পাবনায় জাল টাকা চক্রের ৪ সদস্য গ্রেপ্তার
Published: 23rd, June 2025 GMT
পাবনার আতাইকুলায় জাল টাকা চক্রের চার সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে ৫৩ হাজার টাকার জাল নোট ও কিছু আসল নোট জব্দ করা হয়েছে।
রবিবার (২২ জুন) সন্ধ্যায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। তারা হলেন—সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার দ্বারিয়াপুর গ্রামের রিকাত শেখের ছেলে সবুজ শেখ (৩২), দ্বারিয়াপুর কান্দাপাড়া গ্রামের মৃত তারা প্রামানিকের ছেলে শাহিদুল প্রামানিক (৪০), জুগ্নিদহ গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে আতিক মোল্লা (২৩) এবং কাংলাকান্দা গ্রামের সেলিম ফকিরের ছেলে সবুজ ফকির (৩৩)।
সোমবার (২৩ জুন) বিকেলে র্যাব-১২ এর কোম্পানি কমান্ডার ইলিয়াস খান এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছেন।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, র্যাবের একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পাবনা সদর উপজেলার আতাইকুলা থানার বৃহস্পতিপুর মাজার বটতলা এলাকায় অভিযান চালায়। এ সময় সেখানে থাকা সংঘবদ্ধ জাল টাকা চক্রের সক্রিয় চার সদস্যকে আটক করা হয়। তাদের কাছ থেকে জব্দ করা হয় ৫৩ হাজার টাকার জাল নোট, তিনটি মোবাইল ফোন এবং নগদ ৪ হাজার ৩৯৫ টাকা।আটক
ব্যক্তিরা র্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন যে, তারা দীর্ঘদিন ধরে পাবনাসহ বিভিন্ন জেলার হাট-বাজারে জাল টাকা দিয়ে পণ্য কিনতেন।
র্যাব-১২ এর কোম্পানি কমান্ডার জানিয়েছেন, এ বিষয়ে বিশেষ ক্ষমতা আইন ১৯৭৪ এর ২৫-এ (বি) ধারায় মামলা দায়েরসহ আটক ব্যক্তিদের আতাইকুলা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। পরে তাদেরকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে সোমবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
ঢাকা/শাহীন/রফিক
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
শাবিপ্রবিতে নারীদের নিরাপত্তার দাবিতে ছাত্রশিবিরের স্মারকলিপি
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) নারী শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত এবং ধর্ষণে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে স্মারকলিপি দিয়েছে শাখা বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির।
সোমবার (২৩ জুন) শাবিপ্রবি ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাজেদুল করিমের হাতে স্মারকলিপি তুলে দেন শাখা শিবিরের সভাপতি তারেক মনোয়ার ও সাধারণ সম্পাদক মাসুদ রানা তুহিনের নেতৃত্বে সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরি হয়ে পড়েছে। নির্মাণ সামগ্রীর মান, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ হওয়া এবং প্রকল্প ব্যয়ের স্বচ্ছতা নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উদ্বেগ রয়েছে। এসব উন্নয়ন প্রকল্প যেন শিক্ষার্থীদের বাস্তব কল্যাণে প্রতিফলিত হয় এবং টেকসই হয়, সে বিষয়ে প্রশাসনের কঠোর নজরদারি প্রয়োজন।
আরো পড়ুন:
উচ্চশিক্ষার মান উন্নয়নে ওবিই কারিকুলাম অপরিহার্য: বেরোবি উপাচার্য
শাবিপ্রবি প্রশাসনের গাফিলতিতে ঝুঁকিতে ৯৫ শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ
এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশেষ করে সন্ধ্যার পর, অনেক জায়গায় নিরাপত্তার অভাব রয়েছে। নারী শিক্ষার্থীদের চলাচলে নিরাপত্তা নিশ্চিতে পর্যাপ্ত আলোকসজ্জা, নিয়মিত টহল ও জরুরি হেল্পলাইন চালুর প্রস্তাবও স্মারকলিপিতে দেওয়া হয়েছে।
সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের দুই শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে এক নারী সহপাঠীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে, যা অত্যন্ত নিন্দনীয় ও উদ্বেগজনক বলে মন্তব্য করা হয় স্মারকলিপিতে। এই জঘন্য ঘটনায় অভিযুক্তদের দ্রুত তদন্ত করে প্রশাসনিক ও আইনানুগভাবে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিতের দাবি জানানো হয়। যাতে ভবিষ্যতে কেউ এমন অপরাধ করার সাহস না পায়।
স্মারকলিপিতে আরো উল্লেখ করা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলচত্বর থেকে ছাত্র হল পর্যন্ত সড়কের অবস্থা দীর্ঘদিন ধরে বেহাল। চলমান উন্নয়ন প্রকল্পের কারণে দুরবস্থার মাত্রা আরো বেড়েছে। রাস্তায় খানাখন্দ ও বর্ষাকালে কাদায় দুর্ঘটনার আশঙ্কা বাড়ছে। তাই দ্রুততম সময়ের মধ্যে ওই রাস্তার সংস্কার প্রয়োজন।
শিবির নেতারা জানান, বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় ১৫টি উন্নয়ন প্রকল্প চলমান রয়েছে, যা প্রশংসনীয় উদ্যোগ। এসব প্রকল্পের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকাঠামো, গবেষণা ও শিক্ষার পরিবেশের উন্নতি হবে বলে তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তবে এসব উন্নয়নের পাশাপাশি নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলার দিকেও সমান গুরুত্ব দিয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান তারা।
ঢাকা/ইকবাল/মেহেদী