কূটনৈতিক প্রতিবেদক
বাংলাদেশিদের জন্য ড্রোন প্রযুক্তিতে প্রশিক্ষণের সুযোগ দিচ্ছে চীন। আগ্রহীদের আগামী ১ জুনের মধ্যে আবেদন করার আহ্বান জানিয়েছে ঢাকায় চীনা দূতাবাস।

মঙ্গলবার (২৭ মে) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

আরো পড়ুন:

ধনীদের বসবাসের জন্য জনপ্রিয় ১০ শহর

বাংলাদেশ-চীন বিনিয়োগ সম্মেলন ১ জুন

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ১৪ এপ্রিল জাতীয় সংসদ ভবনে একটি চীনা ড্রোন প্রদর্শনী সফলভাবে অনুষ্ঠিত হয়। বাংলা নববর্ষ এবং চীন-বাংলাদেশ কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর উপলক্ষে এই আয়োজনটি বিশেষ গুরুত্ব বহন করে।

এই ধারাবাহিকতায় চীনের ক্রোস্টারস ইনোভেশন কালচার অ্যান্ড ট্যুরিজম টেকনোলজি গ্রুপ, বাংলাদেশের সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় দেশটির কারিগরি কর্মীদের জন্য এক মাসব্যাপী বিনামূল্যের ড্রোন প্রশিক্ষণ কর্মসূচি আয়োজন করেছে। প্রশিক্ষণটি আগামী জুনের মাঝামাঝি থেকে জুলাইয়ের মাঝামাঝি সাংহাইয়ে অনুষ্ঠিত হবে এবং ইংরেজি মাধ্যমে পরিচালিত হবে।

প্রশিক্ষণ কর্মসূচিটি দুটি পর্যায়ে ভাগ করা হয়েছে। প্রথম পর্যায়ে ড্রোন তৈরির পারফরম্যান্সের জন্য প্রয়োজনীয় মৌলিক জ্ঞান এবং প্রোগ্রামিং দক্ষতা অর্জনের জন্য ১-২ সপ্তাহ কোর্স করানো হবে।

দ্বিতীয় পর্যায়ে ক্রোস্টারসের মালিকানাধীন ড্রোন মডেলগুলোর জন্য বিশেষভাবে প্রোগ্রামিংয়ের ওপর ১-২ সপ্তাহ উন্নত কোর্স করানো হবে।

প্রতিটি পর্যায়ের সঠিক সময়কাল অংশগ্রহণকারীদের বিদ্যমান কম্পিউটার স্বাক্ষরতা এবং প্রোগ্রামিং অভিজ্ঞতার ওপর নির্ভর করবে।

আগ্রহীরা [email protected] ইমেইলে আগামী ১ জুনের মধ্যে আবেদন করতে পারবেন।

ঢাকা/হাসান/রাসেল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

মার্কিন নাগরিকদের বক্তব্য ‘সেন্সর’ করলে বিদেশি কর্মকর্তাদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেবে যুক্তরাষ্ট্র

যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের বক্তব্য ‘সেন্সর’ করা বা তাঁদের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা খর্ব করলে, এর সঙ্গে জড়িত বিদেশি কর্মকতাদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেবে ওয়াশিংটন। যুক্তরাষ্ট্র পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বুধবার এ সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন। নতুন এ নীতির আওতায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা বিদেশি কর্মকর্তাদের নিশানা করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি।

এ ‘সেন্সর’ বলতে কী বোঝানো হচ্ছে, তার কোনো উদাহরণ দেননি রুবিও। ইউরোপীয় মিত্রদের বিরুদ্ধে এরই মধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিয়ন্ত্রণের অভিযোগ এনেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো ও দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বুধবার এক বিবৃতিতে বলেছেন, মতপ্রকাশের স্বাধীনতার যে সুরক্ষা যুক্তরাষ্ট্র দিয়েছে, তা নিয়ন্ত্রণের জন্য দায়ী বিদেশি কর্মকর্তাদের ওপর নতুন ভিসা নিষেধাজ্ঞা নীতি কার্যকর হবে। যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে বসে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে করা পোস্টের জন্য বিদেশি কর্মকর্তারা যে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন বা হুমকি দেন, তা মেনে নেওয়া যায় না।

মার্কো রুবিও বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তি প্ল্যাটফর্মগুলোকে ‘বৈশ্বিক আধেয় নিয়ন্ত্রণ নীতি’ মেনে চলতে বলা এবং নিজেদের ক্ষমতার আওতার বাইরে গিয়ে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিয়ন্ত্রণের কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকা বিদেশি কর্মকর্তাদের জন্য গ্রহণযোগ্য নয়। কিছু বিদেশি কর্মকর্তা যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ও নাগরিকদের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ নিয়েছেন, যা তাঁদের এখতিয়ারের বাইরে।

ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামের মালিকানা প্রতিষ্ঠান মেটা জানিয়েছে, ‘ডিজিটাল সার্ভিসেস অ্যাক্ট’ নামে একটি আধেয় নিয়ন্ত্রণ আইন করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। এ আইনের মাধ্যমে তাদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোয় ব্যবহারকারীদের মতামত নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। গত মার্চে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল কমিউনিকেশনস কমিশনের চেয়ারম্যান বলেছিলেন, ওই আইনের মাধ্যমে মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর ব্যাপক হারে বিধিনিষেধ আরোপ করা হচ্ছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ