উন্নত চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ডে পাঠানো হয়েছে আহত সাত জুলাই যোদ্ধাকে। মঙ্গলবার বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে তাদের থাইল্যান্ডে পাঠানো হয়। তারা দেশটির স্থানীয় একটি হাসপাতালে চিকিৎসা নেবেন।

স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগমের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা ডা. মাহমুদুল হাসান জানান, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টায় সবাইকে অ্যাম্বুলেন্সে বিমানবন্দরে নেওয়া হয়। এ নিয়ে মোট ৪৭ জন আহত জুলাই যোদ্ধাকে বিদেশে পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে অনেকেই উন্নত চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরে এসেছেন। আরও ২০ জনেরও বেশি আহত যোদ্ধাকে দেশের বাইরে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।

তিনি আরও জানান, আহত সাতজনের মধ্যে ঢাকা মেডিকেল কলেজে চিকিৎসাধীন একজন, বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসাধীন একজন, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস থেকে তিনজন ও সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সিএমএইচ) থেকে দু’জন ছিলেন। এর মধ্যে সিএমএইচের আশরাফুলের শরীরের ওপর থেকে নিচ পর্যন্ত সম্পূর্ণ পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে গেছে। ৫ আগস্ট আন্দোলনের সময় তিনি যাত্রাবাড়ী এলাকায় ছিলেন। নিউরোসায়েন্সেসে চিকিৎসাধীন তরুণের বাম পা অবশ হয়ে গেছে। বাকি সবাই স্নায়ুজনিত কারণে স্বাভাবিক চলাচলের সক্ষমতা হারিয়েছেন। সর্বশেষ খোকন চন্দ্র বর্মণ নামে এক জুলাই যোদ্ধা মুখের সার্জারির প্রথম ধাপ শেষ করে রাশিয়া থেকে দেশে ফিরে এসেছেন গত ৭ মে।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

স্টার নই, আমি একজন অভিনেতা: বোমান ইরানি

বোমান ইরানি। বলিউড অভিনেতা ও নির্মাতা। ৭৮তম কান চলচ্চিত্র উৎসবের বাণিজ্যিক শাখায় (মার্সে দু ফিল্ম) অনুপম খের পরিচালিত ছবি ‘তানভি দ্য গ্রেট’ প্রদর্শিত হয়েছে। এ সিনেমায় অভিনয় করেছেন বোমান ইরানি। ছবিটি নিয়েই পৃথিবীর অন্যতম বড় চলচ্চিত্র উৎসবে আসা। কান সাগরপারে কথা হয় তাঁর সঙ্গে....

কানে আপনাকে দেখে সত্যিই ভালো লাগছে। ‘তানভি দ্য গ্রেট’ নিয়ে প্রচুর প্রশংসা হচ্ছে। এই অভিজ্ঞতা কেমন?
(হাসি) কানে আসা সবসময়ই এক অন্যরকম অভিজ্ঞতা। তবে এবার ‘থানভি দ্য গ্রেট’ নিয়ে এসেছি, যেটা আমার বন্ধু অনুপম খেরের প্রথম নির্মাণ। ওর ছবি মানে আমারও ছবি। তাই এই ছবিতে আমি শুধু অভিনেতা নই। এটা আমার আত্মার একটি কাজ। অনুপম খেরের পরিচালনায় কাজ করাটা নিজের ঘরেই অভিনয় করার মতো ছিল। গল্পটা যেমন শক্তিশালী, তেমনি বাস্তব ও স্পর্শকাতর। এমন একটা ছবি কানে প্রদর্শিত হওয়াটা সত্যিই আনন্দের।

আপনি অনেক দেরিতে চলচ্চিত্রে এসেছেন। মুম্বাইয়ের ফটোগ্রাফার থেকে আজ কানের লালগালিচায়– যাত্রাটা কেমন ছিল?
কঠিন, কিন্তু সুন্দর। আমার ক্যারিয়ার শুরু হয় থিয়েটার দিয়ে, তারপর বিজ্ঞাপন, তারপর সিনেমা। ৪০-এর কাছাকাছি বয়সে বলিউডে পা রাখি। প্রথম বড় ব্রেক ‘মুন্নাভাই এমবিবিএস’। তারপর আর পেছনে তাকাতে হয়নি। আমি বিশ্বাস করি, বয়স কোনো বাধা নয়। যদি আপনি মনপ্রাণ দিয়ে চেষ্টা করেন, সঠিক সময় এলে সঠিক দরজা খুলবেই। আমারও খুলেছে। এখনও বলিউডে কাজ করছি। কানে  সিনেমা নিয়ে ঘুরছি।

সিনেমায় আপনার চরিত্রগুলো সবসময়ই খুব আলাদা হয়– “৩ ইডিয়টস”-এর ভাইরাস, “মুন্নাভাই”-এর ডিন, “হাউজফুল”-এর কৌতুকপূর্ণ চরিত্র… চরিত্র নির্বাচন করেন কীভাবে?
আমি চেষ্টা করি এমন চরিত্র বেছে নিতে, যা মানুষ মনে রাখবে। কমেডি হোক বা সিরিয়াস, চরিত্রে যদি স্তর থাকে, গল্পে যদি প্রাণ থাকে– তবেই করি। আমি স্টার নই, একজন অভিনেতা। আমি মনে করি স্টার হলো আপনি চরিত্র হয়ে উঠতে পারবেন না। কিন্তু যদি অভিনেতা হন তা হলে আপনার সামনে দুয়ার খোলা। তবে এজন্য আমাকে গল্প চাই, সংলাপ চাই, আর একটা ভালো পরিচালক পেতে হবে।

অনুপম খের আপনার খুব কাছের বন্ধু। দারুণ অভিনেতা। তাঁর পরিচালনায় অভিনয়ের অভিজ্ঞতা কেমন?
অনুপম তো একজন দুর্দান্ত অভিনেতা, সেটা আমরা জানি। কিন্তু পরিচালক হিসেবে তিনি আমাকে চমকে দিয়েছেন। প্রতিটি দৃশ্যের গভীরতা, আবেগের সূক্ষ্মতা এবং চরিত্রের ভেতরের দ্বন্দ্ব বোঝাতে উনি যেভাবে আমাদের দিকনির্দেশনা দিয়েছেন, তা অনবদ্য। প্রথম দিনেই অনুপম বললেন, ‘এটা অভিনয় নয়, এটা উপলব্ধি করতে হবে।’ তখন বুঝলাম ও দারুণ কিছু বানাবে। বানিয়েছেও।

‘থানভি দ্য গ্রেট’ ছাড়াও কি আপনার কাছে আরও কোনো নতুন কাজের খবর জানতে পারি?
হ্যাঁ, আমি এখন নিজের লেখা ও পরিচালনায় একটি ছবি প্রস্তুত করছি। গল্পটা আমার বহুদিনের স্বপ্ন। সেইসঙ্গে একটা আন্তর্জাতিক প্রজেক্টের কথাবার্তাও চলছে। তবে আমি কখনো তাড়াহুড়া করি না। ভালো কিছুই করতে চাই।

বর্তামান সময়ের বলিউডের প্রজেক্ট নিয়ে নানা আলোচনা সমালোচনা হয়। এখনকার বলিউডকে আপনি কীভাবে দেখেন?
বলিউড এখন একটা পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। গল্পভিত্তিক সিনেমার চাহিদা বেড়েছে। দর্শক এখন কনটেন্ট-চালিত ছবি দেখতে চায়, বড় নাম নয়। এটা খুবই ইতিবাচক পরিবর্তন। ওটিটি প্ল্যাটফর্মও অনেক নতুন প্রতিভাকে জায়গা দিচ্ছে। সব ইন্ডাষ্ট্রিতেই পরিবর্তন ও থমকে যাওয়ার ব্যাপারটি থাকে। সেটা সাময়িক। বলিউড তার নিজস্ব গতিতেই চলবে।

আপনি তরুণদের জন্য “স্পাইরাল বাউন্ড” নামে এক স্ক্রিপ্ট রাইটিং ইনিশিয়েটিভও চালাচ্ছেন। একটু বলবেন?
হ্যাঁ, স্ক্রিপ্ট লেখার গুরুত্ব আমি বুঝি। “স্পাইরাল বাউন্ড” একটা এমন প্ল্যাটফর্ম, যেখানে লেখকরা শিখতে পারে কীভাবে আন্তর্জাতিক মানের স্ক্রিপ্ট তৈরি করা যায়। আমি চাই, নতুন প্রজন্ম গল্প বলার ক্ষমতা অর্জন করুক– এই শিল্পটা তাঁদের হাতেই এগিয়ে যাবে।

জীবনের এই পর্যায়ে দাঁড়িয়ে, আপনি নিজেকে কোথায় দেখতে পান?
আমি এখনও শিখছি। প্রতিটি দিন, প্রতিটি চরিত্র, প্রতিটি সেট– সবই আমাকে নতুন কিছু শেখায়। আমি শুধু চাই ভালো গল্পে কাজ করে যেতে, নতুন প্রজন্মকে উৎসাহ দিতে এবং ভালো মানুষ হিসেবে বাঁচতে।

আপনার কথাগুলো অনুপ্রেরণাদায়ক। ধন্যবাদ এত সুন্দর সময় ও অনুভূতির জন্য। বাংলাদেশের দর্শকদের নিয়ে কিছু বলার আছে?
ধন্যবাদ। বাংলাদেশ আমাদের প্রতিবেশী। বাংলাদেশের সব দর্শককে আমার ভালোবাসা জানিয়ে দিও।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • পররাষ্ট্রসচিব জসীম ছুটিতে যাচ্ছেন, ভারপ্রাপ্ত হিসেবে দায়িত্ব নেবেন নজরুল
  • গুণী মানুষের কদর বোঝে না সমাজ: জামায়াত আমির
  • সেন্ট্রাল রোডে তরুণকে কোপানোর ভিডিও ভাইরাল, ভুক্তভোগী বিএনপির কর্মী
  • সোনারগাঁয়ে জামায়াত নেতার উদ্যোগে খাল খনন
  • ডেঙ্গুতে এক দিনে শতাধিক আক্রান্ত, মৃত্যু ১ জনের
  • কাতারের কাছ থেকে উড়োজাহাজ ‘উপহারের’ প্রস্তাব পাওয়ার ট্রাম্পের দাবি কি সত্য
  • পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় হয়নি:
  • আমি ৪০-এর কাছাকাছি বয়সে বলিউডে কাজ শুরু করেছি
  • স্টার নই, আমি একজন অভিনেতা: বোমান ইরানি