যুক্তরাষ্ট্রে টর্নেডোর আঘাতে ২১ জন নিহত
Published: 18th, May 2025 GMT
যুক্তরাষ্ট্রের দুটি অঙ্গরাজ্যে টর্নেডোর আঘাতে অন্তত ২১ জন নিহত হয়েছেন। আরও হয়েছেন আরও অনেকে। মৃত্যুর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
কেন্টাকি অঙ্গরাজ্যের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে সেখানে ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। অপরদিকে মিজৌরি অঙ্গরাজ্যে ৭ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে সেন্ট লুইস শহরে ৫ জন নিহত হয়েছে।
শনিবার ভোরে কেন্টাকির দক্ষিণ-পূর্বে লরেল কাউন্টিতে টর্নেডো আঘাত হানে।
মিজৌরির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, শুক্রবার টর্নেডোর আঘাতে ৫ হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অনেক বাড়ির ছাদ উড়ে গেছে। বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনেরও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
শনিবার বিকেল পর্যন্ত মিজৌরি ও কেনটাকির প্রায় ১ লাখ ৪০ হাজার স্থাপনা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন ছিল। সেন্ট লুইসের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোতে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘরে ঘরে তল্লাশি চালাচ্ছে।
সেন্ট লুইসের মেয়র কারা স্পেন্সার শনিবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, তাঁর এলাকায় অন্তত ৩৮ জন আহত হয়েছেন। বেশিরভাগই ভবন ধ্বস ও গাছ উপড়ে পড়ার কারণে হয়েছে।
কেন্টাকির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সেখানকার অনেকে গুরুতর আহত হয়েছে। লরেল কাউন্টির শেরিফ জন রুট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্টে বলেছেন, ‘ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় জীবিতদের সন্ধানে অনুসন্ধান কার্যক্রম চলছে।’
যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ওয়েদার সার্ভিসের তথ্য অনুযায়ী, স্থানীয় সময় দুপুর আড়াইটার কিছু সময় পর সেন্ট লুইস শহরের পশ্চিম অংশে ফোরেস্ট পার্কের কাছে টর্নেডো আঘাত হানে। সেখানে সেন্ট লুইস চিড়িয়াখানা এবং ১৯০৪ সালের অলিম্পিক গেমসের ভেন্যু অবস্থিত।
সেন্ট লুইস ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, কাছাকাছি অবস্থিত গির্জার একটি অংশ ধসে পড়ার পর তিনজনকে উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়েছে।
দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় রাত ৯টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত কারফিউ জারি করা হয়েছে। যাতে ধ্বংসস্তূপের ভেতরে আটকা পড়াদের আহত হওয়া রোধ করা যায় এবং লুটপাটের সম্ভাবনা কমানো যায়।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র কর ম
এছাড়াও পড়ুন:
হামাস যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব মানতে রাজী, তবে...
ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস জানিয়েছে, তারা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থিত যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব মানতে রাজী তবে গাজায় যুদ্ধের অবসান ঘটাতে হবে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মঙ্গলভার জানিয়েছেন, গাজায় ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতির ‘প্রয়োজনীয় শর্তে’ রাজি হয়েছে ইসরায়েল। তবে তিনি সেই শর্তগুলোর বিস্তারিত প্রকাশ করেননি। নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশালে দেওয়া এক পোস্টে ট্রাম্প লিখেছেন, “শান্তি প্রতিষ্ঠায় কঠোর পরিশ্রম করা কাতার ও মিসরের মাধ্যমে চূড়ান্ত প্রস্তাবটি দেওয়া হবে। আমি আশা করি হামাস এই প্রস্তাব গ্রহণ করবে, কারণ এর চেয়ে ভালো আর কিছু তারা পাবে না- পরিস্থিতি কেবল আরো খারাপ হবে।”
হামাস বুধবার ইসরায়েলের সাথে যুদ্ধবিরতি চুক্তির জন্য উন্মুক্ত থাকার ইঙ্গিত দিয়েছে। কিন্তু ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘোষিত মার্কিন-সমর্থিত প্রস্তাব গ্রহণ করেনি। হামাস তাদের দীর্ঘদিনের অবস্থানের উপর জোর দিয়ে বলেছে, যেকোনো চুক্তির আগে গাজায় যুদ্ধের অবসান ঘটাতে হবে।
হামাস কর্মকর্তা তাহের আল-নুনু বলেছেন, হামাস ‘একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর জন্য প্রস্তুত এবং বিষয়টিতে গুরুত্ব দিচ্ছে।’
তিনি বলেছেন “যে কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করতে প্রস্তুত যা স্পষ্টভাবে যুদ্ধের সম্পূর্ণ অবসান ঘটায়।”
একজন মিশরীয় কর্মকর্তা জানিয়েছেন, প্রস্তাবটি নিয়ে আলোচনা করার জন্য বুধবার কায়রোতে হামাসের একটি প্রতিনিধিদল মিশরীয় এবং কাতারি মধ্যস্থতাকারীদের সাথে দেখা করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
ঢাকা/শাহেদ