পড়ার জন্য টেবিল ও চেয়ার এমন হওয়া উচিত, যাতে পড়াশোনার সময় শারীরিক ভঙ্গি ঠিক থাকে। ঘাড় ও কোমরব্যথায় আক্রান্ত না হন।
টেবিল কেমন ভালো
উচ্চতা: চেয়ারে বসে পা মাটিতে ঠিকমতো রাখার পর হাঁটু ৯০ ডিগ্রি কোণে থাকবে। সেখান থেকে টেবিলের উচ্চতা এমন হতে হবে, যাতে কনুই ৯০ ডিগ্রি কোণে রেখে হাত আরাম করে টেবিলে রাখা যায়। সাধারণত টেবিলের উচ্চতা ২৮–৩০ ইঞ্চি (৭১–৭৬ সেমি) ভালো হয়।
প্রস্থ ও দৈর্ঘ্য: বই, খাতা, ল্যাম্প, পানির বোতল ইত্যাদি রাখার জন্য পর্যাপ্ত জায়গা থাকতে হবে। প্রস্থ আড়াই থেকে তিন ফুট এবং দৈর্ঘ্য দেড় থেকে দুই ফুট রাখা ভালো।
পা রাখার জায়গা: পা সহজে রাখার জন্য পর্যাপ্ত জায়গা থাকতে হবে, যাতে হাঁটু ও পা নড়াচড়া করা যায় এবং পা গুটিয়ে বসতে না হয়।
রং: হালকা কাঠের রং বা হালকা ধূসর মনোযোগ ধরে রাখতে সহায়ক। খুব চকচকে না হওয়া ভালো। কারণ, আলোতে প্রতিবিম্ব তৈরি হলে চোখের ওপর চাপ পড়ে।
ড্রয়ার বা তাক: খাতা, কলম, স্কেল, ক্যালকুলেটর ইত্যাদি রাখার জন্য ছোট ড্রয়ার বা স্লাইডিং ট্রে থাকলে পড়ার সময় অপ্রয়োজনীয় ওঠা-বসা কম হবে।
চেয়ারের বৈশিষ্ট্য
উচ্চতা: চেয়ার এমন উচ্চতার হবে, যাতে পা পুরোপুরি মাটিতে রাখলে হাঁটু ৯০ ডিগ্রি কোণে থাকে। প্রয়োজনে উচ্চতা বাড়ানো–কমানো যায়, এমন চেয়ার ব্যবহার করা ভালো।
ব্যাক সাপোর্ট: পিঠের জন্য সাপোর্ট থাকবে, যাতে পড়ার সময় কোমর সোজা রাখা যায়। ব্যাকরেস্ট সামান্য বাঁকানো থাকলে ও কোমরের কাছে সাপোর্ট থাকলে দীর্ঘক্ষণ বসেও ব্যথা হবে না।
হাতের বিশ্রাম: পড়ার সময় প্রয়োজন হলে হাতে সামান্য বিশ্রাম দেওয়ার জন্য হাত রাখার জায়গা থাকতে পারে।
সিট কুশন: চেয়ারের বসার জায়গা শক্ত নয়, এমন মৃদু নরম বা কুশনযুক্ত হলে দীর্ঘক্ষণ বসে পড়া সহজ হয়। খুব নরম বসার জায়গা না নেওয়াই ভালো। কারণ, তা ভেতরে বসে গিয়ে পিঠ বাঁকা করে ফেলে।
আলো ও অবস্থান: টেবিলের ওপর পর্যাপ্ত আলো থাকবে, যেন বই পড়তে বা লিখতে চোখে চাপ না পড়ে। টেবিল জানালার পাশে থাকলে প্রাকৃতিক আলো পাওয়া যায়, তবে সূর্যের তীব্র আলো সরাসরি পড়লে হালকা পর্দা ব্যবহার করতে হবে।
বসার সঠিক ভঙ্গি: মেরুদণ্ড সোজা রাখা উচিত। ঘাড় সামান্য নিচু করে বই দেখলেও মেরুদণ্ড বাঁকানো যাবে না। পা পুরোপুরি মাটিতে রেখে বসা ভালো। টেবিলের খুব কাছে না গিয়ে সামান্য দূরে বসা, তবে হাত আরাম করে টেবিলে রাখা যাবে।
যেসব বিষয় গুরুত্বপূর্ণ
পা যদি পুরোপুরি মাটিতে না লাগে, তাহলে ফুটরেস্ট ব্যবহার করা যেতে পারে।
টেবিল গুছিয়ে রাখলে পড়ার মনোযোগ বাড়ে। পড়ার টেবিল এমন জায়গায় রাখলে ভালো হয়, যেখানে বাতাস চলাচল করে।
এম ইয়াছিন আলী, চেয়ারম্যান ও চিফ কনসালট্যান্ট, ঢাকা সিটি ফিজিওথেরাপি হাসপাতাল
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
থিম্পুতে ৪ দিনব্যাপী ‘এসপিবিএ ভুটান আর্টক্যাম্প-২০২৫’
ভুটানের রাজধানী থিম্পুর বাংলাদেশ দূতাবাসে ৪ দিনব্যাপী ‘এসপিবিএ ভুটান আর্টক্যাম্প-২০২৫’ শুরু হয়েছে। গত ৮ জুলাই সোসাইটি ফর প্রমোশন অব বাংলাদেশ আর্টের (এসপিবিএ) এই আর্টক্যাম্পটি চলবে আগামী ১২ জুলাই পর্যন্ত।
আর্ট ক্যাম্পে বাংলাদেশ থেকে একুশে পদকপ্রাপ্ত খ্যাতিমান শিল্পী কনক চাঁপা চাকমাসহ যোগ দিয়েছেন দেশের সাতজন তরুণ শিল্পী। তারা হলেন- শিল্পী কানক চাঁপা চাকমা, আজমীর হোসেন, সহিদ কাজী, সৌরভ চৌধুরী, সুমন ওয়াহেদ, সৈকত হুসাইন, ফারজানা রহমান ববি ও রূপশ্রী হাজং।
এছাড়া ভুটানের ২ জন তরুণ শিল্পীও এসপিবিএ আর্টক্যাম্পে অংশ নিচ্ছেন। তারা হলেন উগেন সেরিং দয়া ও কিশোর দাহাল।
এরই মধ্যে ভুটানে বাংলাদেশ মিশনে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত জনাব শিবনাথ রায় আর্টক্যাম্প পরিদর্শন করেন। তিনি এই আয়োজনের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং শিল্পীদের সঙ্গে মত বিনিময়ও করেন। এই আর্টক্যাম্পের সার্বিক পরিচালনায় রয়েছেন দেশের খ্যাতিমান স্থপতি রফিক আজম। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি