যুক্তরাষ্ট্রের দুটি অঙ্গরাজ্যে টর্নেডোর আঘাতে অন্তত ২১ জন নিহত হয়েছেন। আরও হয়েছেন আরও অনেকে। মৃত্যুর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

কেন্টাকি অঙ্গরাজ্যের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে সেখানে ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। অপরদিকে মিজৌরি অঙ্গরাজ্যে ৭ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে সেন্ট লুইস শহরে ৫ জন নিহত হয়েছে।

শনিবার ভোরে কেন্টাকির দক্ষিণ-পূর্বে লরেল কাউন্টিতে টর্নেডো আঘাত হানে।

মিজৌরির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, শুক্রবার টর্নেডোর আঘাতে ৫ হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অনেক বাড়ির ছাদ উড়ে গেছে। বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনেরও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

শনিবার বিকেল পর্যন্ত মিজৌরি ও কেনটাকির প্রায় ১ লাখ ৪০ হাজার স্থাপনা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন ছিল। সেন্ট লুইসের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোতে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘরে ঘরে তল্লাশি চালাচ্ছে।

সেন্ট লুইসের মেয়র কারা স্পেন্সার শনিবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, তাঁর এলাকায় অন্তত ৩৮ জন আহত হয়েছেন। বেশিরভাগই ভবন ধ্বস ও গাছ উপড়ে পড়ার কারণে হয়েছে।

কেন্টাকির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সেখানকার অনেকে গুরুতর আহত হয়েছে। লরেল কাউন্টির শেরিফ জন রুট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্টে বলেছেন, ‘ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় জীবিতদের সন্ধানে অনুসন্ধান কার্যক্রম চলছে।’

যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ওয়েদার সার্ভিসের তথ্য অনুযায়ী, স্থানীয় সময় দুপুর আড়াইটার কিছু সময় পর সেন্ট লুইস শহরের পশ্চিম অংশে ফোরেস্ট পার্কের কাছে টর্নেডো আঘাত হানে। সেখানে সেন্ট লুইস চিড়িয়াখানা এবং ১৯০৪ সালের অলিম্পিক গেমসের ভেন্যু অবস্থিত।

সেন্ট লুইস ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, কাছাকাছি অবস্থিত গির্জার একটি অংশ ধসে পড়ার পর তিনজনকে উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়েছে।

দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় রাত ৯টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত কারফিউ জারি করা হয়েছে। যাতে ধ্বংসস্তূপের ভেতরে আটকা পড়াদের আহত হওয়া রোধ করা যায় এবং লুটপাটের সম্ভাবনা কমানো যায়।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র কর ম

এছাড়াও পড়ুন:

গণিতে দুর্বল, ইংরেজিতে লেটার, কোহলির ১০ম শ্রেণির মার্কশিট ভাইরাল

বিরাট কোহলির টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসরের খবরে যখন দুঃখে ভেঙে পড়েছেন অগণিত ভক্ত, ঠিক তখনই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এসেছে তার স্কুলজীবনের একটি পুরনো মার্কশিট। সম্প্রতি ভাইরাল হয়েছে তার ২০০৪ সালের দশম শ্রেণির সিবিএসই পরীক্ষার মার্কশিট।

ভারতের সেন্ট্রাল বোর্ড অব সেকেন্ডারি এডুকেশন (সিবিএসই) ২০২৫ সালের দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষার ফল প্রকাশ করেছে কিছুদিন আগেই। আর সেই সময়টাতেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফের ছড়িয়ে পড়ে কোহলির দুই দশক আগের মার্কশিট। যদিও এই মার্কশিট প্রথম আলোচনায় এসেছিল ২০২৩ সালে, আইএএস কর্মকর্তা জিতিন যাদবের একটি পোস্টের মাধ্যমে। এবার তা নতুন করে ভাইরাল হয়েছে, বিশেষ করে কোহলির টেস্ট থেকে বিদায়ের আবহে।

ভাইরাল হওয়া মার্কশিট অনুযায়ী, কোহলি দশম শ্রেণির পরীক্ষায় মোট ৬০০ নম্বরের মধ্যে পেয়েছিলেন ৪১৯। ইংরেজি, সমাজবিজ্ঞান ও হিন্দি বিষয়ে তার পারফরম্যান্স ছিল তুলনামূলক ভালো। ইংরেজিতে ৮৩, সমাজবিজ্ঞানে ৮১ এবং হিন্দিতে ৭৫। তবে গণিতে মাত্র ৫১, বিজ্ঞান ও টেকনোলজিতে ৫৫ এবং প্রাথমিক তথ্যপ্রযুক্তিতে ৭৪ নম্বর পেয়েছিলেন কোহলি।

Had marks been the sole factor, the entire nation wouldn't be rallying behind him now.
Passion and Dedication are the key. @imVkohli pic.twitter.com/aAmFxaghGf

— Jitin Yadav (@Jitin_IAS) August 9, 2023

এই মার্কশিট শেয়ার করে আইএএস কর্মকর্তা যাদব লিখেছিলেন, ‘যদি কেবল নম্বরই জীবনের মানদণ্ড হতো, তবে আজ গোটা দেশ কোহলির পাশে দাঁড়াত না। সাফল্যের আসল চাবিকাঠি হলো প্যাশন এবং ডেডিকেশন।’

তার এই বার্তায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক সাড়া পড়ে। একজন ব্যবহারকারী মন্তব্য করেন, ‘কোহলির সঠিক মার্কশিটের সঙ্গে ছিল নিষ্ঠা আর অধ্যবসায়, এই ফর্মুলাই তাকে সাফল্যের শিখরে পৌঁছে দিয়েছে।’

আরও একজন লেখেন, ‘সফলতা কখনও কেবল গণিত কিংবা বিজ্ঞানের নম্বরে সীমাবদ্ধ নয়।’ অন্য একজন যোগ করেন, ‘নম্বর তো শুধু কাগজের কিছু সংখ্যা। জীবনে এগিয়ে যাওয়ার আসল মূল্য নির্ধারণ হয় চেষ্টা, একাগ্রতা ও আত্মসমর্পণের মানসিকতা দিয়ে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ