ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়েরর (ইবি) পরীক্ষা দিতে এসে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের এক নেতা আটক হয়েছেন।

মঙ্গলবার (২০ মে) সাড়ে ১২টার দিকে পরীক্ষা দেওয়ার সময় টিএসসিসি থেকে তাকে আটক করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডির সহায়তায় থানায় সোপর্দ করেন শিক্ষার্থীরা। 

আটক শাহারিয়ার হিমেল (২২) বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। তিনি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক।

আরো পড়ুন:

গোবিপ্রবিতে প্রথমবারের মতো উপাচার্য সম্মাননা পেলেন শিক্ষার্থীরা

রাবির মেডিকেলে চেয়ার দিল ইবনে সিনা ট্রাস্ট

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ছাত্রলীগ নেতা হিমেল বিভাগের ড্রয়িং পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য আসছিলেন। আন্দোলন চলাকালে ফেসবুকে বিভিন্ন সময় আন্দোলনবিরোধী পোস্ট দিয়েছেন। এছাড়া নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সহ-সম্পাদক থাকাকালে বিভিন্ন অপকর্মে লিপ্ত ছিলেন।

তবে আটক শাহরিয়ার হিমেল বলেন, “আমি আন্দোলনের সময় শিক্ষার্থীদের গ্রাফিতি করেছিলাম। এরপরও আমার সঙ্গে এমনটি করা হয়েছে। আমার সঙ্গে অন্যায় করা হয়েছে।”

আটকের বিষয়ে ইবি থানার ভারপ্রাপ্ত পরিদর্শক (ওসি) মেহেদী হাসান বলেন, “তাকে শিক্ষার্থীরা থানায় দিয়েছেন। তিনি নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের সঙ্গে সম্পৃক্ত বলে জেনেছি। পরবর্তীতে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”

ঢাকা/তানিম/মেহেদী

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আটক পর ক ষ

এছাড়াও পড়ুন:

ঢাবি উপাচার্য-প্রক্টরসহ ৩ জনকে আইনি নোটিশ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) হাজী মুহম্মদ মুহসিন হলে নিজের সিট ফিরে পাওয়াসহ তিন দফা দাবিতে উপাচার্য, প্রক্টর ও হলটির প্রাধ্যক্ষ বরাবর আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন এক শিক্ষার্থী।

ওই শিক্ষার্থী হলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের আলোচিত ভিপি পদপ্রার্থী জালাল আহমদ ওরফে জ্বালাময়ী জালাল। 

আরো পড়ুন:

রাবিতে পোষ্য কোটা পুনর্বহাল, উত্তাল রাতের ক্যাম্পাস

চাকসু: ৩ পদ শূন্য রেখে বামপন্থিদের ‘বৈচিত্র্যের ঐক্য’ প্যানেল ঘোষণা

বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সুপ্রীম কোর্টের অ্যাডভোকেট বেল্লাল হোসাইন (মুন্সী বেল্লাল) স্বাক্ষরিত এক আইনি নোটিশে তিনি ঢাবি প্রশাসনের কাছে তিন দফা দাবি জানান।

জালাল আহমদ অভিযোগ করে জানান, হলে বহিরাগত ও মেয়াদোত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ায় তাকে পরিকল্পিতভাবে ফাঁসানো হয়েছে। এ সময় নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ নেতাদের মদদে তার ওপর মব হামলাও চালানো হয়। কিন্তু তদন্ত ছাড়াই হল প্রাধ্যক্ষ তাকে বহিষ্কার করেন এবং প্রশাসন তার নামে হত্যাচেষ্টা মামলা দায়ের করে।

এর আগে, হলের রুমমেটকে মারধর এবং ভাঙা টিউবলাইট দিয়ে আঘাত করার ঘটনায় জালাল আহমদ ওরফে জ্বালাময়ী জালালের বিরুদ্ধে ‘হত্যাচেষ্টা’ মামলা করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। হাজী মুহাম্মদ মুহসীন হলের প্রাধ্যক্ষ মো. সিরাজুল ইসলাম বাদী হয়ে রাজধানীর শাহবাগ থানায় এ মামলা করেন এবং ২৭ আগস্ট তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয় আদালত। এরপর গত ১১ সেপ্টেম্বর আদালত জামিন মঞ্জুর করলে কারাগার থেকে মুক্ত হন জালাল।

ওই শিক্ষার্থীর দাবিগুলো হলো— হামলার সঙ্গে জড়িতদের শাস্তি ও প্রশাসনের ক্ষমা প্রার্থনা; অবৈধভাবে বাতিল হওয়া তার বৈধ সিট ফেরত দেওয়া; বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে বহিরাগত ও মেয়াদোত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের উচ্ছেদ করা।

ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ