২৩ বছর বয়সী এই তরুণী শনিবার সন্ধ্যায় কান উৎসবের প্যালেস দে ফেস্টিভ্যালের মঞ্চ থেকে  শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর পুরস্কার হাতে নেন নাদিয়া মেল্লিতি। অভিনয় জগতে সম্পূর্ণ নবাগত নাদিয়া মূল চরিত্রে অভিনয় করেছেন “লা পেটিট ডের্নিয়ে” চলচ্চিত্রে। সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন হাফসিয়া হার্জি। এটি ফাতিমা দাসের ২০২০ সালে প্রকাশিত আত্মজীবনীমূলক কাহিনী অবলম্বনে নির্মিত তৃতীয় পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র।

গল্পে দেখা যায়, ফিলোসফির ছাত্রী ফাতিমা। যিনি শহরতলীতে বাস করেন। নিজের লিঙ্গহীনতা নিয়ে লজ্জিত এবং তা পরিবারের কাছে প্রকাশ করেন না। ধীরে ধীরে সে নতুন সম্পর্ক গড়ে তোলে। নিজের যৌনতা আবিষ্কার করে ও প্রেমে পড়েন। 

এই গল্পে অভিনয় করেই সেরার পুরস্কার জেতেন নাদিয়া। পুরস্কার পেয়ে তিনি বলেন, ‘এই অনুভূতি আমি বর্ণনা করতে পারছি না, এটি একদম অবিশ্বাস্য।’

বিশেষ করে তাঁর মাকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন,‘ মা, আমি জানি তুমি আমার কথা শুনছো। আশা করি তুমি গর্বিত।’

নাদিয়ার অভিনয়ের পেছনের গল্প 

নাদিয়া প্যারিসের চাতেলে এলাকায় হাঁটছিলেন।  তখন কাস্টিং ডিরেক্টর অড্রে জিনি তাকে খুঁজে পান। নাদিয়া কোনো অভিনয় প্রশিক্ষণ নেননি।  সিনেমার প্রতি বিশেষ আগ্রহও ছিল না। তিনি শারীরিক ও ক্রীড়া বিজ্ঞানে বিভাগের ছাত্রী। “লা পেটিট ডের্নিয়ে” ছবির জন্য কাস্টিংয়ের সুযোগ পেয়ে তিনি অভিনয়ের চেষ্টা করেছেন কেবল।  কিন্তু ভাবেননি এত বড় সুযোগ আসবে।

পরিচালক হাফসিয়া হার্জি বলেন, নাদিয়ার ছবি দেখে আমি মুহূর্তেই মুগ্ধ হয়েছি। যদিও আমি অন্যান্য কাস্টিংও চালিয়ে গিয়েছিলাম, কিন্তু শেষ পর্যন্ত নাদিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পেরে আমি অত্যন্ত খুশি।


 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ক ন চলচ চ ত র উৎসব

এছাড়াও পড়ুন:

অনুমোদনের প্রথম দিন সেন্ট মার্টিন যায়নি কোনো পর্যটকবাহী জাহাজ

দীর্ঘ ৯ মাস পর শনিবার থেকে সেন্ট মার্টিনে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচলের অনুমতি দিয়েছে সরকার। কিন্তু প্রথম দিন কোনো জাহাজ সেন্ট মার্টিনে না যাওয়ার কারণে পর্যটকেরা দ্বীপে যেতে পারেননি। হাজারো পর্যটক সেন্ট মার্টিনে যেতে না পেরে হতাশ হয়ে ফিরে গেছেন। অন্যদিকে জাহাজমালিকেরা বলছেন, সরকারের বিভিন্ন শর্তের কারণে পর্যটকদের আগ্রহ না থাকায় জাহাজ চলাচল বন্ধ ছিল।

কক্সবাজার জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী দ্বীপটি পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে। ১ নভেম্বর থেকে সেন্ট মার্টিনে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচলে সরকারের কোনো বাধা নেই। লিখিতভাবে জাহাজ চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে দিনে গিয়ে দিনেই চলে আসতে হবে; রাতে থাকা যাবে না।

এদিকে রাতে থাকার সুযোগ না থাকায় পর্যটকেরা যেতে আগ্রহী হচ্ছেন না। কারণ, দীর্ঘ সময় ভ্রমণ করে দ্বীপে গিয়ে আবার সেদিনই চলে আসতে হবে। এ কারণে জাহাজমালিকেরাও জাহাজ চালাতে অনীহা প্রকাশ করছেন। তাঁদের দাবি, দিনে গিয়ে দিনে ফিরে আসার সিদ্ধান্ত বাস্তবসম্মত নয়।

কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মো. শাহিদুল আলম বলেন, জাহাজমালিকেরা যদি জাহাজ চলাচল বন্ধ রাখেন, সেটা তাঁদের ব্যাপার। সেন্ট মার্টিনের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় সরকারের জারি করা ১২টি নির্দেশনা এবার কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করবে জেলা প্রশাসন।

শাহিদুল আলম বলেন, আগে টেকনাফ থেকে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল করলেও নিরাপত্তার কারণে এখন কক্সবাজার শহর থেকে পর্যটকবাহী জাহাজ বঙ্গোপসাগর পাড়ি দিয়ে সেন্ট মার্টিনে যাতায়াত করবে।

সি ক্রুজ অপারেটরস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (স্কোয়াব) সাধারণ সম্পাদক হোসাইন ইসলাম বাহাদুর বলেন, কক্সবাজার শহরের নুনিয়ারছড়া ঘাট থেকে জাহাজ ছেড়ে গেলে সেন্ট মার্টিন পৌঁছাতে সাত থেকে আট ঘণ্টা সময় লাগে। ফলে পর্যটকেরা কিছুই ঘুরে দেখতে পারবেন না। দিনে গিয়ে দিনে ফিরে আসা যেমন কষ্টসাধ্য, তেমনি ব্যবসার জন্যও তা অলাভজনক। এ কারণেই অনেক পর্যটক সেন্ট মার্টিন যেতে অনীহা প্রকাশ করেছেন।

হোসাইন ইসলাম আরও বলেন, রাতযাপন করার সুযোগ না থাকলে সেন্ট মার্টিনের পর্যটন মৌসুম জমে না। পর্যটকেরা রাতের সৈকত দেখতে চান, ঢেউয়ের শব্দ শুনতে চান। সেটাই তো সেন্ট মার্টিনের আসল আকর্ষণ।

পরিবেশ অধিদপ্তরের কক্সবাজার জেলা কার্যালয়ের পরিচালক মো. জমির উদ্দিন বলেন, সেন্ট মার্টিন দ্বীপে ভ্রমণের ক্ষেত্রে সরকারের নির্দেশনা কঠোরভাবে কার্যকর করা হবে। এ লক্ষ্যে পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুনসেন্ট মার্টিনে নিষেধাজ্ঞা উঠছে কাল, তবে জাহাজ চলবে কি৩১ অক্টোবর ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ