সিরাজগঞ্জে সবজি ব্যবসায়ী নাজমুল ইসলাম (২৫) হত্যা মামলায় ৬ জনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে দণ্ডপ্রাপ্ত সবাইকে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা ও অনাদায়ে আরও এক মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

জেলা ও দায়রা জজ এম আলী আহমেদ মঙ্গলবার সকালে আসামিদের অনুপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন। আদালতের পেশকার মো. মনোয়ার হোসেন রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মামলার রায়ের সময় সরকারি পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট রফিক সরকার ও আসামিপক্ষের আইনজীবী আবুল কালাম আজাদ উপস্থিত ছিলেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার পারধুন্দিয়া গ্রামের হায়দার আলীর ছেলে খাজা মিয়া ও অপর ছেলে বসু মিয়া, হরিনাথপুর গ্রামের মৃত ময়েজ উদ্দিনের ছেলে এনামুল হক, দরগাপাড়া গ্রামের মৃত মজিবর শেখের ছেলে মুজাহিদ শেখ, মাদারদহ পূর্বপাড়া গ্রামের আব্দুর রহমান প্রধানের ছেলে সাইফুল ইসলাম এবং সাঘাটা উপজেলার রামনগর গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে  মিলন সরকার। 

মামলার ৭ নম্বর আসামি গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার সাইফুল ইসলাম মারা যাওয়ায় তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। আসামিদের কেউ আদালতে ছিলেন না। সকলেই পলাতক।

মামলার নথি থেকে জানা যায়, নওগাঁ জেলা সদরের বলিহার ইউনিয়নের কিসমত-কসবা গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে নাজমুল ইসলাম সবজি বিক্রেতা। নওগাঁর চক গৌরিহাট থেকে সবজি কিনে তিনি ঢাকায় বিক্রি করতেন। 

২০১৭ সালের ১০ আগস্ট সবজি বিক্রেতা নাজমুল সবজি বিক্রি করে ঢাকার বাইপাইল থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। পরে তাকে পথে অপহরণ করা হয়। নাজমুলকে অপহরণের পর তার পরিবারের কাছে মুক্তিপণ দাবি করে অপহরণকারীরা। এরপর মুক্তিপণের ১০ লাখ টাকা না পেয়ে সবজি ব্যবসায়ী নাজমুলকে হত্যা করে তারা। অপহরণের ২দিন পর সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা থানাধীন ঢাকা-বগুড়া মহাসড়ক সংলগ্ন রুপসি বাংলা হোটেলের পাশ থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। 

মরদেহ উদ্ধারের পর এ ঘটনায় সলঙ্গা থানায় মামলা হলে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। অপহরণের পর ভুক্তভোগীর পরিবারের নিকট অপহরণকারীদের ফোনের কল লিস্ট এর সূত্র ধরে তদন্ত করা হয়। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: হত য ল ইসল ম

এছাড়াও পড়ুন:

মাধবপুরের ট্রিপল মার্ডার মামলার রায়, দেবর শাহ আলমের মৃত্যুদণ্ড

হবিগঞ্জের মাধবপুরে জমিসংক্রান্ত বিরোধের জেরে ভাবি-ভাতিজিসহ ট্রিপল মার্ডার মামলার রায়ে দেবর শাহ আলমের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার (২০ মে) দুপুরে হবিগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ (১) এর আদালতের বিচারক সৈয়দ মোহাম্মদ কায়সার মোশারফ ইউসুফ এ রায় প্রদান করেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত শাহ আলম ওরফে তাহের উদ্দিন (৫০) জেলার মাধবপুর উপজেলার ধর্মঘর ইউনিয়নের বীরসিংহপাড়া গ্রামের বাসিন্দা।

মামলার আইনজীবী অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন বলেন,   ‘‘আমরা রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করছি। পাশাপাশি দ্রুত সময়ের মধ্যে যাবতীয় কাজ শেষ করে রায় কার্যকরের দাবি জানাই। ’’ 

বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সুফি মিয়া বলেন,   ‘‘রায়ে আমরা খুশি না। শিগগিরই উচ্চ আদালতে আপিল করা হবে। ’’ 

মামলার এজাহার থেকে জানা গেছে, শাহ আলম ওরফে তাহের উদ্দিনের সঙ্গে তার ভাবি জাহানারা খাতুনের জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। এরই জেরে ২০১৬ সালের ২৩ আগস্ট সন্ধ্যায় ছুরিকাঘাতে ভাবিকে কুপিয়ে ক্ষতবিক্ষত করে। এ সময় তার চিৎকারে মেয়ে শারমিন আক্তার ও ভাতিজা শিমুল মিয়া এগিয়ে এলে তাদেরকেও ছুরিকাঘাত করা হয়। এতে ঘটনাস্থলেই ভাবি মারা যান। গুরুতর আহত অবস্থায় ভাতিজি ও ভাতিজাকে হাসপাতালে নেওয়া হলে তারাও মারা যান।

এ ঘটনায় নিহত গৃহবধূর দুলাভাই মোহন মিয়া বাদী হয়ে ২৪ আগস্ট একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলাটি দীর্ঘ তদন্ত শেষে পিবিআই ২০১৭ সালের ৫ ডিসেম্বর আসামির বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। মামলায় ১৮ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে (মঙ্গলবার) আসামির উপস্থিতিতে বিচারক এ রায় প্রদান করেন।

ঢাকা/মামুন/টিপু 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • দুদকের মামলায় খালাস পেলেন এনটিভির চেয়ারম্যান মোসাদ্দেক আলী
  • জনগুরুত্বপূর্ণ ও সাংবিধানিক মামলার কার্যক্রম সরাসরি সম্প্রচারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ কেন নয়
  • রাজনৈতিক দল হিসেবে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনকে নিবন্ধন দিতে নির্দেশ কেন নয়
  • ইশরাককে মেয়র ঘোষণার গেজেট স্থগিত চেয়ে রিটে আদেশ কাল
  • ধর্ষণ মামলায় কারাগারে নোবেল
  • অপহরণ ও ধর্ষণ মামলায় গ্রেপ্তার নোবেল, যা বললেন সাবেক স্ত্রী
  • মাধবপুরের ট্রিপল মার্ডার মামলার রায়, দেবর শাহ আলমের মৃত্যুদণ্ড
  • সিরাজগঞ্জে ব্যবসায়ী হত্যা মামলার রায়ে ৬ আসামির মৃত্যুদণ্ড
  • বন্দরে পুলিশের মেয়ে অপহরণের ঘটনায় থানায় মামলা