পঞ্চগড় সীমান্ত দিয়ে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) ঠেলে পাঠানো নারী ও শিশুসহ ২১ জনকে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। আজ শনিবার বিকেলে পঞ্চগড় সদর উপজেলার হাড়িভাসা ইউনিয়নের ডোলোপুকুর আশ্রয়ণ প্রকল্পের কমিউনিটি সেন্টার চত্বরে তাঁদের পরিবারের সদস্যদের কাছে তুলে দেওয়া হয়।

এ সময় পঞ্চগড় সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জাকির হোসেন, সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল্লাহ হিল জামান, হাড়িভাসা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাইয়েদ নূর-ই-আলমসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুনবিএসএফের ঠেলে পাঠানো ২১ জনকে রাখা হয়েছে কমিউনিটি সেন্টারে২৩ মে ২০২৫

এর আগে গত বৃহস্পতিবার ভোরে বিজিবির জয়ধরভাঙ্গা বিওপির আওতাধীন সীমান্তের ৭৫৭ নম্বর মেইন পিলারে ১০ নম্বর সাব পিলার–সংলগ্ন সদর উপজেলার হাড়িভাসা ইউনিয়নের বড়বাড়ী এলাকা দিয়ে ওই ২১ জনকে ঠেলে পাঠায় বিএসএফ। এ সময় সীমান্ত এলাকা থেকে বিজিবি তাঁদের আটক করে বিকেলে পঞ্চগড় সদর থানায় হস্তান্তর করে।

পরে ওই দিন রাতে আটক ব্যক্তিদের পঞ্চগড় সদরের ইউএনও তত্বাবধায়নে সদর উপজেলার হাড়িভাসা ইউনিয়নের ডোলোপুকুর আশ্রয়ণ প্রকল্পের কমিউনিটি সেন্টারে নেওয়া হয়। সেই সঙ্গে তাঁদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়।

আটক ব্যক্তিদের মধ্যে ২২ বছর বয়সী একজন তরুণ, ৩ মাস থেকে ১৭ বছর বয়সী ১৪ জন শিশু-কিশোর এবং ১৯ বছর থেকে ৫৫ বছর বয়সী ছয়জন নারী আছেন। তাঁদের বাড়ি খুলনা ও নড়াইল জেলায়। তাঁরা দীর্ঘদিন ধরে ভারতে ছিলেন এবং প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তিরা সেখানে বিভিন্ন কাজ করতেন। গত বুধবার বিকেলে তাঁদের ভারতের গুজরাট থেকে ভারতীয় পুলিশ আটক করে বিমান ও বাসযোগে সীমান্ত এলাকায় নিয়ে এসে ৯৩ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের টিয়াপাড়া ক্যাম্পে হস্তান্তর করে। পরে টিয়াপাড়া বিএসএফ ক্যাম্পের সদস্যরা তাঁদের বাংলাদেশে ঠেলে দেন (পুশ ইন করেন)। যদিও ঘটনার পর বিজিবি-বিএসএফের পতাকা বৈঠকে বিএসএফ পুশ ইনের বিষয়টি অস্বীকার করে।

স্ত্রী–সন্তানদের নিতে খুলনা থেকে আসা এক ব্যক্তি (৪০) বলেন, ‘আমার স্ত্রী ও তিন মেয়েকে নিয়ে আমিও ভারতের গুজরাটে ছিলাম। সেখানে একটি সার কারখানায় কাজ করতাম। বেশ কিছু দিন আগে আমি সেখানে পুলিশের হাতে আটক হই। পরে সাতক্ষীরা সীমান্ত দিয়ে আমাকে বাংলাদেশে পাঠানো হয়। পরে শুনি, আমার স্ত্রী সন্তানেরা পঞ্চগড় সীমান্তে আটক হয়েছে। এ জন্য তাঁদের নিতে এসেছি।’

পঞ্চগড় সদরের ইউএনও জাকির হোসেন বলেন, পরে সদর থানার ওসির মাধ্যমে ওই ২১ জনের পরিবারের লোকজনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। পুলিশ স্বজনদের আনা কাগজপত্র যাচাই ও পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর তাঁদের হস্তান্তর করে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: সদর উপজ ল ২১ জনক ব এসএফ র পর ব

এছাড়াও পড়ুন:

হবিগঞ্জে দুই গ্রামের বাসিন্দাদের সংঘর্ষে নিহত ১

হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে দুই গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে সংঘর্ষে ফারুক মিয়া (৪৫) নামের এক ব্যক্তি মারা গেছেন। 

সোমবার (৭ জুলাই) সন্ধ্যায় সংঘর্ষে গুরুতর আহত হন ফারুক মিয়া। হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। 

ফারুক মিয়া নবীগঞ্জ উপজেলার তিমিরপুর গ্রামের আব্দুল আউয়ালের ছেলে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুহুল আমীন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

সোমবার বিকেল ৩টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত নবীগঞ্জের আনমনু ও তিমিরপুর গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। বিকেল ৪টার দিকে ইউএনও ১৪৪ ধারা জারি করলেও নবীগঞ্জ পৌর এলাকার গাজীরটেক, মৎস্যজীবী পাড়া, চরগাঁও ও পশ্চিমবাজার এলাকায় সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় বাজারের দোকান, যানবাহন ও একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করা হয়।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, পুরনো বিরোধের জের ধরে দুই গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে সংঘর্ষে পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। তারা ইট-পাটকেল ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে দোকান ও যানবাহনে ভাঙচুর ও লুটপাট চালান। এতে কয়েক কোটি টাকার ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে।

সন্ধ্যায় সেনাবাহিনী ও অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। স্থানীয় রাজনীতিকরা পরিস্থিতি শান্ত করার উদ্যোগ নেন।

নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মো. কামরুজ্জামান জানিয়েছেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। পুলিশের টহল অব্যাহত আছে। অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ঢাকা/মামুন/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ফেনীতে বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত
  • কুষ্টিয়ায় ২ কোটি টাকার জাল উদ্ধার
  • ফেনীতে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ১৪ স্থানে ভাঙন, পানির নিচে ৩০ গ্রাম
  • ট্রেনে কাটা পড়ে যুবকের মৃত্যু, রেলপথ অবরোধ
  • ঝুঁকিপূর্ণ সাঁকোর স্থলে হচ্ছে কাঠের সেতু
  • দর্শনা সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহত বাংলাদেশির লাশ ছয় দিন পর হস্তান্তর
  • ৮ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠাল বিএসএফ
  • আটক ৮ বাংলাদেশিকে হস্তান্তর করল বিএসএফ
  • হবিগঞ্জে দুই গ্রামের বাসিন্দাদের সংঘর্ষে নিহত ১
  • ৫ মাসের যমজ শিশুকে বিলের পানিতে ফেলে ‘হত্যা’, মা–বাবাকে আটক করল পুলিশ