বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে তিন দিনের শুল্ক আলোচনার দ্বিতীয় দফার প্রথম দিন কয়েক ঘণ্টা আগে ওয়াশিংটন ডিসিতে শেষ হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয় থেকে পাঠানো এক বার্তায় এ কথা বলা হয়। 

এতে আরও বলা হয়, আলোচনা অত্যন্ত বিস্তৃত ছিল, যেখানে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য সম্পর্কের প্রায় সকল গুরুত্বপূর্ণ দিক তুলে ধরা হয়েছে।

বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন ওয়াশিংটন ডিসিতে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন। জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড.

খলিলুর রহমান, প্রধান উপদেষ্টার আইসিটি ও টেলিযোগাযোগ বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমেদ তৈয়ব ঢাকা থেকে ভার্চুয়ালি আলোচনায় যোগ দেন। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও মার্কিন রাজধানীতে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

কৃষি, জ্বালানি, বাণিজ্য এবং কপিরাইট সংস্থাগুলোর ঊর্ধ্বতন মার্কিন কর্মকর্তারাও বৈঠকে যোগ দেন।

উভয় পক্ষ বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় রাত ৯টায় তাদের বৈঠক আবারও শুরু করবে। শুক্রবারও আলোচনা চলবে।

গেল ৮ জুলাই যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি পণ্যের ওপর ৩৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ১ আগস্ট থেকে কার্যকর হতে যাওয়া এই সিদ্ধান্তের কারণ ব্যাখ্যা করে তিনি বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে একটি চিঠিও পাঠিয়েছেন। ট্রাম্পের এই চিঠির পরই বিষয়টি নিয়ে আলোচনায় বসে ঢাকা ও ওয়াশিংটন। 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: য ক তর ষ ট র উপদ ষ ট

এছাড়াও পড়ুন:

গাবতলীতে ট্রাফিক সার্জেন্টকে ‘দায়িত্ব পালনে বাধা ও লাঞ্ছিত করার’ দায়ে এক দম্পতিকে জেল-জরিমানা

রাজধানীর গাবতলী মাজার রোডে পুলিশ সার্জেন্টকে দায়িত্ব পালনে বাধা ও লাঞ্ছিত করার দায়ে একটি প্রাইভেট কারের মালিক মো. শামীম মোল্লাকে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) স্পেশাল মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত।

ডিএমপির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বৃহস্পতিবার সকাল সোয়া সাতটার দিকে মিরপুর ট্রাফিক বিভাগে কর্মরত সার্জেন্ট আবু সুফিয়ান গাবতলী মাজার রোডে সিগন্যাল অমান্য করায় একটি প্রাইভেট কারকে থামার সংকেত দেন। এ সময় তিনি গাড়ির কাগজপত্র দেখতে চাইলে প্রাইভেট কারটির মালিক ও তাঁর স্ত্রী আয়েশা খাতুন গাড়ি থেকে বের হয়ে সার্জেন্টকে দায়িত্ব পালনে বাধা দেন এবং তাঁকে লাঞ্ছিত করেন। এ সময় সার্জেন্ট আবু সুফিয়ান পথচারীদের সহযোগিতায় তাঁদের আটক করে দারুসসালাম থানায় হস্তান্তর করেন।

আটক শামীম মোল্লা ও তাঁর স্ত্রী আয়েশা খাতুনকে স্পেশাল মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে উপস্থাপন করা হলে আদালত শামীম মোল্লাকে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন। এ সময় তাঁর স্ত্রী আয়েশা খাতুনকেও ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ