Prothomalo:
2025-01-15@15:39:11 GMT

গরিব মানুষের কথাও একবার ভাবুন

Published: 11th, January 2025 GMT

যেখানে আরও বেশিসংখ্যক গরিব মানুষের কাছে সুলভে নিত্যপণ্য পৌঁছানোর কথা, সেখানে সরকার ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে ট্রাক সেল বা খোলাবাজারে বিক্রিই বন্ধ করে দিয়ে তাঁদের জীবনযাত্রাকে আরও কঠিন করে দিয়েছে। এর পাশাপাশি এখন থেকে শুধু স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ডধারীদের টিসিবির পণ্য দেওয়া হচ্ছে। এতে ৪৩ লাখ কার্ডধারী পণ্য পাচ্ছেন না। কারণ, স্মার্টকার্ড পেয়েছে ৫৭ লাখ পরিবার। স্মার্টকার্ড না পাওয়া ৪৩ লাখ পরিবারের মধ্যে ৬ লাখের কার্ড ছাপা ও ১৩ লাখের কার্ড যাচাই–বাছাই করার কাজ চলছে। বাকিদেরও যাচাই–বাছাই হবে। অনিয়মের কারণে অনেকে আর কার্ড পাবেন না, এটা ঠিক; কিন্তু অনেকে কার্ড পাওয়ার যোগ্যও। 

প্রথম আলোর প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, খোলাবাজারে বিক্রির কর্মসূচির আওতায় প্রতিদিন ঢাকা ও চট্টগ্রামে সাড়ে ২৪ হাজার মানুষ ভর্তুকি মূল্যে টিসিবির পণ্য কেনার সুযোগ পেতেন। মাত্র দুই মাস সাত দিন চলার পর এ কর্মসূচি বন্ধ করে দিয়েছে সংস্থাটি। 

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) হিসাবে, গত বছর বাজারে চাল, পেঁয়াজ, আলু, মুরগি, ডিমসহ নিত্যপণ্যের দাম হঠাৎ বেড়ে যায়। এমন পরিস্থিতিতে গত ২৪ অক্টোবর থেকে ঢাকা মহানগরের ৫০টি ও চট্টগ্রাম মহানগরের ২০টি স্থানে ট্রাকের মাধ্যমে পণ্য বিক্রি কার্যক্রম শুরু করে টিসিবি। ট্রাক থেকে একজন ভোক্তা সর্বোচ্চ দুই লিটার ভোজ্যতেল, পাঁচ কেজি চাল ও দুই কেজি মসুর ডাল কিনতে পারতেন। এতে একজন ক্রেতার অন্তত ৩৫০ টাকা সাশ্রয় হতো।

১ জানুয়ারি এ কার্যক্রম বন্ধ থাকায় গরিব ও সীমিত আয়ের মানুষ মারাত্মক বিপাকে পড়েছেন। সবজির দাম কমে যাওয়ায় কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের মাধ্যমে ট্রাকে করে সবজি বিক্রি বন্ধ করার যুক্তি না হয় মেনে নেওয়া যায়। কিন্তু যেখানে দাম অত্যান্ত চড়া, সেখানে ট্রাকে সুলভ মূল্যে নিত্যপণ্য বিক্রি বন্ধ করার কী যুক্তি থাকতে পারে?

ট্রাকে যখন চারটি পণ্য সুলভে বিক্রি করা হতো, তখন দীর্ঘ সারির কারণে অনেকে বিমুখ হয়ে ফিরে যেতেন। এ নিয়ে সংবাদমাধ্যমে সচিত্র প্রতিবেদনও হয়েছে। সরকার কি একটি জনহিতকর কর্মসূচি বন্ধ করে গরিব মানুষকে কষ্টের মধ্যে ঠেলে দিল না? 

আওয়ামী লীগ সরকার কার্ড তৈরিতে অনিয়ম করে থাকলে সেটি যাচাই–বাছাই করতে এত সময়ক্ষেপণ কেন? বেসরকারি গবেষণাপ্রতিষ্ঠান রিসার্চ অ্যান্ড পলিসি ইন্টিগ্রেশন ফর ডেভেলপমেন্টের (র‍্যাপিড) চেয়ারম্যান এম এ রাজ্জাক যথার্থই বলেছেন, ট্রাক সেল কর্মসূচি বন্ধ করা উচিত হয়নি। বাতিল হওয়া টিসিবির ৪৩ লাখ পরিবার কার্ডের সমপরিমাণ পণ্য আপাতত ওএমএস বা ট্রাক সেলের মাধ্যমে বাজারে বিক্রি করা যেত।

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মাধ্যমে গঠিত সরকারের কাছে গরিব মানুষের প্রতি এ রকম বৈষম্যমূলক আচরণ কখনোই কাম্য হতে পারে না। অবিলম্বে যাচাই–বাছাই করে বাকি ৪৩ লাখ পরিবারকে সুলভে পণ্য দেওয়ার ব্যবস্থা করা হোক। আর কার্ডের বাইরে যে বিপুলসংখ্যক মানুষ আছেন, তাঁদের জন্য ট্রাক সেল বা খোলাবাজারে বিক্রির কাজটি পুনরায় শুরু করা হোক। বাণিজ্য উপদেষ্টার ভাষায় পুনর্বিবেচনার কাজটি দ্রুততম সময়ে হবে আশা করি।

সরকারের নীতিনির্ধারকদের মনে রাখতে হবে, খেটে খাওয়া মানুষের সক্রিয় অংশগ্রহণ না থাকলে চব্বিশের ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থান সফল
হতো না। অতএব, তেলা মাথায় তেল না দিয়ে তাঁদের কষ্টের কথাও একবার ভাবুন।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

সমালোচিত হলেও কেন জনপ্রিয়তা পেল ‘মিসিং ইউ’?

নতুন বছরের প্রথম দিন নেটফ্লিক্সে মুক্তি পেয়েছে লিমিটেড সিরিজ ‘মিসিং ইউ’। হারলান কোবানের উপন্যাস অবলম্বনে সিরিজটি বানিয়েছেন নির্মাতা ভিক্টোরিয়া আসারি-আর্চার। মুক্তির পর থেকেই সিরিজটি ঘিরে চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা। তবে মুক্তির ১১ দিন পেরিয়ে গেলেও সিরিজটি এখনো দাপিয়ে বেড়াচ্ছে নেটফ্লিক্সের সবচেয়ে বেশি দেখা সিরিজের তালিকায়।

একজন নিখোঁজ অধ্যাপককে খুঁজে বের করার কেস পায় ডিটেকটিভ ইন্সপেক্টর ক্যাট ডোনোভান (রোসালিন্ড এলেজার)। সাহসী ও দৃঢ়প্রতিজ্ঞ একজন অফিসার ক্যাট। তবে ব্যক্তিজীবনে সে এখনো একা। বন্ধু একোয়া (ম্যারি ম্যালোন) ও স্টেসির (জেসিকা প্লামার) কথায় সে এক ডেটিং অ্যাপে যোগ দেয়। কিন্তু ঘটনা অন্যদিকে মোড় নেয় যখন ক্যাট তার প্রাক্তন প্রেমিক ও বাগ্‌দত্তা জশের (অ্যাশলে ওয়াল্টার্স) প্রোফাইল সেই অ্যাপে খুঁজে পায়।

একনজরে
সিরিজ: ‘মিসিং ইউ’
পরিচালক: ভিক্টোরিয়া আসারি-আর্চার
গল্প: হারলান কোবান
স্ট্রিমিং: নেটফ্লিক্স
পর্ব সংখ্যা: ৫
অভিনয়ে: রোসালিন্ড এলেজার, অ্যাশলে ওয়াল্টার্স, লেনি হেনরি, মার্ক ওয়ারেন, রিচার্ড আরমিটেজ, জেসিকা প্লামার, ম্যারি ম্যালোন

জশ কিছু না বলেই ১১ বছর আগে হারিয়ে যায় ক্যাটের জীবন থেকে। ক্যাট যখন জশের ব্যাপারে দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভুগতে থাকে, তখনই অন্য আরেক তথ্য তার ভাবনার মোড় ঘুরিয়ে দেয়। ক্যাট জানতে পারে, তার বাবার খুনি মন্টে লেবার্নে (মার্ক ওয়ারেন) ক্যানসারে আক্রান্ত, আর বেশি দিন বাঁচবে না। ক্যাট জানতে মারিয়া হয়ে ওঠে কেন মন্টে খুন করেছিল তার বাবা ক্লিন্ট ডোনোভানকে (লেনি হেনরি)। কিন্তু তা জানতে গিয়ে ঘটনা দ্রুত মোড় নিতে থাকে অন্যদিকে। ক্যাট কি পারে তার বাবার মৃত্যুরহস্য জানতে? নাকি ব্যক্তিজীবনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হয়ে ওঠে তার কর্মজীবন?

‘মিসিং ইউ’–এর দৃশ্য। নেটফ্লিক্স

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ‘মায়ের চরিত্রে অভিনয় করার পরেও দর্শক ক্রাশ খেয়েছেন’
  • গাজায় যুদ্ধবিরতির আলোচনা চূড়ান্ত পর্যায়ে, কয়েক ঘণ্টার মধ্যে হতে পারে চুক্তি
  • বিএনপি-যুবদলের সংঘর্ষে একজন নিহত, গ্রেপ্তার ৪
  • উত্তর কোরিয়ার আত্মঘাতী সেনারা ইউক্রেনের নতুন আতঙ্ক
  • বুদ্ধিমান এক বালকের ঘটনা
  • আইফোন চার্জ করার সময় স্পর্শ করলেই ইলেকট্রিক শক করছে, অভিযোগ একাধিক ব্যবহারকারীর
  • রাজাপুরের অরুণের রসগোল্লা মানেই ‘অথেনটিক মিষ্টি’
  • বাণিজ্য মেলায় যুবদলের দু’গ্রুপের সংঘর্ষে একজন নিহত, আহত ১০
  • দাম্পত্য কলহের জেরে জুলাই হত্যা মামলার আসামি স্বামী!
  • সমালোচিত হলেও কেন জনপ্রিয়তা পেল ‘মিসিং ইউ’?