বিগত ১৫ বছরে নিয়োগ-পদোন্নতিতে দুর্নীতি-অনিয়মের বিষয়ে তথ্য চেয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়
Published: 23rd, May 2025 GMT
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০০৯ থেকে ২০২৪ সালের আগস্ট পর্যন্ত শিক্ষক ও কর্মকর্তা–কর্মচারী নিয়োগ এবং পদোন্নতির ক্ষেত্রে দুর্নীতি ও অনিয়মের বিষয়ে তথ্য চেয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার ও সংশ্লিষ্ট কমিটির সদস্যসচিব মোহাম্মদ মশিরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক উন্মুক্ত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে ২০০৯ থেকে ২০২৪ সালের আগস্ট পর্যন্ত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক ও কর্মকর্তা–কর্মচারী নিয়োগ এবং পদোন্নতির (আপগ্রেডেশন) ক্ষেত্রে কোনো ধরনের দুর্নীতি বা অনিয়ম হয়ে থাকলে, তা তদন্ত কমিটির কাছে লিখিতভাবে জানানোর আহ্বান জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অভিযোগকারীকে আগামী ৩০ জুনের মধ্যে লিখিত বিবরণ ও প্রমাণসহ সিলগালা খামে অভিযোগ জমা দিতে হবে। তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড.
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, গঠিত কমিটি নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে পাওয়া অভিযোগগুলো যাচাই-বাছাই করে প্রয়োজনীয় সুপারিশ পেশ করবে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ভাষ্য, নিয়োগ ও পদোন্নতি প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতেই এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
বিগত ১৫ বছরে শিক্ষক ও কর্মকর্তা–কর্মচারী নিয়োগে এবং পদোন্নতির ক্ষেত্রে দুর্নীতি ও অনিয়ম অনুসন্ধানে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজের অধ্যাপক মো. রইছ উদ্দীনকে আহ্বায়ক ও ডেপুটি রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ মশিরুল ইসলামকে সদস্যসচিব করে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিতে পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক কানিজ ফাতেমা কাকলি, ইতিহাস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ বিলাল হোসাইন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ও পরিসংখ্যান বিভাগের অধ্যাপক মো. শেখ গিয়াস উদ্দিনকে সদস্য করা হয়েছে।
তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক ও ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক রইছ উদ্দীন প্রথম আলোকে বলেন, ‘বিগত ফ্যাসিবাদী আমলে নিয়োগ ও পদোন্নতিতে আমরা অনেক দুর্নীতি দেখেছি। এসব দুর্নীতির তথ্যানুসন্ধানে কমিটি গঠন করা হয়েছে। আপনারা আমাদের তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করলে আমরা এগিয়ে যেতে পারব। বিশ্ববিদ্যালয়ের পদোন্নতির ক্ষেত্রে ফ্যাসিবাদের আমলে তিন বছরের ভেতর সহকারী অধ্যাপক থেকে অধ্যাপক হওয়া নজির রয়েছে। আমরা সব তথ্য অনুসন্ধান করে পরবর্তী সময়ে যথাযথ পদক্ষেপ নেব।’
বিজ্ঞপ্তিতে তথ্য প্রদানকারীর পরিচয় কঠোর গোপনীয়তার সঙ্গে রক্ষা করা হবে বলেও জানানো হয়।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ত কম ট কম ট র সদস য ইসল ম
এছাড়াও পড়ুন:
হাইতিতে গ্যাং হামলায় ৫০ জনের বেশি নিহত
ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জের দেশ হাইতিতে গত সপ্তাহে একাধিক গ্যাং হামলায় ৫০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। জাতীয় মানবাধিকার প্রতিরক্ষা নেটওয়ার্কের (আরএনডিডিএইচ) তথ্যানুসারে, সংকটে জর্জরিত দেশটিতে সর্বশেষ ভয়াবহ গণহত্যার ঘটনা এটি।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বার্তা সংস্থা এএফপির বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্যারন’স।
গতকাল সোমবার এএফপিকে পাঠানো এক প্রতিবেদনে আরএনডিডিএইচ জানায়, গত ১১ ও ১২ সেপ্টেম্বর রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্সের উত্তর এলাকায় এই হামলাগুলো ঘটে।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘২০২৫ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নিহত হওয়া বহু মানুষের লাশ এখনও পাওয়া যায়নি। লাশগুলো এখনও ঝোপের মধ্যে পড়ে আছে এবং কুকুর লাশগুলো খেয়ে ফেলেছে।’
পশ্চিম গোলার্ধের সবচেয়ে দরিদ্র দেশ হাইতি। দেশটির একটি অংশ ও রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্সের বেশিরভাগ এলাকা সশস্ত্র গ্যাংগুলোর নিয়ন্ত্রণে থাকায় সহিংসতা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
২০২৪ সালের শুরুর দিকে গ্যাংগুলোর একটি জোট লাগাতার হামলা শুরু করলে পরিস্থিতির চরম অবনতি হয়। যার ফলে প্রধানমন্ত্রী এরিয়েল হেনরি পদত্যাগ করেন এবং প্রেসিডেন্টের অন্তর্বর্তীকালীন পরিষদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করেন।
হাইতির পুলিশকে সমর্থন করার জন্য কেনিয়ার নেতৃত্বাধীন বহুজাতিক বাহিনী মোতায়েন করার পরও সহিংসতা দমন করা সম্ভব হয়নি।
আরএনডিডিএইচ জানিয়েছে, ভিভ আনসানম গ্যাং জোট, যারা ২০২৪ সালের মার্চ মাস থেকে ক্যাবারেট শহরের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, তারা গত সপ্তাহে নিকটবর্তী ল্যাবোডেরি শহরে বেসামরিক জনগণের বিরুদ্ধে অত্যন্ত নিষ্ঠুর গণহত্যা চালিয়েছে। শহরটি রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্স থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত।
সংস্থাটি আরো জানায়, ‘তারা ৫০ জনেরও বেশি মানুষকে হত্যা করেছে এবং বেশ কয়েকটি বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে।’
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, ‘বেঁচে থাকা কয়েকজন পার্শ্ববর্তী এলাকায় পালিয়ে যেতে সক্ষম হন। অন্যান্যরা আক্রমণকারীদের হাত থেকে বাঁচতে নৌকায় করে সমুদ্রে পালিয়ে যায়।’
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস গত মাসে সতর্ক করে বলেছেন, হাইতিতে ‘রাষ্ট্রীয় কর্তৃত্ব ভেঙে পড়ছে।’
তিনি নিরাপত্তা পরিষদকে সতর্ক করে বলেন, হাইতির রাজধানীর বাইরেও সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ছে। সেখানকার ৯০ শতাংশ অঞ্চলের ওপর গ্যাংগুলোর নিয়ন্ত্রণ রয়েছে।
রবিবার, তিনি ক্যাবারে কমিউনে হামলার নিন্দা জানিয়েছেন এবং দেশগুলোকে প্রয়োজনীয় ‘সরবরাহ, কর্মী ও তহবিল দিয়ে বহুজাতিক নিরাপত্তা সহায়তা মিশনকে শক্তিশালী করার প্রচেষ্টা ত্বরান্বিত করার’ আহ্বান জানিয়েছেন।
জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের তথ্যানুসারে, চলতি বছরের প্রথমার্ধে হাইতিতে কমপক্ষে ৩ হাজার ১৪১ জন নিহত হয়েছে।
ঢাকা/ফিরোজ