জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় তিন বছরের কারাদণ্ডাদেশের রায়ের বিরুদ্ধে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী জুবাইদা রহমানের আপিল শুনানির জন্য আগামীকাল বৃহস্পতিবার দিন ধার্য করেছেন হাইকোর্ট। বিচারপতি মো. খসরুজ্জামানের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ বুধবার এই দিন নির্ধারণ করেন।

এর আগে ১৪ মে হাইকোর্ট জুবাইদা রহমানের আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন। আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তাঁকে জামিন দেওয়া হয়। বিচারিক আদালতের ওই মামলায় জুবাইদা রহমানের দেওয়া অর্থদণ্ডাদেশ স্থগিত করা হয়। পাশাপাশি বিচারিক আদালতের নথি তলব করা হয়। জুবাইদা রহমানের আপিলের গ্রহণযোগ্যতা ও জামিন চেয়ে তাঁর করা আবেদনের শুনানি নিয়ে ১৪ মে ওই আদেশ দেওয়া হয়। এর ধারাবাহিকতায় জুবাইদা রহমানের আপিলটি আজ আদালতের কার্যতালিকায় ২ নম্বর ক্রমিকে ওঠে।

আপিল শুনানির দিন ধার্যের জন্য বিষয়টি উপস্থাপন করেন আইনজীবী কায়সার কামাল, সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী জাকির হোসেন ভূইয়া।

জানতে চাইলে আইনজীবী জাকির হোসেন ভূইয়া প্রথম আলোকে বলেন, ‘আপিল শুনানির দিন নির্ধারণের জন্য বিষয়টি উপস্থাপন করা হয়। হাইকোর্ট আগামীকাল বৃহস্পতিবার আপিল শুনানির জন্য দিন নির্ধারণ করেছেন।’

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা এই মামলায় ২০২৩ সালের ২ আগস্ট রায় দেন ঢাকা মহানগরের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো.

আছাদুজ্জামান। রায়ে দুটি ধারায় তারেক রহমানের ৯ বছর কারাদণ্ড (৬ ও ৩ বছর, একসঙ্গে চলবে) এবং জুবাইদা রহমানের ৩ বছরের কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড দেওয়া হয়।

জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে করা এই মামলায় জুবাইদা রহমানের সাজা স্থগিত করে গত বছরের ৪ নভেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ প্রজ্ঞাপন জারি করে। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সাজা স্থগিত চেয়ে জুবাইদা রহমানের করা আবেদন এবং আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মতামতের আলোকে তাঁর বিরুদ্ধে করা মামলায় তাঁকে দেওয়া দণ্ডাদেশ এক বছরের জন্য স্থগিত করা হলো।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে ৬ মে যুক্তরাজ্য থেকে দেশে ফেরেন জুবাইদা রহমান। তিনি তারেক রহমানের সঙ্গে ২০০৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর লন্ডনের উদ্দেশে বাংলাদেশ ছেড়েছিলেন। ১৭ বছর কেটে গেলেও দেশে ফিরতে পারেননি জুবাইদা রহমান।

দেশে ফিরে আপিল করার জন্য ৫৮৭ দিন বিলম্ব মার্জনা চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন জুবাইদা রহমান, যা ১৩ মে মঞ্জুর করেন আদালত। বিলম্ব মার্জনার আবেদন মঞ্জুরের পর তিনি আপিল করেন এবং জামিন চেয়ে আবেদন করেন। শুনানি নিয়ে ১৪ মে হাইকোর্ট আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন এবং জামিন মঞ্জুর করেন। এখন আপিলের ওপর শুনানি শুরু হতে যাচ্ছে।

সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর তারেক রহমান, জুবাইদা রহমানসহ তিনজনের বিরুদ্ধে রাজধানীর কাফরুল থানায় মামলাটি করে দুদক। পরের বছর তাঁদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়।

আরও পড়ুনহাইকোর্টে জামিন পেলেন জুবাইদা রহমান১৪ মে ২০২৫আরও পড়ুনদণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে জুবাইদা রহমানের আপিল দায়েরের জন্য ৫৮৭ দিন বিলম্ব মার্জনা১৩ মে ২০২৫

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র আপ ল শ ন ন ত র ক রহম ন র জন র বছর র

এছাড়াও পড়ুন:

আদালতে জামিননামা দাখিল করলেন অপু বিশ্বাস

রাজধানীর ভাটারা থানায় দায়ের করা হত্যাচেষ্টা মামলায় আদালতে হাজির হয়ে জামিননামা দাখিল করেছেন অভিনেত্রী অপু বিশ্বাস। 
বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তিনি এই জামিননামা দাখিল করেন। এর আগে হাইকোর্ট থেকে ছয় সপ্তাহের আগাম জামিন পেয়েছিলেন তিনি।

আজ দুপুরে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির হন অপু বিশ্বাস। এরপর হাইকোর্টের আদেশ মোতাবেক ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ওয়াহিদুজ্জামানের আদালতে তিনি আইনজীবীর মাধ্যমে জামিননামা দাখিল করেন। সিএমএম আদালতের জুডিশিয়াল পেশকার (জেপি) ওমর ফারুক চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

অপু বিশ্বাসের আইনজীবী আবুল বাশার কামরুল বলেন, ‘‘ভাটারা থানার একটি হত্যাচেষ্টা মামলায় চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাস গত ২ জুন হাইকোর্ট থেকে ছয় সপ্তাহের আগাম জামিন পান। জামিনের মেয়াদ প্রায় শেষের দিকে। তাই উচ্চ আদালতের নির্দেশ মোতাবেক অপু বিশ্বাস সিএমএম কোর্ট সশরীরে হাজির হয়ে জামিননামা দাখিল করেছেন। খুব শিগগির অপু বিশ্বাস আত্মসমর্পণ করে বিচারিক আদালতে জামিন চাইবেন।’’

এর আগে এ মামলায় গত ১৮ মে গ্রেপ্তার হন আরেক চিত্রনায়িকা নুসরাত ফারিয়া। গ্রেপ্তারের পর সারা দেশে আলোচনা-সমালোচনা দেখা যায়। পরে ২০ মে এ মামলায় আদালত তাকে জামিন দেন।

এদিকে মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০২৪ সালের ১৯ জুলাই বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে এনামুল হক নামে এক ব্যক্তিকে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় ভাটারা থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। হত্যাচেষ্টার ওই মামলায় আসামি করা হয়— অপু বিশ্বাস, আসনা হাবিব ভাবনা, নুসরাত ফারিয়া, অভিনেতা জায়েদ খানসহ ১৭ তারকাকে। এ ছাড়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার সরকারের সংশ্লিষ্ট ২৮৩ জন ওই মামলার আসামি। মামলায় এসব অভিনেতা-অভিনেত্রীকে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে আওয়ামী লীগের অর্থের জোগানদাতা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
 

ঢাকা/রাহাত//

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • আদালতে জামিননামা দাখিল করলেন অপু বিশ্বাস
  • হবিগঞ্জ আদালত থেকে আসামি ছিনিয়ে নিয়ে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মামলা
  • ‘বিতর্কিত’ বিচারকদের অপসারণ চায় সুপ্রিমকোর্ট বার
  • বিচারকরাও চান খবরের শিরোনাম হয়ে অবদান রাখতে: অ্যাটর্নি জেনারেল 
  • ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’-এ অশ্লীলতার অভিযোগ, নির্মাতা-শিল্পীদের আইনি নোটিশ
  • ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’-এ অশ্লীলতার অভিযোগ, নির্মাতা-শিল্পীদের বিরুদ্ধে আইনি নোটিশ
  • ফারুক খানের চিকিৎসার বিষয়ে আদেশ কাল
  • জঙ্গি সন্দেহে তুলে নেওয়ার ৫ বছর পর মুক্তি পেলেন খুবির দুই
  • আইনজীবী পরিবর্তনে ভুক্তভোগীদের ভোগান্তির অবসান চান আইন উপদেষ্টা
  • হাইকোর্টের বেঞ্চ বিভাগীয় শহরে না পাঠাতে আইনজীবীদের বিক্ষোভ