১৪৬টি ইনজেকশন ও ১২০০ ট্যাবলেট খেয়ে ক্যানসারমুক্ত হন আরজিনা
Published: 28th, May 2025 GMT
টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার চাকন্দ গ্রামের মেয়ে আরজিনা। উচ্চমাধ্যমিকের গণ্ডি পেরিয়ে ঢাকায় এসে মিরপুরের গ্রামীণ ক্যালেডোনিয়ান কলেজ অব নার্সিং থেকে ডিপ্লোমা ইন নার্সিং অ্যান্ড মিডওয়াইফারি করেন তিনি। এরপর কাজ শুরু করেন আজগর আলী হাসপাতালের নিওনেটাল ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (এনআইসিইউ)। ওই বছর তাঁর বিয়েও হয়। পরের বছর সরকারি চাকরিতে ঢোকার সুযোগ পান। সিনিয়র স্টাফ নার্স হিসেবে পদায়ন হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানেও কাজের সুযোগ হয় এনআইসিইউতে। জীবন চলছিল চমৎকার ছন্দে, হাসি-আনন্দে।
২০২০ সালের জুলাইয়ের শেষ দিকে হঠাৎ খানিকটা অসুস্থ হয়ে পড়েন। খাবার খেতে গেলেই গলা আর চোয়ালে ব্যথা হচ্ছিল। মাঝরাতের পর জ্বর। দাঁত ব্রাশ করার সময় রক্তও পড়ছিল। দুর্বল শরীর নিয়েও হাসপাতালে অসুস্থ নবজাতকদের সেবাদান চলতে থাকে। ১৫ থেকে ২০ দিনের মাথায় কর্মস্থলেই সহকর্মী সুলতানা পারভীন হঠাৎ খেয়াল করলেন, আরজিনার হাত দুটি ভীষণ ফ্যাকাশে। সুলতানা পারভীনই প্রথম ধারণা করলেন, রক্তশূন্যতায় ভুগছেন আরজিনা। সাদামাটা লক্ষণগুলোকে গুরুত্ব দিতে বললেন সুলতানা।
প্রথম ধাক্কাঅনেকের ভুল ধারণা আছে, ক্যানসারমুক্ত হলেও নারীরা আর সন্তান নিতে পারেন না। আরজিনা তাই সন্তানকে কোলে নিয়েই একটা ছবি তুলতে চাইলেন.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: আরজ ন
এছাড়াও পড়ুন:
সেন্ট মার্টিনে পর্যটক পরিবহন শুরু কাল, তিন জাহাজে যাচ্ছেন ১২০০ পর্যটক
আগামীকাল সোমবার (১ ডিসেম্বর) কক্সবাজার থেকে সেন্ট মার্টিন দ্বীপে পর্যটক পরিবহন কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। ডিসেম্বর ও জানুয়ারি—দুই মাস প্রতিদিন দুই হাজার করে পর্যটক দ্বীপে ভ্রমণ ও রাতযাপনের সুযোগ পাবেন। যাত্রার প্রথম দিনে তিনটি জাহাজে মোট ১ হাজার ২০০ পর্যটক সেন্ট মার্টিন যাচ্ছেন বলে জানিয়েছে জাহাজমালিকদের সংগঠন।
প্রতিদিন সকাল সাতটার দিকে কক্সবাজারের নুনিয়ারছটা বিআইডব্লিউটিএ জেটিঘাট থেকে পর্যটকবাহী জাহাজ ছেড়ে যাবে। ১২০ কিলোমিটার সমুদ্রপথ পাড়ি দিয়ে বেলা দেড়টার দিকে সেন্ট মার্টিন পৌঁছাবে। পরদিন বেলা তিনটার দিকে পর্যটক নিয়ে জাহাজ কক্সবাজারে ফিরবে। একদিকে যেতে সময় লাগে ৬ থেকে ৭ ঘণ্টা।
‘সি ক্রুজ অপারেটর ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ’-এর সাধারণ সম্পাদক হোসাইন ইসলাম বাহাদুর প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা প্রথম দিনে দুই হাজার পর্যটক আশা করেছিলাম। কিন্তু এখন পর্যন্ত তিনটি জাহাজে ১ হাজার ২০০ টিকিট বিক্রি হয়েছে। রাতের মধ্যে আরও কিছু টিকিট বিক্রি হতে পারে। পর্যটক কমে গেলে সব জাহাজ চালানো সম্ভব হবে না।’ তিনি জানান, সোমবার সকালে এমভি কর্ণফুলী এক্সপ্রেস, এমভি বার আউলিয়া ও কেয়ারি সিন্দাবাদ নিয়ে পর্যটকদের প্রথম বহর দ্বীপে যাবে।
সেন্ট মার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ফয়েজুল ইসলাম বলেন, ‘টানা ১০ মাস বন্ধ থাকার পর ডিসেম্বর থেকে দুই মাসের জন্য দ্বীপ খুললেও পর্যটকের সাড়া কম। ২৩০টির বেশি হোটেল–রিসোর্ট, কটেজ থাকলেও অধিকাংশ কক্ষ খালি পড়ে থাকার আশঙ্কা আছে।’
কঠোর নির্দেশনা মানতে হবেসরকারি ঘোষণায় বলা হয়, ১ নভেম্বর থেকে সেন্ট মার্টিন ভ্রমণের অনুমতি থাকলেও রাতযাপনের সুযোগ না থাকায় এবং জাহাজ চলাচল বন্ধ থাকায় নভেম্বরে কেউ ভ্রমণে যেতে পারেননি। ডিসেম্বর–জানুয়ারি দুই মাস রাতযাপনের অনুমতি থাকলেও জাহাজ চলাচলের জন্য বিআইডব্লিউটিএ এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
পর্যটকদের অবশ্যই বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের স্বীকৃত অনলাইন প্ল্যাটফর্ম থেকে টিকিট সংগ্রহ করতে হবে। প্রতিটি টিকিটে ট্রাভেল পাস ও কিউআর কোড থাকবে। কিউআর কোড ছাড়া টিকিট নকল হিসেবে গণ্য হবে।
দ্বীপের এমন সৌন্দর্য বিমোহিত করে পর্যটকদের