Prothomalo:
2025-11-02@14:17:07 GMT

গরিব মানুষের কথাও একবার ভাবুন

Published: 11th, January 2025 GMT

যেখানে আরও বেশিসংখ্যক গরিব মানুষের কাছে সুলভে নিত্যপণ্য পৌঁছানোর কথা, সেখানে সরকার ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে ট্রাক সেল বা খোলাবাজারে বিক্রিই বন্ধ করে দিয়ে তাঁদের জীবনযাত্রাকে আরও কঠিন করে দিয়েছে। এর পাশাপাশি এখন থেকে শুধু স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ডধারীদের টিসিবির পণ্য দেওয়া হচ্ছে। এতে ৪৩ লাখ কার্ডধারী পণ্য পাচ্ছেন না। কারণ, স্মার্টকার্ড পেয়েছে ৫৭ লাখ পরিবার। স্মার্টকার্ড না পাওয়া ৪৩ লাখ পরিবারের মধ্যে ৬ লাখের কার্ড ছাপা ও ১৩ লাখের কার্ড যাচাই–বাছাই করার কাজ চলছে। বাকিদেরও যাচাই–বাছাই হবে। অনিয়মের কারণে অনেকে আর কার্ড পাবেন না, এটা ঠিক; কিন্তু অনেকে কার্ড পাওয়ার যোগ্যও। 

প্রথম আলোর প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, খোলাবাজারে বিক্রির কর্মসূচির আওতায় প্রতিদিন ঢাকা ও চট্টগ্রামে সাড়ে ২৪ হাজার মানুষ ভর্তুকি মূল্যে টিসিবির পণ্য কেনার সুযোগ পেতেন। মাত্র দুই মাস সাত দিন চলার পর এ কর্মসূচি বন্ধ করে দিয়েছে সংস্থাটি। 

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) হিসাবে, গত বছর বাজারে চাল, পেঁয়াজ, আলু, মুরগি, ডিমসহ নিত্যপণ্যের দাম হঠাৎ বেড়ে যায়। এমন পরিস্থিতিতে গত ২৪ অক্টোবর থেকে ঢাকা মহানগরের ৫০টি ও চট্টগ্রাম মহানগরের ২০টি স্থানে ট্রাকের মাধ্যমে পণ্য বিক্রি কার্যক্রম শুরু করে টিসিবি। ট্রাক থেকে একজন ভোক্তা সর্বোচ্চ দুই লিটার ভোজ্যতেল, পাঁচ কেজি চাল ও দুই কেজি মসুর ডাল কিনতে পারতেন। এতে একজন ক্রেতার অন্তত ৩৫০ টাকা সাশ্রয় হতো।

১ জানুয়ারি এ কার্যক্রম বন্ধ থাকায় গরিব ও সীমিত আয়ের মানুষ মারাত্মক বিপাকে পড়েছেন। সবজির দাম কমে যাওয়ায় কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের মাধ্যমে ট্রাকে করে সবজি বিক্রি বন্ধ করার যুক্তি না হয় মেনে নেওয়া যায়। কিন্তু যেখানে দাম অত্যান্ত চড়া, সেখানে ট্রাকে সুলভ মূল্যে নিত্যপণ্য বিক্রি বন্ধ করার কী যুক্তি থাকতে পারে?

ট্রাকে যখন চারটি পণ্য সুলভে বিক্রি করা হতো, তখন দীর্ঘ সারির কারণে অনেকে বিমুখ হয়ে ফিরে যেতেন। এ নিয়ে সংবাদমাধ্যমে সচিত্র প্রতিবেদনও হয়েছে। সরকার কি একটি জনহিতকর কর্মসূচি বন্ধ করে গরিব মানুষকে কষ্টের মধ্যে ঠেলে দিল না? 

আওয়ামী লীগ সরকার কার্ড তৈরিতে অনিয়ম করে থাকলে সেটি যাচাই–বাছাই করতে এত সময়ক্ষেপণ কেন? বেসরকারি গবেষণাপ্রতিষ্ঠান রিসার্চ অ্যান্ড পলিসি ইন্টিগ্রেশন ফর ডেভেলপমেন্টের (র‍্যাপিড) চেয়ারম্যান এম এ রাজ্জাক যথার্থই বলেছেন, ট্রাক সেল কর্মসূচি বন্ধ করা উচিত হয়নি। বাতিল হওয়া টিসিবির ৪৩ লাখ পরিবার কার্ডের সমপরিমাণ পণ্য আপাতত ওএমএস বা ট্রাক সেলের মাধ্যমে বাজারে বিক্রি করা যেত।

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মাধ্যমে গঠিত সরকারের কাছে গরিব মানুষের প্রতি এ রকম বৈষম্যমূলক আচরণ কখনোই কাম্য হতে পারে না। অবিলম্বে যাচাই–বাছাই করে বাকি ৪৩ লাখ পরিবারকে সুলভে পণ্য দেওয়ার ব্যবস্থা করা হোক। আর কার্ডের বাইরে যে বিপুলসংখ্যক মানুষ আছেন, তাঁদের জন্য ট্রাক সেল বা খোলাবাজারে বিক্রির কাজটি পুনরায় শুরু করা হোক। বাণিজ্য উপদেষ্টার ভাষায় পুনর্বিবেচনার কাজটি দ্রুততম সময়ে হবে আশা করি।

সরকারের নীতিনির্ধারকদের মনে রাখতে হবে, খেটে খাওয়া মানুষের সক্রিয় অংশগ্রহণ না থাকলে চব্বিশের ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থান সফল
হতো না। অতএব, তেলা মাথায় তেল না দিয়ে তাঁদের কষ্টের কথাও একবার ভাবুন।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

চবি ছাত্রদলের ৪২০ জনের কমিটিতে নারী মাত্র ১১

আংশিক কমিটির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শাখা ছাত্রদলে পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। এতে ৪২০ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে নারী সদস্য রয়েছেন মাত্র ১১ জন। যা শতকরা হিসেবে তাদের অংশগ্রহণের হার মাত্র ২.৬২ শতাংশ।

এর মধ্যে, সহ-সভাপতি পদে একজন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক পদে তিনজন, সহ-সাধারণ সম্পাদক পদে একজন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক পদে একজন, মানবাধিকার সম্পাদক পদে একজন, সহ-সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে একজন, ছাত্রীবিষয়ক সম্পাদক পদে একজন এবং সহ-ছাত্রী বিষয়ক সম্পাদক পদে দুইজন।

আরো পড়ুন:

বগুড়ায় স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে স্বামী আটক

কুমিল্লায় প্রবাসীর স্ত্রীকে মারধর-তালাক, অন্যজনের সঙ্গে বিয়ে

বুধবার (২৯ অক্টোবর) রাতে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।

পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে সহ-সভাপতি পদে ৬০ জন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ৯২ জন, সহ-সাধারণ সম্পাদক ৬৩ জন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ৬৪ জন এবং সদস্য রয়েছেন ৬২ জন।

এর আগে, ২০২৩ সালের আগস্ট মাসে মো. আলাউদ্দিন মহসিনকে সভাপতি ও আবদুল্লাহ আল নোমানকে সাধারণ সম্পাদক করে পাঁচ সদস্যের আংশিক কমিটি পায় চবি ছাত্রদল। এরপর নানা জটিলতা ও সাংগঠনিক স্থবিরতায় ২ বছর পেরিয়ে গেলেও পূর্ণাঙ্গ কমিটি দিতে পারেনি সংগঠনটি। অবশেষে দীর্ঘ প্রতীক্ষা শেষে ৪২০ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।

ছাত্রদলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, একটি কমিটির মেয়াদ থাকে সর্বোচ্চ ২ বছর। সেখানে চবি ছাত্রদলের পাঁচ সদস্যের কমিটির মেয়াদ শেষ হওয়ার তিন মাস পর কমিটি পূর্ণাঙ্গ করেছে কেন্দ্রীয় সংসদ।

এদিকে, গত ১২ অক্টোবর চাকসু নির্বাচনের আগে সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে চবি ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপতির পদ থেকে মোহাম্মদ মামুন উর রশিদ মামুনকে সংগঠনের সদস্য পদসহ স্থায়ী বহিষ্কার করেছে কেন্দ্রীয় সংসদ। পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে সিনিয়র সহ-সভাপতির পদটি শূন্য রয়েছে।

পূর্বের আংশিক কমিটিতে সভাপতি ছিলেন মো. আলাউদ্দিন মহসিন, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল নোমান, সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মো. ইয়াসিন ও সাংগঠনিক সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন হৃদয়। পূর্ণাঙ্গ কমিটিতেও তারা একই পদে বহাল আছেন।

ঢাকা/মিজান/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বিবাহবিচ্ছেদ ও খোরপোষ নিয়ে ক্ষুদ্ধ মাহি
  • ফতুল্লায় দুই ট্রাকের মাঝে পড়ে যুবকের মৃত্যু
  • ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে ২০ মামলার আসামি নিহত, গুলিবিদ্ধ ৩
  • নামতে গেলেই চালক বাস টান দিচ্ছিলেন, পরে লাফিয়ে নামেন
  • তানজানিয়ার বিতর্কিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ফের বিজয়ী সামিয়া
  • আমার স্ত্রী খ্রিষ্টধর্ম গ্রহণ করছেন না: জেডি ভ্যান্স
  • নির্বাচন সামনে রেখে সরকারের ৩১ বিভাগকে প্রস্তুতির নির্দেশ ইসির
  • কর্মদিবসের শেষ দিনে প্রধান শিক্ষকের মৃত্যু
  • প্রশিক্ষকদের দায়িত্বে উদাসীনতাসহ যেসব অসংগতি উঠে এল প্রাথমিক তদন্তে
  • চবি ছাত্রদলের ৪২০ জনের কমিটিতে নারী মাত্র ১১