কানের লাল গালিচা: সাজসজ্জায় উর্বশীর ব্যয় ২ হাজার কোটি টাকা!
Published: 19th, May 2025 GMT
ফ্রান্সের দক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চলের শহর কানে বসেছে চলচ্চিত্রজগতের সম্মানজনক আসর কান চলচ্চিত্র উৎসব। গত ১৩ মে এ উৎসবের ৭৮তম আসরের পর্দা উঠেছে। বরাবরের মতো এবারের আসরেও আবেদনময়ী লুকে রূপের দ্যুতি ছড়িয়েছেন বলিউড অভিনেত্রী উর্বশী রাউতেলা।
কানের লাল গালিচায় উর্বশীর হাঁটার ছবি ছড়িয়ে পড়েছে নেট দুনিয়ায়। তাতে দেখা যায়, উর্বশীর পরনে অফ শোল্ডার গাউন। চোখে নীল আইশ্যাডো। মাথায় ক্রিস্টালের হেয়ারব্যান্ড। কানে মানানসই দুল। তবে সবচেয়ে বেশি চোখে পড়েছে অভিনেত্রী চড়া মেকআপ। এবার উর্বশীর সঙ্গে মূল্যবান একটি টিয়া পাখিও ছিল।
কানের লাল গালিচায় যে গাউন, জুয়েলস, অ্যাকসেসরিস ব্যবহার করেছেন উর্বশী রাউতেলা; এসবের মোট মূল্য ১৫৫.
গাউন: উর্বশীর পরনের গাউনটি তৈরি করতে খরচ হয়ছে ৪.৮৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৫৮ কোটি ৯৯ লাখ টাকার বেশি)
রত্ন: মুসাইফ রেড, ওপেনহাইমার ব্লু, ড্রেসডেন গ্রিন এবং টিফানি ইয়েলোর মতো অতি-বিরল হীরা ব্যবহার করেন উর্বশী। যার মূল্য প্রায় ১৫১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় ১ হাজার ৮৪০ কোটি ৩৮ লাখ টাকার বেশি)।
ক্লাচ: কৃত্রিম একটি টিয়া পাখি নিয়ে লাল গালিচায় হাজির হন উর্বশী। লাল হীরা খচিত জুডিথ লিবার স্কারলেট প্যারট ক্লাচটির মূল্য ৫ হাজার ৪৯৫ মার্কিন ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৬ লাখ ৬৭ হাজার টাকার বেশি)।
৬ মাসে তৈরি, পরতে সময় লাগে ৭ ঘণ্টা
উর্বশীর পরনের গাইনের নাম— মাইকেল সিনকো। এটি বিশেষভাবে তৈরি করা হয়। গাউনটিতে মেক্সিকান শিল্পের একটি জটিল মোজাইক ব্যবহার করা হয়েছে; যা তাদের সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক অনুপ্রেরণা এবং কারুশিল্পের পরিচিতি। গাউনটি তৈরি করতে সময় লেগেছে ৬ মাস। মজার ব্যাপার হলো— উর্বশী রেড কার্পেটে হাঁটার আগে গাউনটি নিখুঁতভাবে পরতে ৭ ঘণ্টা সময় লেগেছিল।
উর্বশী অভিনীত সর্বশেষ মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা ‘ডাকু মহারাজ’। গত ১২ জানুয়ারি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় তেলেগু ভাষার এই সিনেমা। এর কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন দক্ষিণী সিনেমার বরেণ্য অভিনেতা নান্দামুরি বালাকৃষ্ণা। গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র রূপায়ন করেন উর্বশী রাউতেলা। সিনেমাটির ‘দাবিডি ডিবিডি’ শিরোনামের গানে নেচে বিতর্কের মুখে পড়েন তিনি। তবে বক্স অফিসে বেশ সাড়া ফেলে সিনেমাটি।
এখন পর্যন্ত সুন্দরী প্রতিযোগিতায় সবচেয়ে বেশি বিজয়ী হওয়ার রেকর্ড রয়েছে উর্বশীর দখলে। পাশাপাশি বলিউডের ‘সিং সাব দি গ্রেট’, ‘সনম রে’, গ্রেট গ্র্যান্ড মাস্তি’, ‘হেট স্টোরি ফোর’, ‘পাগলপান্তি’ প্রভৃতি সিনেমায় অভিনয় করেছেন এই অভিনেত্রী।
তথ্যসূত্র: সিয়াসাত ডটকম
ঢাকা/শান্ত
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ছাদখোলা বাসে শিরোপা উদযাপন ইয়ামালদের
শুধু ট্রফি জেতাই নয়, সেটা নিয়ে উৎসব করাটাও যে একধরনের শিল্প তা যেন আরও একবার প্রমাণ করল বার্সেলোনা।
কাতালান ক্লাবটি যখন স্পেনের ঘরোয়া ফুটবলের তিনটি শিরোপাই নিজের করে নেয়, তখন সেটাকে উদযাপন করতে হয় একটু ভিন্নভাবেই। তাই তো লা লিগা জয়ের পর কাতালুনিয়ায় ছাদখোলা বাসে চড়ে উদযাপনে নামে ইয়ামাল-পেদ্রি-রাফিনিয়রা।
স্প্যানিশ সুপার কাপ, কোপা দেল রে ও সর্বশেষ লা লিগা সবক’টি শিরোপাই এখন বার্সার ঘরে। ইউরোপিয়ান মঞ্চে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ সেমিফাইনালে হোঁচট খেলেও ঘরোয়া ট্রেবল জিতে নিজেদের শ্রেষ্ঠত্বের বার্তা ছড়িয়ে দিয়েছে ক্লাবটি। এই অনন্য অর্জনের আনন্দ শুধু খেলোয়াড়দের মাঝে সীমাবদ্ধ থাকেনি। বার্সার প্রতিটি সাফল্যে অবিচ্ছেদ্য অংশ যে তাদের প্রাণপ্রিয় সমর্থকরা, তাদের সঙ্গেও এই জয় ভাগাভাগি করে নিতে ছাদখোলা বাসে চড়েছে বার্সার পুরো স্কোয়াড।
বাসে করে ইয়ামাল পেদ্রিরা ঘুরেছে কাতালান অঞ্চলের ব্যস্ততম সড়কগুলো। সেই রাস্তাগুলো যেন রূপ নিয়েছিল এক বিশাল উৎসবমুখর জনসমুদ্রে। রাস্তার দুই ধারে হাজারো সমর্থকের চোখেমুখে ছিল উচ্ছ্বাস, গলায় ছিল জয়ধ্বনি। তাদের হাত ছুঁয়ে যাচ্ছিল ঘরোয়া ট্রেবলের তিনটি ট্রফি।
বাসে থাকা ফুটবলাররা পরেছিলেন বিশেষ জার্সি। নেচেছেন, গেয়েছেন, সমর্থকদের উদ্দেশে দিয়েছেন ধন্যবাদ ও ভালোবাসা জড়ানো বার্তা।
কোচ হ্যান্সি ফ্লিকও ছিলেন উৎসবের প্রাণভোমরা। বিজয় প্যারেড সম্পূর্ণ করলেও এই মৌসুমে বার্সার এখনও দুটি ম্যাচ বাকি। এরপর তারা যাবে বিশ্রামে।
ছাদখোলা বাসে উদযাপনের মধ্যেও আগামী মৌসুমেও দাপটের সঙ্গে খেলার আশ্বাস দিয়েছেন রাফিনিয়া, ইয়ামাল ও পেদ্রিরা।