কাপাসিয়ায় সাংবাদিকের ওপর হামলার ঘটনায় আটক ২
Published: 18th, May 2025 GMT
গাজীপুরের কাপাসিয়ায় যমুনা টেলিভিশনের ক্যামেরাপারসনের ওপর হামলার ঘটনায় দুজনকে আটক করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছেন সেনাবাহিনীর সদস্যরা। গতকাল শনিবার রাত আড়াইটার দিকে তাঁদের কাপাসিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়।
কাপাসিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জয়নাল আবেদীন মণ্ডল প্রথম আলোকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, আটক ব্যক্তিরা হলেন কাপাসিয়ার বানরহাওলা গ্রামের ফরিদ শেখ এবং একই উপজেলার খোদাদিয়া গ্রামের আসফি রহমান (২৮)।
হামলায় আহত যমুনা টেলিভিশনের ক্যামেরাপারসন রকি হোসেনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজধানীর উত্তরার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। স্থানীয় সাংবাদিক মো.
ওসি জয়নাল আবেদীন মণ্ডল বলেন, ‘সেনাবাহিনীর সদস্যরা দুজনকে আটক করে আমাদের কাছে হস্তান্তর করেছেন। আমরা তাঁদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছি।’
আরও পড়ুনকাপাসিয়ায় বিএনপির মতবিনিময় সভা শেষে হামলা, সংবাদকর্মীসহ আহত ৩১৬ ঘণ্টা আগেগতকাল শনিবার বেলা দুইটার দিকে কাপাসিয়া উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের চোরাগআলী মোড় এলাকায় বিএনপির একটি পক্ষ মতবিনিময় সভা করছিল। ওই সময় অপর পক্ষের লোকজন সেখানে হামলা ও ভাঙচুর চালায়। এ সময় যমুনা টেলিভিশনের ক্যামেরাপারসন রকি হোসেন ঘটনাটির ভিডিও ধারণ করছিলেন। তাঁর পরিচয় জানার পরও তাঁকে মারধর করা হয় এবং পাশের সড়কে নিয়ে ব্যাপকভাবে পিটিয়ে আহত অবস্থায় ফেলে রাখা হয়। পরে স্থানীয় লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠান। হামলার সময় তাঁর কাছ থেকে মাইক্রোফোন, আইডি কার্ড, লাইভ ডিভাইস ও ল্যাপটপ ছিনিয়ে নেওয়া হয়।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে দুদকের অভিযান
অতিরিক্ত ফি আদায়, রোগী ও তাদের স্বজনদের সঙ্গে অসদাচরণসহ বিভিন্ন অভিযোগে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের কিডনী ডায়ালাইসিস ইউনিটে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তবে রোগীরা বলছেন, এ ইউনিটে যে সেবা পাচ্ছেন, তাতে তারা সন্তুষ্ট। গত কয়েক মাস আগে একজন চিকিৎসক রোগীদের হয়রানি করেছেন বলে রোগীর স্বজনরা অভিযোগ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত এ অভিযান পরিচালনা করেন নোয়াখালী দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের একটি দল।
দুদক জানায়, ২০১৮ সালে কোনো প্রকার সরকারি অনুমোদন ছাড়া এ ডায়ালাইসিস ইউনিটটি স্থাপন করা হয়। এরপর থেকে এ ইউনিটে বিভিন্ন সময় রোগীদের থেকে অতিরিক্ত ফি আদায়, বাইরে থেকে বেশি মূল্যে পরীক্ষা নিরীক্ষা করানো এবং রোগী ও তাদের স্বজনদের সঙ্গে অসধাচরণ করাসহ বেশ কয়েকটি অভিযোগ পাওয়া যায়। এ সব অভিযোগে ভিত্তিতে দুদক সমন্বিত নোয়াখালী কার্যালয়ের পক্ষ থেকে হাসপাতালের এ ইউনিটতে অভিযান চালানো হয়।
আরো পড়ুন:
এস আলম ও পিকে হালদারসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে দুদকের ৩ মামলা
মামলার উপাদান থাকা সত্ত্বেও এফআরটি দিয়ে অভিযুক্তদের নিষ্পত্তি
তবে অভিযানকালে রোগী ও তাদের স্বজনরা জানান, প্রতিষ্ঠার পর থেকে ইউনিটটি স্বল্প খরচে রোগীদের সেবা দিয়ে আসছে। গত ৪-৫ মাস আগে দায়িত্বে থাকা একজন চিকিৎসক ভর্তিকৃত রোগী ও তাদের স্বজনদের সঙ্গে অসধাচরণ করতেন। হাসপাতালে পরীক্ষা নিরীক্ষার ব্যবস্থা থাকলেও ওই চিকিৎসক রোগীর লোকজনকে বাইরের প্রাইভেট হাসপাতালে পাঠাতেন। এতে করে রোগীরা হয়রানির শিকার হতেন। তবে ওই চিকিৎসক এখন বদলী হয়ে গেছেন।
দুদক জেলা কার্যালয়ের পরিদর্শক মোহাম্মদ ইদ্রিস বলেন, ‘‘অভিযানে আমরা কিছু তথ্য পেয়েছি। এগুলো যাচাই বাছাই করে প্রধান কার্যালয়ে পাঠানো হবে। প্রধান কার্যালয় থেকে সেগুলোর ভিত্তিতে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।’’
ঢাকা/সুজন/বকুল