বাংলাদেশ ব্যাংকের এক্সপোর্ট পারমিট (ইএক্সপি) জটিলতা কাটিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলায় মাছ রপ্তানি শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে আখাউড়া স্থলবন্দরের সহকারী পরিচালক মাহমুদুল হাসান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। 

তিনি বলেন, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ১০টি গাড়িতে করে প্রায় ৭০ মেট্রিক টন বরফায়িত মাছ আগরতলায় রপ্তানি হয়েছে। এর আগে সকাল থেকে তিনটি ট্রাকে করে ৯০ মেট্রিক টন পাথর ও ছয়টি ট্রাকে করে ১০৬ মেট্রিক টন ভোজ্যতেল ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলায় রপ্তানি হয়েছে। বুধবার এক্সপোর্ট পারমিট (ইএক্সপি) জটিলতায় মাছ ছাড়া সিমেন্ট ও ভোজ্যতেল রপ্তানি হয়েছে।

আখাউড়া স্থলবন্দরের মৎস্য রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো.

ফারুক মিয়া বলেন, মাছ রপ্তানিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের ইএক্সপির প্রয়োজন হয়। ওই কাগজপত্র মাছ ব্যবসায়ীদের হাতে না পৌঁছানোয় বুধবার ব্যবসায়ীরা ভারতে মাছ রপ্তানি করতে পারেননি। আজ বৃহস্পতিবার এক্সপোর্ট পারমিট জটিলতা কাটিয়ে সকাল থেকে মাছ রপ্তানি কার্যক্রম স্বাভাবিকভাবেই চলছে।
 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আগরতল আগরতল য়

এছাড়াও পড়ুন:

ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে এক বছরে রেকর্ড পরিমাণ হলুদ আমদানি

সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে (জুলাই-জুন) রেকর্ড পরিমাণ শুকনা হলুদ আমদানি হয়েছে। এ সময় ৩২ হাজার ২৯১ টন শুকনা হলুদ আমদানি হয়েছে। এর বাজারমূল্য ৫৪২ কোটি ৫৪ লাখ টাকা, যা আগের অর্থবছরের তুলনায় ৫৪ কোটি ৫ লাখ টাকা বেশি।

২০২৩-২৪ অর্থবছরে এ বন্দর দিয়ে ৩০ হাজার ৪৫০ টন শুকনা হলুদ আমদানি হয়েছিল। যার মূল্য ছিল ৪৮৮ কোটি ৫৯ লাখ টাকা। সেই হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে আমদানি বেড়েছে ১ হাজার ৮৪১ টন।

আমদানি বৃদ্ধির প্রভাব পড়েছে স্থানীয় বাজারে। সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় সাতক্ষীরার মসলা বাজারে গুঁড়া হলুদের দাম কমে এসেছে। জেলা সদরের সুলতানপুর বড় বাজারের মেসার্স ঠাকুর স্টোরে বর্তমানে প্রতি কেজি গুঁড়া হলুদ বিক্রি হচ্ছে ২৮০ টাকা দরে। দেড় মাস আগেও এটি ছিল ৩২০ টাকা। প্রতিষ্ঠানটির স্বত্বাধিকারী জানান, পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকায় গুঁড়া হলুদের দাম কিছুটা কমেছে।

সাতক্ষীরা কৃষি বিপণন কর্মকর্তা এস এম আবদুল্লাহ বলেন, আমদানি বৃদ্ধি ও বাজারে সরবরাহ বাড়ায় গুঁড়া হলুদের দাম কমেছে। একই সঙ্গে অন্যান্য মসলার দামও সহনীয় রাখতে নিয়মিত বাজার তদারক করা হচ্ছে।

ভোমরা বন্দরভিত্তিক মসলা আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মেসার্স রাফসান এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মো. আবু হাসান জানান, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে অন্যান্য সময়ের তুলনায় তাদের প্রতিষ্ঠান থেকে সবচেয়ে বেশি পরিমাণে শুকনা হলুদ আমদানি করা হয়েছে। এসব পণ্য ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সরবরাহ করা হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • হিলি স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি শুরু 
  • আজ থেকে নিউমুরিং টার্মিনালের দায়িত্বে নৌবাহিনীর প্রতিষ্ঠান ড্রাইডক
  • ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে এক বছরে রেকর্ড পরিমাণ হলুদ আমদানি
  • আশুরায় বেনাপোল বন্দরে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ