মুন্সীগঞ্জে সাবেক এমপি বিপ্লবের ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর
Published: 1st, July 2025 GMT
মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ফয়সাল বিপ্লবের সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে মুন্সীগঞ্জের শহরে শ্রমিক সজল হত্যা মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মঙ্গলবার (১ জুলাই) সকাল ৯টার দিকে এই রায় দেওয়া হয়।
মুন্সীগঞ্জ শহরে ত্রিমুখী সংঘর্ষে সজল হত্যা মামলার প্রধান আসামি হিসেবে সাবেক এমপি ফয়সাল বিপ্লবকে মুন্সীগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আশিকুর রহমানের আদালতে হাজির করা হয়।
গত ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় মুন্সীগঞ্জ শহরে সজল নামে এক শ্রমিক নিহত হন।
মঙ্গলবার সকালে আআদালতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সজীব দে ফয়সাল বিপ্লবকে ১০ দিনের রিমান্ডে চেয়ে জিজ্ঞাসাবাদের আবেদন করেন। রাষ্ট্রের পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আব্দুল হালিম আর ফয়সাল বিপ্লবের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন, অ্যাডভোকেট শাহিন মোহাম্মদ আমানউল্লাহ। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
ফয়সাল বিপ্লবকে গত ২২ জুন ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রথমে তাকে যুবদল নেতা শামীম হত্যা মামলার আসামি দেখিয়ে ঢাকা আদালতে ওঠানো হয়। সেখান থেকে কেন্দ্রীয় কারাগারে রাখা হয়।
গতকাল সোমবার দুপুরে তাকে মুন্সীগঞ্জ কারাগারে স্থানান্তর করা হয়। আদালতের নির্দেশে ফয়সাল বিপ্লবকে আবারো মুন্সীগঞ্জ কারাগারে পাঠানো হয়েছে। পরে জেলা যুবদল ও ছাত্রদলের কর্মীরা ফয়সাল বিপ্লবের বিচার চেয়ে একটি বিক্ষোভ মিছিল করেন।
এ ব্যাপারে মুন্সীগঞ্জ কোর্ট পুলিশের ইন্সেপ্রেকটর মো.
প্রসঙ্গত, গত ৪ আগস্ট মুন্সীগঞ্জ শহরে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় পুলিশ ও স্থানীয় রাজনৈতিক কর্মীদের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষে মোহাম্মদ সজলসহ তিনজন নিহত হন এবং দুইজন গুরুতরসহ আহত হন দুই শতাধিক ছাত্র জনতা। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত তিনটি পৃথক হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
ঢাকা/রতন/এস
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ল ব প লবক জ র কর
এছাড়াও পড়ুন:
ভাইকে বাঁচাতে বান্ধবীকে ফাঁসানোর অভিযোগ
পাবনার ভাঙ্গুড়ায় ঘুমন্ত অবস্থায় বান্ধবীর ছবি তুলেছিলেন ভাই। বিষয়টি নিয়ে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানালে ভাইকে বাঁচাতে উল্টো বান্ধবীর নামে মিথ্যা চুরির মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে তানিয়া হক নামের এক নারীর বিরুদ্ধে।
এছাড়াও চুরির ঘটনার কোনো তদন্ত ছাড়াই মামলা নেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে থানা পুলিশের বিরুদ্ধে।
মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে পাবনা জেলা জজকোর্টের সামনে গণমাধ্যমকে এসব কথা বলেন ভুক্তভোগী নারী ইফফাত মোকাররমার আইনজীবী অ্যাডভোকেট আব্দুল্লাহ আল মামুন রাসেল।
পাবনা সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আখতারুজ্জামানের আদালত ভুক্তভোগী নারী ইফফাত মোকাররমা সানিমুনকে জামিন দিয়েছেন।
অ্যাডভোকেট আব্দুল্লাহ আল মামুন রাসেল বলেন, “আমার মক্কেল ইফফাত মোকাররমা দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষকতায় পেশায় নিয়োজিত। তিনি একজন সম্মানিত লোক। মামলার বাদীর সঙ্গে তার দীর্ঘদিন বন্ধুত্বের সম্পর্ক। সেই সম্পর্কের কারণে তার বান্ধবীর বাসায় গিয়েছিলেন এবং একসঙ্গে ঘোরাঘুরির পর যখন রাত্রীযাপন করছিলেন সেই সময়ে বাদীর ভাই ইফফাত মোকাররমার ছবি তুলেছিলেন। বিষয়টি টের পেয়ে তিনি তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ জানান এবং ছবিগুলো দেখানোর জন্য অনুরোধ করেন। এ নিয়ে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। পরেরদিন সকালে আইনী পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলে ইফফাত মোকাররমা ঢাকায় চলে যান এবং সেখানে জিডি করেন। কিন্তু এই ঘটনা ধামাচাপা দিতে উল্টো ইফফাত মোকাররমার বিরুদ্ধে মিথ্যা চুরির মামলা দায়ের করেন তার বান্ধবী।”
তিনি আরো বলেন, “বাদী তানিয়া হক উল্লেখ করেছেন ২৬ লাখ টাকার স্বর্ণালঙ্কার চুরি হয়েছে যা তিনি তার শরীরে পড়ে তার বান্ধবীর সঙ্গে ঘুড়ে বেড়িয়েছিলেন। কিন্তু ওইদিনের ঘোরাঘুরির ছবিতে তার শরীরে কোনো স্বর্ণালঙ্কার ছিল না। এছাড়াও ঘটনার দুইদিনের মাথায় যেভাবে মামলা গ্রহণ করা হয়েছে তাতে বোঝা যায় কোনো তদন্ত ছাড়াই থানা কোনো পক্ষ থেকে প্রভাবিত হয়ে মামলা গ্রহণ করেছেন।”
ভুক্তভোগী নারী ইফফাত মোকাররমা বলেন, “এই মামলার নূন্যতম প্রমাণ নেই। আমি যে একজন শিক্ষক হিসেবে আমার ছাত্রদের সামনে দাঁড়াবো সেই অবস্থাও তারা আমাকে রাখেনি। আমার সন্তানসহ পুরো পরিবার সামাজিকভাবে হেয় পতিপন্ন হচ্ছে। আমি চাই ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হোক।”
এ বিষয়ে মামলার বাদীর তানিয়া হকের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করে ফোন রিসিভ না করায় মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
তবে ভাঙ্গুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম বলেন, “উনি (আইনজীবী) উনার মক্কেলের জন্য এসব কথা বলতেই পারেন। উনার মক্কেলকে সুবিধা দেওয়ার জন্য এসব অভিযোগ করেছেন। কিন্তু ঘটনার তদন্ত করে এবং আইনানুগভাবেই মামলা দায়ের হয়েছে, যা এখনও তদন্ত চলছে।”
ঢাকা/শাহীন/এস