স্বাস্থ্য খাতের সুপারিশগুলোর সামাজিক বৈধতা প্রয়োজন
Published: 20th, May 2025 GMT
স্বাস্থ্য খাত সংস্কার কমিশনের প্রস্তাব ও সুপারিশগুলোর সামাজিক বৈধতা প্রয়োজন। সাহসী সুপারিশগুলো পৃথকভাবে চিহ্নিত করা দরকার। অন্তর্বর্তী সরকার কোন কোন সুপারিশ বাস্তবায়ন শুরু করতে পারে, সেগুলোও বাছাই করা যেতে পারে।
স্বাস্থ্য খাত সংস্কার প্রতিবেদন নিয়ে আজ মঙ্গলবার সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে আয়োজিত আলোচনা অনুষ্ঠানে জনস্বাস্থ্যবিদ ও অর্থনীতিবিদেরা এসব কথা বলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউট এই আলোচনা সভার আয়োজন করে।
আলোচনা অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য খাত সংস্কার কমিশনের তিনজন সদস্য, দেশের শীর্ষ স্থানীয় জনস্বাস্থ্যবিদ, বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি, সাংবাদিক এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক–শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।
সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও অনুষ্ঠানের সঞ্চালক হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, সাহসী বা অত্যন্ত দৃঢ় সুপারিশগুলোই স্বাস্থ্য খাত সংস্কারে ভূমিকা রাখবে। প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবাকে আইনি স্বীকৃতি দেওয়া বা অত্যাবশ্যকীয় ওষুধের তালিকা হালনাগাদ করার পাশাপাশি ওষুধপ্রাপ্তির সুপারিশগুলো সাহসী। এগুলো বাস্তবায়িত হলে স্বাস্থ্য খাতে পরিবর্তন আসবে।
হোসেন জিল্লুর বলেন, শূন্য পদ পূরণের মতো সুপারিশগুলো প্রয়োজনীয় হলেও তা স্বাস্থ্য খাত সংস্কারে ভূমিকা রাখবে না। কোন সুপারিশগুলো সংস্কারে ভূমিকা রাখবে, সেগুলো চিহ্নিত করা প্রয়োজন। তিনি আরও বলেন, সংস্কার প্রস্তাবগুলোর সামাজিক বৈধতা প্রয়োজন। সামাজিক বৈধতা পেলে বাস্তবায়ন সহজ হয়।
অনুষ্ঠানে ‘স্বাস্থ্য সংস্কার কমিশনের সুপারিশসমূহ বাস্তবায়নে করণীয়’ শীর্ষক মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক সৈয়দ আবদুল হামিদ। তিনি সংস্কার কমিশনের সুপারিশগুলো কয়েকটি ভাগে ভাগ করে উপস্থাপন করেন। তিনি বলেন, কমিশনের প্রতিবেদন অনেক বড়। প্রতিবেদনের একটি ছোট সংস্করণ করা যেতে পারে।
মুক্ত আলোচনায় অংশ নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক আহমেদুল কবীর বলেন, কিছু সুপারিশ বাস্তবায়িত হলে আমলাতান্ত্রিক জটিলতা বাড়বে। স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও মিটফোর্ড হাসপাতালের চিকিৎসক রাজীব দেসহ একাধিক আলোচক বলেন, সমাজের বা পেশাজীবীদের অনেকের সঙ্গেই স্বাস্থ্য খাত সংস্কার কমিশন মতবিনিময় করেনি বা তাদের বিষয়গুলো কমিশনের প্রতিবেদনে গুরুত্ব পায়নি।
এ সময় অনুষ্ঠানের সঞ্চালক হোসেন জিল্লুর বলেন, প্রতিবেদনে দুটি কমতি আছে হয়তো। একটি বিষয়বস্তুর কমতি, অন্যটি পরামর্শের কমতি। এই দুটি কমতিকেই গুরুত্ব দিতে হবে, বিবেচনায় নিতে হবে।
আরও পড়ুনবিশ্লেষণ: স্বাস্থ্য খাত সংস্কার প্রতিবেদনেরই সংস্কার প্রয়োজন১৫ মে ২০২৫স্বাস্থ্য খাত সংস্কার কমিশনের সদস্য অধ্যাপক সৈয়দ আকরাম হোসেন বলেন, কমিশনের প্রতিবেদনটি বৈজ্ঞানিক প্রতিবেদন। এটি সতর্কতার সঙ্গে পড়তে হবে, বারবার পড়তে হবে।
অনুষ্ঠানের প্রায় সব আলোচক স্বাস্থ্য খাত সংস্কার কমিশনকে ধন্যবাদ জানান। তবে সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে বলা হয়, অনেক ত্রুটি ও কমতি থাকার পরও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো প্রতিষ্ঠানে স্বাস্থ্য খাত সংস্কার প্রতিবেদন বিষয়ে ন্যূনতম কোনো সমালোচনা না হওয়া দুঃখজনক। এটি খারাপ উদাহরণ হয়ে থাকবে।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক শাফিউন এন শিমুল। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক শারমিন মবিন ভূইয়া।
আরও পড়ুনস্বাস্থ্য খাত সংস্কারের কয়েকটি প্রস্তাব ‘অবাস্তব, মানবাধিকার লঙ্ঘনের শামিল’০৯ মে ২০২৫.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: অন ষ ঠ ন
এছাড়াও পড়ুন:
শাবিপ্রবির ভর্তি পরীক্ষা ১৩ ও ১৪ জানুয়ারি
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের প্রথম সেমিস্টারের ভর্তি পরীক্ষা আগামী ১৩ ও ১৪ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে।
সোমবার (৩ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার সৈয়দ ছলিম মোহাম্মদ আব্দুল কাদির স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আরো পড়ুন:
শাবিতে জুলাই গণঅভ্যুত্থান নিয়ে জাতিসংঘের তদন্ত প্রতিবেদনের ওপর সেমিনার
শাকসুর নির্বাচন কমিশন ঘোষণা
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ভর্তি কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতা কামনা করছে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য সাজেদুল করিম বলেন, “গুচ্ছ প্রক্রিয়া না থেকে স্বতন্ত্র ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার জন্য আমাদের শিক্ষকরা আজ উপাচার্যের কাছে একটা স্মারকলিপি জমা দিয়েছে। শিক্ষকরা গুচ্ছ পদ্ধতিতে থাকতে চায় না। আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এককভাবে ভর্তি পরীক্ষার নেওয়ার জন্য সামনের দিকে কাজ এগোচ্ছি। অতিদ্রুত ভর্তি পরীক্ষার পূর্ণাঙ্গ সময়সূচি নির্ধারণ করে প্রকাশ করা হবে।”
২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে শাবিপ্রবি গুচ্ছ পদ্ধতি থেকে বেরিয়ে স্বতন্ত্রভাবে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া শুরু করে। এবারো একইভাবে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
এর আগে, গুচ্ছ পদ্ধতিতে অংশ নিতে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) থেকে চিঠি পেলেও শেষ পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় ভর্তি পরীক্ষা আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেয়।
ঢাকা/ইকবাল/মেহেদী