প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টাসহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিরূপ মন্তব্য করায় কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক সহকারী শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। গতকাল শনিবার জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

সাময়িক বরখাস্ত হওয়া মনিবুল হক বসুনিয়া উপজেলার বিদ্যানন্দ ইউনিয়নের আবুল কাশেম সরকারি বালিকা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা স্বপন কুমার রায় চৌধুরী স্বাক্ষরিত অফিস আদেশে বলা হয়েছে, ‘মনিবুল হক বসুনিয়া’ (ইংরেজিতে) নামে তাঁর ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টাসহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে বিরূপ মন্তব্য পোস্ট করেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ ধরনের পোস্ট করায় সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে। এতে করে সরকারি প্রতিষ্ঠানে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার নির্দেশিকা-২০১৯ (পরিমার্জিত সংস্করণ) এর ৭ ও ১০ অনুচ্ছেদের পরিপন্থী হওয়ায় সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালার ৩ (খ) বিধি অনুযায়ী অসদাচারণের দায়ে অভিযুক্ত করে উক্ত শিক্ষককে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হলো।’

এ ব্যাপারে আজ রোববার সকালে শিক্ষক মনিবুল ইসলাম বসুনিয়া প্রথম আলো বলেন, ‘চার মাস আগের পোস্টের জের ধরে আমাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা দশম গ্রেডের দাবি করায় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা শিক্ষকদের হেয়প্রতিপন্ন করে বলেছিলেন, “না পোষালে চাকরি ছেড়ে চলে যান।” এর পরিপ্রেক্ষিতে সাধারণ শিক্ষকেরা তাঁদের ভাষায় প্রতিবাদ করেছেন। আমি আমার ভাষায় প্রতিবাদ করেছি।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে আজ সকালে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবু নূর মো.

শামসুজ্জামান মুঠোফোনে বলেন, সম্প্রতি শিক্ষা পদক বিতরণ অনুষ্ঠান নিয়ে শিক্ষা উপদেষ্টাকে জড়িয়ে তিনি (মনিবুল ইসলাম) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিরূপ মন্তব্য করেছেন। এতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারের নির্দেশিকা লঙ্ঘন হয়েছে এবং আচরণ বিধিমালা চরমভাবে লঙ্ঘন হওয়ায় তাঁকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

আবু নূর মো. শামসুজ্জামান আরও বলেন, ‘ওই শিক্ষককে চার মাস আগে দশম গ্রেডের দাবিতে শিক্ষকদের পক্ষ নিয়ে করা ফেসবুক পোস্টের কারণে বরখাস্ত করা হয়নি। তিনি জনগণের সমর্থনের জন্য এখন ওই বিষয় টেনে আনছেন।’

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: উপদ ষ ট মন ব ল সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

খুলনায় হোটেল থেকে নারীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার 

খুলনা নগরীর ওয়েস্টার্ন ইন হোটেল থেকে শান্তা ইসলাম (৪২) নামের এক নারীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। 

শুক্রবার (৪ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে হোটেলের তৃতীয় তলার ২০৮ নম্বর কক্ষ থেকে ওই মরদেহ উদ্ধার করা হয়। বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টায় আসমা নাম ব্যবহার করে ওই নারী কক্ষটি ভাড়া নেন।

শান্তা ইসলাম বাগেরহাট জেলার তেলীগাতি গ্রামের আব্দুল খালেকের মেয়ে। তিনি ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় গৃহপরিচারিকা হিসেবে কাজ করতেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।

লাশ উদ্ধারের তথ্য নিশ্চিত করে খুলনা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হাওলাদার সানওয়ার হুসাইন মাসুম বলেছেন, বৃহস্পতিবার ঢাকা থেকে খুলনায় আসেন ওই নারী। তিনি হোটেলের তৃতীয় তলার ২০৮ নম্বর কক্ষ ভাড়া নেন। শুক্রবার সকালে তিনি হোটেলে নাস্তা করেন। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে হোটেল কর্তৃপক্ষ কক্ষটি পরিষ্কার করতে গিয়ে ডাক দিলে ভেতর থেকে কোনো সাড়া-শব্দ পাওয়া যায়নি। বিকেল ৪টা ২০ মিনিটের দিকে হোটেল কর্তৃপক্ষ পুলিশকে বিষয়টি জানায়। পুলিশ হোটেলের ওই কক্ষের তালা ভেঙে ভেতরে ঢুকে শান্তা ইসলামের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে। 

পুলিশ লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করেছে। শান্তার কাছে একটি জন্মসনদ পাওয়া গেছে। তার সনদের ওপর ঢাকার একটি গৃহপরিচারিকা সাপ্লাই কোম্পানির ঠিকানা পাওয়া গেছে। যোগাযোগ করে সেখান থেকে তার পরিচয় জানা গেছে।

ঢাকা/নূরুজ্জামান/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ