জুলাই শহীদ হাসানের মরদেহ গ্রহণ করবেন মুক্তিযুদ্ধ উপদেষ্টা
Published: 24th, May 2025 GMT
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের যোদ্ধা হাসানের মৃত্যুতে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপদেষ্টা শোক প্রকাশ করেছেন। বিমানবন্দরে তার মরদেহ গ্রহণ করবেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক ই আজম, বীর প্রতীক।
শনিবার (২৪ মে) মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিবৃতিতে এ কথা জানানো হয়।
এতে বল হয়, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের যোদ্ধা হাসানের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক ই আজম, বীর প্রতীক এবং মন্ত্রণালয়ের সচিব ইসরাত চৌধুরী।
আরো পড়ুন:
চাঁদাবাজদের শুধু চেহারা পরিবর্তন হয়েছে : আসাদুজ্জামান ফুয়াদ
পদত্যাগ করছেন না প্রধান উপদেষ্টা: ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ
শোক বার্তায় উপদেষ্টা বলেন, “জুলাই গণঅভ্যুত্থানে গুরুতর আহত এবং পরবর্তীতে শহীদ মো.
তিনি তার আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সববেদনা জানান।
গত ৫ আগস্ট চট্টগ্রামের টাইগারপাসে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে গুরুতর আহত হাসানকে প্রথমে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকার সিএমএইচে নিয়ে যাওয়া হয়। পরবর্তীতে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে থাইল্যান্ডের ব্যাংককে বামরুনগ্রাদ হাসপাতাল পাঠানো হয়। শেষে তাকে সেদেশের পায়াথাই পাহোলিওথিন হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। এ হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার রাত ১১টা ১০ মিনিটে মো. হাসান মারা যান (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তার বয়স হয়েছিল ২৫ বছর।
শনিবার সন্ধ্যা ৬টায় বাংলাদেশ বিমানযোগে তার মহদেহ ঢাকায় আনা হবে। তার মহদেহ গ্রহণের জন্য মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক ই আজম, বীর প্রতীক এবং মন্ত্রণালয়ের সচিব ইসরাত চৌধুরী ও মরহুমের পরিবারের সদস্যসহ লক্ষীপুর জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকবেন। তার মায়ের ইচ্ছা অনুযায়ী তাকে নোয়াখালী জেলার সুবর্ণচরে দাফন করা হবে। তার মরদেহ দাফনের জন্য মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের তত্বাবধানে জেলা প্রশাসন নোয়াখালী সার্বিক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
ঢাকা/আসাদ/সাইফ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উপদ ষ ট জ ল ই গণঅভ য ত থ ন ম ক ত য দ ধ ব ষয়ক উপদ ষ ট গ রহণ
এছাড়াও পড়ুন:
পরবর্তী সরকারের কাছে সংস্কারের ভার ছেড়ে দেওয়ার পক্ষপাতী নই: আখতার হোসেন
সংস্কারের বিষয়গুলো নির্বাচিত সংসদের দিকে ঠেলে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যসচিব আখতার হোসেন। তিনি বলেছেন, ‘সংস্কার বাস্তবায়ন কার্যক্রমকে যদি কোনো রাজনৈতিক দল কিংবা ঐকমত্য কমিশন পরবর্তী সরকারের ওপর ন্যস্ত করতে চায় তাহলে এনসিপি মনে করে, সেই সংস্কারের গোটা আলোচনা কার্যকর হবে না।’
সংস্কারের ম্যান্ডেট এই সরকারের হাতেই রয়েছে বলে এনসিপি মনে করে—উল্লেখ করে আখতার বলেন, ‘আমরা যারা ঐকমত্য কমিশনে বসছি, জনগণের প্রতিনিধিত্ব করছি, আমরা সংস্কারের বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার অধিকার রাখি। পরবর্তী সরকারের কাছে সংস্কারের কার্যভার ছেড়ে দেওয়ার পক্ষপাতী আমরা নই।’
সোমবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমির দোয়েল হলে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আলোচনা শেষে এ কথা বলেন আখতার হোসেন।
অনেকের মধ্যে জুলাই সনদকে নিছক একটি দলিল হিসেবে প্রকাশের চিন্তা রয়েছে বলে অভিযোগ করেন এনসিপি নেতা আখতার। তিনি বলেন, ‘আমরা তার বিপক্ষে অবস্থান করি। আমরা মনে করি, জুলাই সনদের মধ্য দিয়ে যে মৌলিক সংস্কারের রূপরেখা বাস্তবায়িত হবে, সেটা বাংলাদেশের সামনের রাজনীতিকে নির্ধারণ করবে। সামনের বাংলাদেশের কাঠামোকে নির্ধারণ করবে।’
এনসিপির দাবি তুলে ধরে আখতার হোসেন আরও বলেন, বাংলাদেশে নতুন কাঠামোকে বাস্তবায়ন করতে, নতুন বন্দোবস্তকে বাংলাদেশের রাজনীতির জন্য কার্যকর করতে গণপরিষদ নির্বাচনের আয়োজন করতে হবে। তারপর গণপরিষদে আলাপ–আলোচনার মাধ্যমে সংস্কার প্রস্তাবকে বাস্তবায়ন করতে হবে।
এদিনের আলোচনায় অধস্তন আদালতকে উপজেলা পর্যন্ত বিস্তৃত করা এবং জরুরি অবস্থা জারির প্রস্তাবে এনসিপি একমত হয়েছে বলে জানান আখতার হোসেন। তিনি বলেন, দুটি প্রস্তাব ঘিরে কয়েকটি বিষয় বিবেচনার কথা বলেছেন তাঁরা।