Samakal:
2025-11-03@11:01:13 GMT

ঐশ্বরিক চেতনার কবি

Published: 23rd, May 2025 GMT

ঐশ্বরিক চেতনার কবি

কাজী নজরুল ইসলাম আধুনিক যুগের বাংলা ভাষার শ্রেষ্ঠ কবিদের একজন। কবিতার ক্ষেত্রে ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত, মধুসূদন দত্ত, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর– এদের পরে যে নতুনধারার কবিতা রচিত হয়েছে– সেই ধারার এক শাখায় রয়েছেন কাজী নজরুল, আরেক শাখায় রয়েছেন জীবনানন্দ দাশ। দুজনই সেই সময়ের শ্রেষ্ঠ কবি। এই দুজন দুই ধারার অনুভূতি ও উপলব্ধির অধিকারী ছিলেন। নজরুল ছিলেন জনগণের একজন। জনকল্যাণে তিনি সমস্ত শক্তি, চিন্তা ব্যয় করেছেন। এরই মধ্য দিয়ে অসাধারণ কবি-প্রতিভারও পরিচয় দিয়েছেন। অন্যদিকে জীবনানন্দ ছিলেন ভিন্ন অনুভূতি উপলব্ধির কবি। তাদের জীবৎকালে প্রথম বিশ্বযুদ্ধ, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ এবং আনুষঙ্গিক আরও অনেক নেতিবাচকতা পাশ্চাত্য সভ্যতায় দেখা দেয়। রেনেসাঁসের নামে মানুষের উন্নত আবেগ-অনুভূতি ও উজ্জ্বল ভবিষ্যতের যে সম্ভাবনা কবি-সাহিত্যিক ও বিজ্ঞানীরা দেখতেন, তা ওই সমস্ত নেতিবাচক ঘটনার পরে আর অব্যাহত থাকেনি। হতাশা, সবকিছু সম্পর্কে অনাস্থা, মানুষ সম্পর্কে ধারণার অনেক পরিবর্তন ঘটে যায়। আগে ধারণা ছিল, মানুষ সবকিছু্ পারবে। রাতারাতি হয়তো পারবে না, কিন্তু প্রজন্মান্তরের চেষ্টায় পারবে। উন্নতি থেকে আরও উন্নতির দিকে মানুষ যাবে। এ ধরনের আশাবাদী ভবিষ্যৎ চিন্তা নিয়ে তখন কবি-সাহিত্যিকরা যে অনুভূতি ও উপলব্ধি প্রকাশ করতেন, তা আর তখনকার কবিদের মধ্যে পাওয়া যেত না। বরং জীবনের দুঃখময় দিকগুলোই তারা মহিমান্বিত করতে ও বড় করে দেখানো শুরু করেন। জীবনের নানান দিক থেকে মানুষের এই দুর্দশাগ্রস্ত অবস্থার ভাব, চিত্র জীবনানন্দের কবিতায় এসেছে। অনেকে বলেছেন জীবনানন্দ নৈরাশ্যবাদী ছিলেন, যদিও তা সত্য মনে করি না। অপরদিকে কবি নজরুল ইসলাম অন্যায়ের বিরুদ্ধে ঘৃণা, প্রতিদ্বন্দ্বিতা, সংগ্রামী মানুষের বিজয় দেখিয়েছেন তাঁর কবিতায়, প্রবন্ধে, কথাসাহিত্যে।
নজরুলের বিদ্রোহী কবিতা তাঁর কাব্যজীবনের একদম প্রথমদিকে লেখা। এই কবিতা লেখার পর থেকেই তিনি বাংলাভাষী সব অঞ্চলে কবিখ্যাতি লাভ করেন। এই কবিতায় অন্যায় অবিচার, ধর্মের নামে অনাচার– এই সমস্ত কিছুর বিরুদ্ধে বিদ্রোহের চেতনা ব্যক্ত হয়েছে। মানুষের যে মনুষ্যত্ব সেটিকে তিনি খুব বড় করে দেখেছেন এবং বলতে চেয়েছেন— বর্তমানের কলঙ্কজনক কোনো ঘটনা তাকে কিছুদিনের জন্য পেছনে ফেলতে পারে, কিন্তু মানুষ শেষ পর্যন্ত তাকে অতিক্রম করবে। দুঃখ ও দুর্দশা কাটিয়ে সে ক্রমাগত উন্নতির দিকে যাবে। জীবন ও জগতের সব রহস্য মানুষ একদিন উন্মোচন করতে পারবে। ধর্মগ্রন্থ কিংবা ঈশ্বরের ওপরে নির্ভর করে নয়, মানুষ তার স্বাধীন চিন্তাশীলতা এবং উন্নত আবেগ-অনুভূতি দিয়ে জগৎকে নতুন করে গঠন করবে। মানুষের পরাজয় সাময়িক। জয়টাই অবশ্যম্ভাবী। ঐশ্বরিক ক্ষমতা মানুষের মধ্যেও আছে। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ক জ নজর ল ইসল ম অন ভ ত নজর ল

এছাড়াও পড়ুন:

সাইফুল ইসলাম ডিবিএ’র প্রেসিডেন্ট পুনঃনির্বাচিত

দেশের পুঁজিবাজারে স্টক ব্রোকারদের সংগঠন ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ডিবিএ) এবারের নির্বাচনে সভাপতি পদে সাইফুল ইসলাম পুনরায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি ব্র্যাক ইপিএল স্টক ব্রোকারেজ লিমিটেডের পরিচালক।

সোমবার (৩ নভেম্বর) ডিবিএ’র সেক্রেটারি মো. দিদারুল গনী স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

আরো পড়ুন:

ডিএসইতে ৭৫ শতাংশ শেয়ার-মিউচুয়াল ফান্ডের দরপতন

ডিএসইতে সূচক কমলেও সিএসইতে বেড়েছে

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, পরিচালনা পর্ষদ নির্বাচনে মোট ১৫ জন সদস্য বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। নির্বাচিতদের মধ্যে রয়েছেন একজন প্রেসিডেন্ট, একজন সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট, একজন ভাইস প্রেসিডেন্ট ও ১২ জন পরিচালক।

নির্বাচিতরা আগামী ২ বছর (২০২৬ ও ২০২৭) ডিবিএ‘র নেতৃত্ব দেবেন। নির্বাচিত সদস্যরা ডিবিএ’র আসন্ন বার্ষিক সাধারণ সভায় আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব গ্রহণ করবেন।

অন্যান্য পদে নির্বাচিতরা হলেন- সিনিয়র ভাইস-প্রেসিডেন্ট পদে মো. মনিরুজ্জামান, প্রাইম ব্যাংক সিকিউরিটিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও। ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে মো. নাফিজ-আল-তারিক ঢাকা ব্যাংক সিকিউরিটিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক।

এছাড়া পরিচালক পদে নির্বাচিত হয়েছেন–এবি অ্যান্ড কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম রাফিউজ্জামান বোখারী, এস সি এল সিকিউরিটিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ব্যারিস্টার মোহাম্মদ ইফতেখার জোনায়েদ, আর এন ট্রেডিং লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. নাদিম, আজম সিকিউরিটিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আহমেদ কবির মজুমদার, নিউ এরা সিকিউরিটিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরওয়াই শমসের, ওয়ান সিকিউরিটিজ লিমিটেডের সিইও আমিনুল ইসলাম, জি এম এফ সিকিউরিটিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলহাজ নাহিদ আহমেদ, কাইয়ুম সিকিউরিটিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাঈম মো. কাইয়ুম, ভিশন ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ ইব্রাহিম, এক্সপো ট্রেডার্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. ওসমান গনি চৌধুরী, ফিনিক্স সিকিউরিটিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক খন্দকার শফিকুর রহিম ও এসএআর সিকিউরিটিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শরীফ আতাউর রহমান।

ঢাকা/এনটি/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সাইফুল ইসলাম ডিবিএ’র প্রেসিডেন্ট পুনঃনির্বাচিত
  • বগুড়ায় বাড়িতে হাতবোমা তৈরির সময় বিস্ফোরণ, আহত একজন গ্রেপ্তার
  • ‘সাংস্কৃতিক জাগরণেই মুক্তি’
  • যদি ঠিক পথে থাকো, সময় তোমার পক্ষে কাজ করবে: এফ আর খান
  • বিবাহবিচ্ছেদ ও খোরপোষ নিয়ে ক্ষুদ্ধ মাহি
  • ফতুল্লায় দুই ট্রাকের মাঝে পড়ে যুবকের মৃত্যু
  • ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে ২০ মামলার আসামি নিহত, গুলিবিদ্ধ ৩
  • নামতে গেলেই চালক বাস টান দিচ্ছিলেন, পরে লাফিয়ে নামেন
  • তানজানিয়ার বিতর্কিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ফের বিজয়ী সামিয়া
  • আমার স্ত্রী খ্রিষ্টধর্ম গ্রহণ করছেন না: জেডি ভ্যান্স