোটি ২০ লাখ ৭৭ হাজার টাকার ঋণ অনুমোদন ও বিতরণ করা হয়। এরপর অর্থটি জালিয়াতির মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যাংক হিসাবে ঘুরিয়ে শেষ পর্যন্ত এস আলম সুপার এডিবল অয়েল লিমিটেডের হিসাবে স্থানান্তর করা হয়।

তৃতীয় মামলায় মেসার্স সাইফুল অ্যান্ড কোংয়ের নামে ৭১ কোটি ৫১ লাখ ৫৯ হাজার টাকা ঋণ নিয়ে একই প্রক্রিয়ায় এস আলম সুপার এডিবল অয়েল লিমিটেডে স্থানান্তর করা হয় বলে অভিযোগ করা হয়েছে।

মামলার বাকি আসামিরা হলেন এস আলম গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুস সামাদ (৫৯), পরিচালক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ হাসান (৪৯), পরিচালক শাহানা ফেরদৌস (৪৯), রিলায়েন্স ফাইন্যান্স লিমিটেডের সাবেক ইভিপি ও ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রধান রাশেদুল হক (৫৪), ম্যানেজার ও করপোরেট ফাইন্যান্স বিভাগের প্রধান নাহিদা রুনাই (৪৪), এসভিপি ও মেম্বার, ক্রেডিট কমিটির কাজী আহমেদ জামাল (৫৯), সাবেক ডেপুটি ম্যানেজার, করপোরেট ফাইন্যান্স জুমারাতুল বান্না (৩৯), মেরিন ভেজিটেবল অয়েলস লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক জহির আহমেদ (৫১), পরিচালক টিপু সুলতান (৪৪), পরিচালক মো. ইসহাক (৬৯), মেসার্স মোস্তফা অ্যান্ড কোংয়ের স্বত্বাধিকারী মো. গোলাম মোস্তাফা (৬০) ও মেসার্স এ এম ট্রেডিংয়ের স্বত্বাধিকারী মো. আবদুল্লাহ আল মামুন (৪২) এবং মেসার্স সাইফুল অ্যান্ড কোম্পানির স্বত্বাধিকারী সাইফুল ইসলাম। তাঁদের মধ্যে প্রথম ১২ জনকে ৩টি মামলাতেই আসামি করা হয়েছে।

দুদকের অভিযোগে বলা হয়েছে, আসামিরা প্রতারণার মাধ্যমে ভুয়া প্রতিষ্ঠান দেখিয়ে ঋণ গ্রহণের পর তা বিভিন্ন ব্যাংক হিসাবে ঘুরিয়ে এস আলম গ্রুপের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানে স্থানান্তর করেন। এর মাধ্যমে একদিকে রাষ্ট্রের অর্থ লোপাট করা হয়েছে, অন্যদিকে মানি লন্ডারিং আইন লঙ্ঘন হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ