ফরিদপুর ও রাজবাড়ী জেলার শিক্ষার্থীদের নিয়ে অনুষ্ঠিত হলো দুর্নীতিবিরোধী রচনা, বিতর্ক ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা। বুধবার দিনব্যাপী এই অনুষ্ঠানের বিভিন্ন পর্বে সর্বক্ষেত্রে দুর্নীতিকে না বলার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন বক্তারা।

ফরিদপুর শহরের অম্বিকা মেমোরিয়াল হলে বিকেলে প্রতিযোগিতার বিভিন্ন পর্বের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান মোল্লা। সেখানে দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় ফরিদপুরের উপ-পরিচালক রতন কুমার দাসের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা শিক্ষা অফিসার বিষ্ণুপদ ঘোষাল ও জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি প্রফেসর সুলতান মাহমুদ হীরক।

দুদক ফরিদপুর ও জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির আয়োজনে দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালায় দুর্নীতি বিরোধী বিভিন্ন বিষয়কে প্রতিপাদ্য করে রচনা প্রতিযোগিতা, চিত্রাঙ্কন ও বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।

রাজবাড়ী ও ফরিদপুর দলের মধ্যে অনুষ্ঠিত বিতর্কে বিজয়ী হন ফরিদপুর জেলা দল। সেরা বক্তা নির্বাচিত হন ফরিদপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সারিয়া সপ্তর্ষি। নয় রাউন্ড বিতর্কে পর্যায়ক্রমে মডারেটরের দায়িত্ব পালন করেন জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সাধারণ সম্পাদক হাসানউজ্জামান, ফরিদপুর ডিবেট ফোরামের তাহসিনা রহমান দিনা ও মেহজাবিন হাসান দিবা।

দুর্নীতিবিরোধী রচনা প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করেন ফরিদপুরের সারদা সুন্দরী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের তাসমিয়া বিনতে জামান। চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় প্রথম হন ফরিদপুরের ঈশান ইনস্টিটিউশনের শিক্ষার্থী নুসরাত জাহান।

বিকেলে আলোচনা ও সমাপনী পর্বে প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান মোল্লা তার বক্তব্যে বলেন, দুর্নীতি হচ্ছে মাদকের মত, এক বার এতে অভ্যস্ত হলে সারা জীবনই এটার প্রতি আসক্তি থেকে যায়।

তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, ছোট কর্মচারীরা না হয় বেতন কম পান তাই ঘুষ খান, কিন্তু বড় বড় রাঘব বোয়ালরা যে দুর্নীতি করছে, অর্থ-পাচার করছে, তার কারণ কী? তাদের তো কোনো অভাব নেই। এ জন্য পরিবার থেকে শিক্ষা দিতে হবে যাতে সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে আমাদের সন্তানরা বেড়ে উঠতে পারে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব তর ক অন ষ ঠ ত

এছাড়াও পড়ুন:

৬৫ শিল্পীর কর্ম নিয়ে 'রবীন্দ্রনামা'

দেশের ৬৫ জন শিল্পীর কর্ম নিয়ে ঢাকায় শুরু হয়েছে সপ্তাহব্যাপী প্রদর্শনী- ‘রবীন্দ্রনামা’। বৃহস্পতিবার ইন্দিরা গান্ধী সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা এ প্রদর্শনী উদ্বোধন করেন।

প্রণয় ভার্মা বলেন, ‘রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর শুধু একজন কবি, চিত্রশিল্পী, দার্শনিক, নাট্যকার, সুরকার, শিক্ষাবিদ এবং সমাজ সংস্কারকই ছিলেন না, তিনি ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে একটি চিরন্তন সাংস্কৃতিক সেতুবন্ধও ছিলেন। আমাদের দুই দেশের জাতীয় সঙ্গীতের রচয়িতা হিসেবে তার উত্তরাধিকার আমাদের ঐক্যের প্রতীক।

প্রদর্শনীর কিউরেটর সঞ্জয় চক্রবর্তী বলেন, শুধু শ্রদ্ধা নিবেদন নয়, রবীন্দ্রনামা হচ্ছে রবীন্দ্রনাথকে নবপ্রজন্মের কাছে পৌঁছে দেওয়ার একটি প্রয়াস। আমরা চাই, রবীন্দ্রচেতনা হোক সকলের জন্য উন্মুক্ত ও বিশ্লেষণযোগ্য।

প্রদর্শনীর উদ্বোধন পর্ব শেষে সংগীতানুষ্ঠানে অংশ নেন ধ্রুপদী ও রবীন্দ্রসংগীতের বিশিষ্ট শিল্পী দম্পতি ড. ঋতুপর্ণা চক্রবর্তী ও ড. সুভীর কুমার চক্রবর্তী।

এতে অংশ নেন রফিকুন নবী, আবুল বারাক আলভী, জামাল আহমেদ, রঞ্জিত দাস, শহিদ কবীর, ঢালী আল মামুন, মুস্তাফা খালিদ পলাশ, বিপাশা হায়াত সহ আরও বহু গুণী শিল্পী। প্রদর্শনীটি কিউরেট করা হয়েছে প্রফেসর হামিদুজ্জামান খান, প্রফেসর আবুল বারক আলভী ও প্রফেসর নিসার হোসেনের দিকনির্দেশনায়।

উল্লেখ্য, ২০১১ সালে রবীন্দ্রনাথের ১৫০তম জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে যাত্রা শুরু করা ‘রবীন্দ্রনামা’ প্রজেক্টটি ১৪ বছর পরে আজ নতুন করে প্রাণ পেয়েছে। শিল্পী ও শিক্ষক ওয়াকিলুর রহমান, প্রফেসর নিসার হোসেন ও রশিদ আমিনের সহায়তায় এটি প্রথমে একটি প্রিন্ট ফোলিও আকারে প্রকাশ পায়। সময়ের সঙ্গে এই প্রজেক্টটি হয়ে উঠেছে রবীন্দ্র ভাবনার এক দৃষ্টিনন্দন দালিলিক নিদর্শন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ