টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার চাকন্দ গ্রামের মেয়ে আরজিনা। উচ্চমাধ্যমিকের গণ্ডি পেরিয়ে ঢাকায় এসে মিরপুরের গ্রামীণ ক্যালেডোনিয়ান কলেজ অব নার্সিং থেকে ডিপ্লোমা ইন নার্সিং অ্যান্ড মিডওয়াইফারি করেন তিনি। এরপর কাজ শুরু করেন আজগর আলী হাসপাতালের নিওনেটাল ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (এনআইসিইউ)। ওই বছর তাঁর বিয়েও হয়। পরের বছর সরকারি চাকরিতে ঢোকার সুযোগ পান। সিনিয়র স্টাফ নার্স হিসেবে পদায়ন হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানেও কাজের সুযোগ হয় এনআইসিইউতে। জীবন চলছিল চমৎকার ছন্দে, হাসি-আনন্দে।

২০২০ সালের জুলাইয়ের শেষ দিকে হঠাৎ খানিকটা অসুস্থ হয়ে পড়েন। খাবার খেতে গেলেই গলা আর চোয়ালে ব্যথা হচ্ছিল। মাঝরাতের পর জ্বর। দাঁত ব্রাশ করার সময় রক্তও পড়ছিল। দুর্বল শরীর নিয়েও হাসপাতালে অসুস্থ নবজাতকদের সেবাদান চলতে থাকে। ১৫ থেকে ২০ দিনের মাথায় কর্মস্থলেই সহকর্মী সুলতানা পারভীন হঠাৎ খেয়াল করলেন, আরজিনার হাত দুটি ভীষণ ফ্যাকাশে। সুলতানা পারভীনই প্রথম ধারণা করলেন, রক্তশূন্যতায় ভুগছেন আরজিনা। সাদামাটা লক্ষণগুলোকে গুরুত্ব দিতে বললেন সুলতানা।

প্রথম ধাক্কাঅনেকের ভুল ধারণা আছে, ক্যানসারমুক্ত হলেও নারীরা আর সন্তান নিতে পারেন না। আরজিনা তাই সন্তানকে কোলে নিয়েই একটা ছবি তুলতে চাইলেন.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: আরজ ন

এছাড়াও পড়ুন:

১৪৬টি ইনজেকশন ও ১২০০ ট্যাবলেট খেয়ে ক্যানসারমুক্ত হন আরজিনা

টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার চাকন্দ গ্রামের মেয়ে আরজিনা। উচ্চমাধ্যমিকের গণ্ডি পেরিয়ে ঢাকায় এসে মিরপুরের গ্রামীণ ক্যালেডোনিয়ান কলেজ অব নার্সিং থেকে ডিপ্লোমা ইন নার্সিং অ্যান্ড মিডওয়াইফারি করেন তিনি। এরপর কাজ শুরু করেন আজগর আলী হাসপাতালের নিওনেটাল ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (এনআইসিইউ)। ওই বছর তাঁর বিয়েও হয়। পরের বছর সরকারি চাকরিতে ঢোকার সুযোগ পান। সিনিয়র স্টাফ নার্স হিসেবে পদায়ন হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানেও কাজের সুযোগ হয় এনআইসিইউতে। জীবন চলছিল চমৎকার ছন্দে, হাসি-আনন্দে।

২০২০ সালের জুলাইয়ের শেষ দিকে হঠাৎ খানিকটা অসুস্থ হয়ে পড়েন। খাবার খেতে গেলেই গলা আর চোয়ালে ব্যথা হচ্ছিল। মাঝরাতের পর জ্বর। দাঁত ব্রাশ করার সময় রক্তও পড়ছিল। দুর্বল শরীর নিয়েও হাসপাতালে অসুস্থ নবজাতকদের সেবাদান চলতে থাকে। ১৫ থেকে ২০ দিনের মাথায় কর্মস্থলেই সহকর্মী সুলতানা পারভীন হঠাৎ খেয়াল করলেন, আরজিনার হাত দুটি ভীষণ ফ্যাকাশে। সুলতানা পারভীনই প্রথম ধারণা করলেন, রক্তশূন্যতায় ভুগছেন আরজিনা। সাদামাটা লক্ষণগুলোকে গুরুত্ব দিতে বললেন সুলতানা।

প্রথম ধাক্কাঅনেকের ভুল ধারণা আছে, ক্যানসারমুক্ত হলেও নারীরা আর সন্তান নিতে পারেন না। আরজিনা তাই সন্তানকে কোলে নিয়েই একটা ছবি তুলতে চাইলেন

সম্পর্কিত নিবন্ধ