সাবেক পাট ও বস্ত্র মন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক, তার স্ত্রী সৈয়দা আরজুমান বানু, মেয়ে এস আমরীন রাখী, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ক্যাপ্টেন এবিএম তাজুল ইসলামসহ ২০ জনের বিদেশ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত।

রবিবার (১৮ মে) ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. জাকির হোসেন গালিব দুদকের পৃথক তিন আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।

নিষেধাজ্ঞা দেওয়া অন্যরা হলেন প্রিমিয়ার ব্যাংকের মহাখালী শাখার সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক রানা আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ আবসার, টিএনজি গ্রুপের চেয়ারম্যান শাহিদা হোসেন, ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহাদাৎ হোসেন শামীম, ম্যাক্সিম এক্সপো এ্যাপারেল লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো.

শফিকুর রহমান, অলিম্পিক ফ্যাশন লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. গোলাম কিবরিয়া, পরিচালক মো. গোলাম মাওলা মজুমদার, রেদওয়ান বিন কিবরিয়া, রিফাত বিন কিবরিয়া, টিআরজেড গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের পরিচালক হারুন অর রশীদ, নাসিমা রশীদ, খান টেক্স ফ্যাশন লিমিটেডের চেয়ারম্যান মোহাম্মাদ হোসেন খান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক হুমায়ুন কবীর সেলিম, পরিচালক লুবনা কবীর সেলিম, পরিচালক, সিফাত হোসেন খান, এ্যাপারেলস লিমিটেডের চেয়ারম্যান মো. ফিরোজ আহমেদ এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. খায়ের মিয়া। 

আরো পড়ুন:

খালেদা-তারেকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা
দুদকের সাবেক ৩ চেয়ারম্যান ও সচিবের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন

দুই উপদেষ্টার সাবেক ব্যক্তিগত কর্মকর্তা ও এনসিপি নেতাকে দুদকে তলব

দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম এসব তথ্য জানান। 

এদিন দুদক পরিচালক জালাল উদ্দিন আহাম্মদ জাহাঙ্গীর কবির নানকের পরিবারের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন। আবেদনে বলা হয়, নানক ও তার পরিবার দেশ ছেড়ে বিদেশে পালিয়ে যেতে পারে তদন্তকালে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়। তারা পালিয়ে গেলে মামলার কার্যক্রম দীর্ঘায়িত ও ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তাদের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা প্রদান করা প্রয়োজন। 

তাজুল ইসলামের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন সংস্থার সহকারী পরিচালক হাবিবুর রহমান। আবেদনে বলা হয়, তাজুল ইসলামের বিরুদ্ধে বিপুল অর্থবৈভবের মালিক হওয়ার অভিযোগের অনুসন্ধান চলমান রয়েছে। অভিযোগের অনুসন্ধান চলমান সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিচারিক প্রক্রিয়া এড়াতে যে কোনো সময় দেশত্যাগের আশঙ্কা রয়েছে। তদন্তের স্বার্থে তার বিদেশ গমনের সুযোগ রহিত করা প্রয়োজন।
অন্যদিকে দুদকের সহকারী পরিচালক বিলকিস আক্তার ১৬ জনের নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন।

ঢাকা/এম/

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ত জ ল ইসল ম

এছাড়াও পড়ুন:

বৃক্ষরোপণের স্থান নির্বাচন

আমরা আমাদের জমির যেকোনো স্থানে বৃক্ষ রোপণ করতে পারি, তাতে কারও কোনো সমস্যা থাকার কথা নয়। কিন্তু জমির সীমানা ঘেঁষে রোপণ করা বৃক্ষটি যখন বড় ও মোটাকৃতির হয়ে ওঠে, তখন আমাদের প্রতিবেশীকে নানামুখী সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। যেমন বৃক্ষ বৃহদাকার হওয়ার কারণে প্রতিবেশীর দেয়াল ফেটে যায়, বৃক্ষের ফুল-ফল-পাতা প্রতিবেশীর বাড়ির উঠানে ঝরে পড়ে আঙিনা নোংরা হয়।

বিশেষ করে ঝড়বৃষ্টির দিন প্রতিবেশীর ঘরের ওপর গোটা বৃক্ষ ভেঙে পড়েছে বা বৃক্ষের মোটা ডাল ভেঙে পড়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটেছে—এমন সংবাদ নতুন নয়। তবু আমরা বৃক্ষ রোপণ করার সময় প্রতিবেশীর দুর্ভোগের কথা একেবারেই ভাবি না; বরং নিজের খেয়ালখুশিমতো নির্বাচিত স্থানে বৃক্ষ রোপণ করে থাকি।

বৃক্ষ রোপণের ক্ষেত্রে ভবিষ্যতের কথা ভেবে যথোপযুক্ত স্থান নির্বাচন করতে হবে এবং প্রতিবেশীর কোল ঘেঁষে বৃক্ষ রোপণ না করে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখার ব্যাপারে সবাইকে সচেতন হতে হবে।

হাসিবুল হাসান ভূঁইয়া

শিক্ষার্থী, ওয়ালী নেওয়াজ খান কলেজ, কিশোরগঞ্জ

সম্পর্কিত নিবন্ধ