রাজবাড়ীর পাংশায় পাইপগানসহ এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পাইপগানটি তাঁর বাড়ির রান্নাঘরে রাখা ঘুঁটের মধ্যে লুকানো ছিল। স্থানীয়ভাবে হাতে তৈরি শুকনো গোবরের জ্বালানি ‘ঘুঁটে’ হিসেবে পরিচিত। 

রোববার রাতে উপজেলার সরিষা ইউনিয়নের বহলাডাঙ্গা এলাকায় পাংশা থানা পুলিশের অভিযানে পাইপগানটি উদ্ধার করা হয়। এ সময় আটক করা হয় মহিদুল ইসলাম নামে একজনকে। তাঁর বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডসহ নানা অভিযোগ রয়েছে এলাকাবাসীর।

পুলিশ জানায়, গোপন সূত্রে তারা মহিদুল ইসলামের কাছে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র থাকার সংবাদ পান। রোববার রাত সাড়ে ৩টার দিকে বহলাডাঙ্গার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাঁকে আটক করা হয়। ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের পর মহিদুল নিজের কাছে অস্ত্র থাকার কথা স্বীকার করেন। তাঁর দেওয়া তথ্যে বাড়ির রান্নাঘরে তল্লাশি চালায় পুলিশ। পরে ঘুঁটের সঙ্গে লুকিয়ে রাখা প্লাস্টিকের ব্যাগ জড়ানো পাইপগানটি উদ্ধার করা হয়। 

পাংশা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সালাউদ্দিন বলেন, পুলিশের পক্ষ থেকে মহিদুলের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা করা হয়। এতে গ্রেপ্তার দেখিয়ে সোমবার তাঁকে রাজবাড়ী আদালতে পাঠানো হয়।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

চাটমোহরে ২ পক্ষের সংঘর্ষে আহত ১৫, মোটরসাইকেল ভাঙচুর

পাবনার চাটমোহরে দুই পক্ষের দফায় দফায় সংঘর্ষে অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। এসময় চারটি মোটরসাইকেল ও দুটি দোকান ভাঙচুর হয় বলে অভিযোগ উঠেছে।

সোমবার (২৩ জুন) সকালে এবং দুপুরে উপজেলার মূলগ্রাম ইউনিয়নের রতনপুর গ্রামে সংঘর্ষে জড়ায় পক্ষ দুইটি। চাটমোহর থানার ওসি মনজুরুল আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আহতরা হলেন- রতনপুর গ্রামের মৃত আজিজল বিশ্বাসের ছেলে আনিছুর রহমান, নুর ইসলামের ছেলে রনজু প্রামাণিক, তার ভাই মোসলেম প্রামাণিক, শহিদ হোসেনের ছেলে পলক হোসেন, বাবলু হোসেনের ছেলে মারুফ হোসেন, মৃত আমজাদ বিশ্বাসের ছেলে ফরিদ বিশ্বাস, তালেব বিশ্বাসের ছেলে আফসার বিশ্বাস, আফসার বিশ্বাসের ছেলে সুমন হোসেন, সাত্তার হোসেনের ছেলে রফিকুল ইসলাম, শাহজাহান আলীর ছেলে জনি হোসেন ও মৃত নিজাম উদ্দিনের ছেলে রেজাউল করিমসহ অন্তত ১৫ জন।

আরো পড়ুন:

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ২ পক্ষের সংঘর্ষ, কব্জি বিচ্ছিন্নসহ আহত ৬

যশোরে সংঘর্ষে আহত যুবদল কর্মীর মৃত্যু, গ্রেপ্তার ৩ 

এলাকাবাসী জানান, রতনপুর গ্রামের গরু ব্যবসায়ী জনি হোসেনের সঙ্গে একই গ্রামের ব্যবসায়ী আইনুল বিশ্বাসের পিকআপ ট্রাকের শেয়ারে ব্যবসা ছিল। আজ সকালে ট্রাকের শেয়ার নিয়ে আইনুল ও জনির মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এ ঘটনার জেরে আইনুলের লোকজন মথুরাপুর গ্রামে গরুর খামার এলাকায় গিয়ে জনিকে মারধর করে। জনিকে মারধরের খবর তার সমর্থকদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়লে তারা রতনপুর গ্রামে আইনুলের বাড়িতে যান।

সেখানে তারা আইনুলের আত্মীয় ও গ্রামবাসীর সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এসময় উভয় পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হন। সংঘর্ষ চলকালে ওই গ্রামের সাবেক মেম্বার মোজাম্মেল হোসেনের দুইটি দোকান এবং চারটি মোটরসাইকেল ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।

চাটমোহর থানার ওসি মনজুরুল আলম বলেন, ‍“পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। বর্তমানে সেখানকার পরিবেশ শান্ত আছে। থানায় কেউ কোনো অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

ঢাকা/শাহীন/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ