জবিতে মানসিক স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধিতে সেমিনার
Published: 19th, May 2025 GMT
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ‘মেডিটেশনই হতে পারে মুক্তির পথ’ শীর্ষক ব্যতিক্রমধর্মী ট্রমা ম্যানেজমেন্ট সেমিনারের আয়োজন করা হয়েছে।
সোমবার (১৯ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমি ব্যবস্থাপনা ও আইন বিভাগ এবং কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের যৌথ উদ্যোগে ‘টোটাল ফিটনেস ও ট্রমা ম্যানেজমেন্ট’ শিরোনামে সেমিনারটি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ব্যস্ততা, ব্যক্তিগত জীবনের টানাপোড়েন ও ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা শিক্ষার্থীদের মাঝে যে মানসিক চাপ তৈরি করে, তা আজ আর গোপন নয়। হতাশা, উদ্বেগ ও আত্মবিশ্বাসের ঘাটতির মতো সমস্যাগুলো প্রতিনিয়ত তাদের মধ্যে বাড়ছে। এ বাস্তবতাকে সামনে রেখেই এই সেমিনারটি আয়োজন করা হয়।
আরো পড়ুন:
অচলাবস্থার মধ্যেই ক্যাম্পাস ত্যাগ করলেন কুয়েট উপাচার্য
শিক্ষার্থী নির্যাতনের প্রতিবাদ পাবিপ্রবি শিক্ষকের
সেমিনারে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে হাতে-কলমে মেডিটেশনের বিভিন্ন কৌশল শেখানো হয়, যা মানসিক চাপ থেকে মুক্তি পেতে কার্যকর হতে পারে। অংশগ্রহণকারীদের নিয়মিত মেডিটেশন চর্চার মাধ্যমে মনের ভারসাম্য বজায় রাখার পরামর্শ দেন আয়োজকেরা।
সেমিনারে অংশগ্রহণকারী জবি শিক্ষার্থী মো.
কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের ফিজিশিয়ান ও হেলথ কাউন্সিলর ডা. দেওয়ান ওয়াসিফ জালাল বলেন, “মানসিক ফিটনেস অর্জনের সবচেয়ে বৈজ্ঞানিক উপায় হচ্ছে মেডিটেশন। বিশ্বের সবচেয়ে সুখী মানুষটির উপর গবেষণায় দেখা যায়, তিনি টানা ৪০ বছর মেডিটেশন করেছেন। এই অভ্যাসই তাকে মানসিকভাবে পরিপূর্ণ করে তুলেছে।”
সেমিনারে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন। তারা নিজেদের মধ্যে অভিজ্ঞতা ও মতামত ভাগ করে নেন।
ঢাকা/লিমন/মেহেদী
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
পাট খাতের উন্নয়নে টেকসই বাজার প্রবেশ প্রশিক্ষণ কর্মসূচি
বাংলাদেশের পাট খাতকে টেকসই ও বৈচিত্র্যময় করে আন্তর্জাতিক বাজারে প্রবেশাধিকার সহজতর করতে শুরু হলো ‘টেকসই বাজার প্রবেশ প্রশিক্ষণ কর্মসূচি’।
বুধবার (২ জুলাই) ঢাকায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের জেনেভা-ভিত্তিক বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) উন্নত সমন্বিত কাঠামো (ইআইএফ) এবং আন্তর্জাতিক বাণিজ্য কেন্দ্রের (আইটিসি) সহযোগিতায় এ কর্মসূচির উদ্বোধন হয়।
ইআইএফ ও আইটিসির যৌথ কারিগরি সহায়তায় বাস্তবায়িত এ কর্মসূচিতে জাতীয় বাস্তবায়ন ইউনিট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ডব্লিউটিও অনুবিভাগ।
আরো পড়ুন:
জুলাই আন্দোলন নিয়ে ছাত্রশিবিরের ৩৬ দিনব্যাপী কর্মসূচি
দাবি না মানলে এনবিআরের সব দপ্তর হবে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’
পাটখাতভিত্তিক ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের রপ্তানি সক্ষমতা বৃদ্ধি, পাটজাত পণ্যের বৈচিত্র্য আনয়ন, মানের টেকসই রক্ষা, পণ্যের পরিচিতি ও বিপণন কৌশল বিষয়ে দক্ষতা বৃদ্ধি- এই তিন মাসব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মসূচির মূল লক্ষ্য।
জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর ২০২৫ পর্যন্ত চলমান এ কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে ধারাবাহিক অনলাইন প্রশিক্ষণ, একক পরামর্শ প্রদান সেশন এবং একটি তিন দিনব্যাপী সরাসরি ও ব্যবহারিক কর্মশালা।
কর্মসূচির অংশ হিসেবে ‘শিল্পের বর্তমান অবস্থা’ শীর্ষক প্রথম সেমিনারটি পাটজাত পণ্য বৈচিত্র্যকরণ প্রচার কেন্দ্রের (জেডিপিসি) অডিটরিয়ামে সরাসরি এবং অনলাইন প্ল্যাটফর্মে একযোগে অনুষ্ঠিত হয়। সরাসরি ১০০ জন এবং অনলাইনে ১৪৫ জন অংশগ্রহণকারী এতে যুক্ত হন।
অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ছিলেন উদ্যোক্তা, রপ্তানিকারক ও আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহযোগী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ডব্লিউটিও অনুবিভাগের প্রধান ও ইআইএফ এর বাংলাদেশ ফোকাল পয়েন্ট ড. নাজনীন কাউসার চৌধুরী। স্বাগত বক্তব্য দেন বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় এবং ইআইএফ এর প্রতিনিধিরা।
প্রশিক্ষণ কর্মসূচি সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরেন আন্তর্জাতিক বাণিজ্য কেন্দ্রের প্রকল্প সমন্বয়কারী মি. ডুক ড্যাং। পাট খাতের বর্তমান চিত্র এবং ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা নিয়ে মূল উপস্থাপনা দেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ব্যবসা কৌশল বিশেষজ্ঞ মিস টারা মুলহেয়ার।
আয়োজকরা আশা করছেন, এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচির মাধ্যমে বাংলাদেশের পাটখাতভিত্তিক উদ্যোক্তারা আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় টিকতে আরো বেশি সক্ষম হবেন এবং দেশের রপ্তানি সম্ভাবনা আরো বাড়বে।
ঢাকা/এএএম/মেহেদী