বেসরকারি গবেষণাপ্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) জনবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে। সংস্থাটি মনিটরিং অ্যান্ড ইভ্যালুয়েশন অ্যাসোসিয়েট পদে কর্মী নিয়োগ দেবে। আগ্রহী প্রার্থীদের ই-মেইলে সিভি পাঠাতে হবে।

পদের নাম: মনিটরিং অ্যান্ড ইভ্যালুয়েশন অ্যাসোসিয়েট

পদসংখ্যা: অনির্দিষ্ট

যোগ্যতা: সমাজবিজ্ঞান, অর্থনীতি, ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ, পরিসংখ্যান বা এ ধরনের বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি থাকতে হবে। জাতীয় বা আন্তর্জাতিক কোনো প্রকল্পে মনিটরিং অ্যান্ড ইভ্যালুয়েশনে অন্তত দুই বছর চাকরির অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। রিপোর্ট, ডকুমেন্টেশন ও যোগাযোগে দক্ষ হতে হবে। জরিপ ডিজাইন বিষয়ে জানাশোনা থাকতে হবে। সাংগঠনিক দক্ষতাসহ ওয়ার্কশপ ও প্রশিক্ষণ প্রদানের সক্ষমতা থাকতে হবে। ডেটা অ্যানালাইসিসসহ কম্পিউটার পরিচালনায় দক্ষ হতে হবে। ইংরেজি ও বাংলায় সাবলীল হতে হবে।

বেতন: মাসিক বেতন ৬১,৬০০ টাকা। এ ছাড়া অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা আছে।

আরও পড়ুনডাক বিভাগে আবারও বড় নিয়োগ, পদ ২২১১০ ঘণ্টা আগেআবেদন যেভাবে

আগ্রহী প্রার্থীদের [email protected] ঠিকানায় সম্প্রতি তোলা পাসপোর্ট সাইজের ছবিসহ সিভি ই-মেইল করতে হবে। নিয়োগসংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য এই লিংক থেকে জানা যাবে। শুধু বাছাই করা প্রার্থীদের লিখিত, মৌখিক ও কম্পিউটার পরীক্ষার জন্য ডাকা হবে।

আবেদনের শেষ তারিখ: ১৫ জানুয়ারি ২০২৫।

আরও পড়ুনওয়ান ব্যাংকে চাকরি, পদ ১৫, সর্বোচ্চ বেতন ২৬ হাজার১০ জানুয়ারি ২০২৫.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

কাবুল-ইসলামাবাদের সম্পর্ক কি আবার জোড়া লাগবে

দক্ষিণ এশিয়ার দুই প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান ও আফগানিস্তান। একই ধর্ম, মিলেমিশে থাকা সংস্কৃতি আর ভাগাভাগি করা সীমান্ত সত্ত্বেও যেন চিরকাল এক অদৃশ্য দেয়ালে বিভক্ত। কখনো ঘনিষ্ঠ মিত্র, আবার কখনো তীব্র শত্রু—তাদের সম্পর্কের ইতিহাস যেন এক দুর্বোধ্য নাটক। যেখানে বিশ্বাসের চেয়ে অনাস্থায় মুখ্য চরিত্র। সীমান্তের প্রতিটি ইঞ্চি যেন সাক্ষী, কীভাবে সন্দেহ, সংঘাত ও ভূরাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা দুই জাতিকে বারবার মুখোমুখি দাঁড় করিয়েছে।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এই টানাপোড়েন যেন নতুন উচ্চতায় পৌঁছে, পুরোনো ক্ষতগুলোকে আবারও রক্তাক্ত করে তুলেছে। জাতিসংঘের হিসাব অনুযায়ী, গত অক্টোবরের ৯ তারিখ থেকে শুরু হওয়া দুই দেশের সীমান্ত সংঘাতে কমপক্ষে ৫০ জন বেসামরিক মানুষ নিহত এবং চার শতাধিক আহত হয়েছে। এ নিয়ে ইসলামাবাদ ও কাবুলের মধ্যে শুরু হওয়া শান্তি আলোচনাও আবার অচলাবস্থায় পড়েছে।

পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী আতাউল্লাহ তারার স্পষ্ট জানিয়েছেন, ‘আলোচনা স্থবির, কারণ আফগান সরকার সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় তাদের প্রতিশ্রুতি রাখতে ব্যর্থ হয়েছে।’ এর আগেও কয়েক দফায় ইসলামাবাদ এবং কাবুল শান্তি আলোচনায় বসেছিল। তবে তা কোনো ধরনের সুরাহা ছাড়াই সমাপ্ত হয়।

এ পরিস্থিতি শুধু সাম্প্রতিক কোনো সীমান্ত উত্তেজনা নয়; এর পেছনে রয়েছে দীর্ঘ জট পাকানো রাজনৈতিক হিসাব। ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর থেকেই আফগানিস্তান দেশটিকে স্বীকৃতি দিতে প্রথমে অনীহা প্রকাশ করেছিল। আফগান সরকার তৎকালীন ব্রিটিশ-নির্ধারিত ডুরান্ড লাইনকে আন্তর্জাতিক সীমান্ত হিসেবে স্বীকার করেনি, যা ১৮৯৩ সালে ব্রিটিশ ভারত ও আফগান আমির আবদুর রহমানের মধ্যে স্বাক্ষরিত হয়েছিল। পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর থেকে এই রেখা নিয়ে বিরোধ শুরু হয় এবং আজও সেটি দুই দেশের মধ্যে অন্যতম স্পর্শকাতর ইস্যু।

আরও পড়ুনডুরান্ড লাইনের দুদিকে ভূরাজনৈতিক ট্র্যাজেডিতে পাকিস্তান১৬ অক্টোবর ২০২৫ইসলামাবাদ ও কাবুল শান্তি আলোচনা

২০২১ সালের আগস্টে তালেবানের ক্ষমতায় প্রত্যাবর্তনের পর ইসলামাবাদ ও কাবুলের মধ্যে তিন দফা শান্তি আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়, যার প্রতিটিই মূলত পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার জন্য হুমকি হিসেবে দেখা টিটিপি (তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান) ইস্যুতে অচলাবস্থায় শেষ হয়। প্রথম দফা আলোচনা হয়েছিল ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইসলামাবাদে, যেখানে পাকিস্তান কাবুলকে টিটিপির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার এবং তাদের সীমান্ত অতিক্রম করা বন্ধ করার জন্য চাপ দেয়।

দ্বিতীয় দফা আলোচনা অনুষ্ঠিত হয় ২০২৩ সালের মে মাসে দোহায়, যেখানে আফগানিস্তান একটি যৌথ সীমান্ত নিরাপত্তা কর্মপরিকল্পনায় সম্মত হওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছিল; কিন্তু তারা টিটিপিকে সরাসরি দমনের পরিবর্তে রাজনৈতিক আলোচনার প্রস্তাব দেয়, যা ইসলামাবাদের জন্য অগ্রহণযোগ্য ছিল।

সর্বশেষ তৃতীয় দফা আলোচনা গত বছর নভেম্বর মাসে শুরু হয়, কিন্তু নভেম্বরের শেষের দিকে আফগান সীমান্তে এক প্রাণঘাতী সংঘর্ষের পর তা সম্পূর্ণভাবে ভেঙে পড়ে। পাকিস্তান দৃঢ়ভাবে অভিযোগ করে যে আফগান সরকার টিটিপিকে আশ্রয় দিচ্ছে এবং সীমান্তজুড়ে তাদের কার্যকলাপ বন্ধ করতে ব্যর্থ হয়েছে। আফগান পক্ষ এই অভিযোগ অস্বীকার করে এবং তাদের সার্বভৌমত্বে হস্তক্ষেপের অভিযোগ তোলে, যার ফলে প্রতিটি চুক্তি ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়।

ইতিহাসের অদৃশ্য যুদ্ধ

সত্তরের দশকে সোভিয়েত আগ্রাসনের সময় পাকিস্তান যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরবের সমর্থনে আফগান মুজাহিদিনদের আশ্রয় ও অস্ত্র দেয়। সেই সময় থেকেই পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই আফগান রাজনীতিতে গভীরভাবে জড়িত হয়ে পড়ে। ১৯৯০-এর দশকে তালেবানদের উত্থানও হয়েছিল পাকিস্তানের প্রত্যক্ষ সমর্থনে। ইসলামাবাদ ভেবেছিল, আফগানিস্তানে তালেবান শাসন প্রতিষ্ঠিত হলে সেখানে ‘কৌশলগত গভীরতা’ অর্জিত হবে—যা ভারতের বিরুদ্ধে একপ্রকার নিরাপত্তাবেষ্টনী হিসেবে কাজ করবে; কিন্তু ইতিহাস প্রমাণ করেছে, তালেবান কখনোই পাকিস্তানের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে ছিল না। ২০০১ সালে মার্কিন হামলার পর তালেবানের পতন ঘটে; কিন্তু পাকিস্তানের অভ্যন্তরে টিটিপি নামের জঙ্গিগোষ্ঠী উত্থিত হয়, যারা আফগান তালেবানের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে পাকিস্তান রাষ্ট্রের বিরুদ্ধেই অস্ত্র তুলে নেয়। জাতিসংঘের হিসাব অনুযায়ী, গত এক দশকে টিটিপি হামলায় পাকিস্তানে প্রায় ৮০ হাজার মানুষ নিহত হয়েছেন।

আরও পড়ুনভারত কি পাকিস্তান–তালেবান দ্বন্দ্বের সুযোগ নিচ্ছে১৫ জানুয়ারি ২০২৫বর্তমান পরিস্থিতি ও সীমান্ত উত্তেজনা

২০২১ সালে কাবুলে পুনরায় তালেবান সরকার ক্ষমতায় আসার পর পাকিস্তান ভেবেছিল, এবার হয়তো তাদের পুরোনো বন্ধুত্ব পুনর্জীবিত হবে; কিন্তু বাস্তব হলো উল্টো। ইসলামাবাদের দাবি, আফগাননিস্তানের মাটিতে আশ্রয় নিচ্ছে টিটিপি, যারা পাকিস্তানের অভ্যন্তরে হামলা চালাচ্ছে। আফগানপক্ষ এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছে, ‘আমরা আমাদের মাটি অন্যের বিরুদ্ধে ব্যবহার করতে দিই না।’ অথচ পাকিস্তান সেনাবাহিনী প্রায়ই আফগান সীমান্তে বিমান হামলা চালাচ্ছে, যার শিকার হচ্ছেন নিরীহ গ্রামবাসী।

আল–জাজিরার  প্রতিবেদন অনুযায়ী, অক্টোবর ২০২৫-এর সংঘর্ষে পাকিস্তানের ২৩ জন সেনা নিহত এবং আফগানপক্ষের ৫০ জন বেসামরিক নাগরিক প্রাণ হারান। সীমান্তের কাবুল-স্পিন বোলদাক করিডরে দুই পক্ষের গোলাগুলি কয়েক ঘণ্টা স্থায়ী হয়। তুরস্ক ও কাতার শান্তি মধ্যস্থতায় এগিয়ে এলেও ফল হয় শূন্য—উভয় দেশই একে অপরকে দোষারোপ করছে।

আফগান-ভারত ঘনিষ্ঠতা: পাকিস্তানের উদ্বেগ

সম্প্রতি আফগান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লি সফর করেছেন, যা দক্ষিণ এশিয়ার কূটনৈতিক মানচিত্রে নতুন মোড় এনেছে। ভারত ২০২৫ সালের মাঝামাঝি কাবুলে তাদের দূতাবাস পুনরায় খুলে দেয় এবং মানবিক সহায়তার নামে সীমিত বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু করে। পাকিস্তান এটি সন্দেহের চোখে দেখছে। কারণ, ঐতিহাসিকভাবে ভারত আফগানিস্তানে ‘নরম প্রভাব’ (সফট পাওয়ার) গড়ে তুলতে আগ্রহী, যাতে পাকিস্তানের কৌশলগত প্রভাব কমে যায়। ইসলামাবাদ আশঙ্কা করছে, ভারত আফগান ভূমি ব্যবহার করে পাকিস্তানবিরোধী গোষ্ঠীগুলোকে উৎসাহ দিতে পারে।

আরও পড়ুনতালেবান নিয়ে উভয়সংকটে ইসলামাবাদ২৫ জুলাই ২০২৩মানবিক ও অর্থনৈতিক সংকট

অন্যদিকে আফগানিস্তান বর্তমানে ভয়াবহ মানবিক সংকটে আছে। জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি অনুযায়ী, দেশের প্রায় ৯০ লাখ মানুষ খাদ্যঘাটতিতে ভুগছে এবং অর্থনীতির এক-তৃতীয়াংশ ইতিমধ্যে ধসে পড়েছে। পাকিস্তান দীর্ঘদিন ধরে আফগান শরণার্থীদের বোঝা বহন করছে। ২০২৫ সালের হিসাব অনুযায়ী প্রায় ১৭ লাখ আফগান শরণার্থী পাকিস্তানে অবস্থান করছে। সাম্প্রতিক সময়ে ইসলামাবাদ ঘোষণা দিয়েছে, অবৈধভাবে থাকা আফগান নাগরিকদের বহিষ্কার করা হবে। এই পদক্ষেপে দুই দেশের সম্পর্ক আরও উত্তেজনাপূর্ণ হয়েছে।

আলোচনার পর্দার আড়ালে

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, কাতার ও তুরস্কের মধ্যস্থতায় সাম্প্রতিক আলোচনায় পাকিস্তানের প্রতিনিধি ছিলেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা আসিম মালিক এবং আফগান পক্ষের নেতৃত্ব দেন গোয়েন্দা প্রধান আবদুল হক ওয়াসিক। তবু আলোচনায় তেমন অগ্রগতি হয়নি। আফগান মুখপাত্র জবিউল্লাহ মুজাহিদ বলেন, ‘পাকিস্তান আমাদের ওপর যে অভিযোগ করছে, তা ভিত্তিহীন। আমরা শান্তি চাই, তবে সার্বভৌমত্বের সঙ্গে আপস নয়।’

আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকদের মতে, এ কথার মধ্যেই লুকিয়ে আছে আফগানিস্তানের নতুন রাজনৈতিক মনোভাব—তারা পাকিস্তানের ছায়া থেকে বের হয়ে স্বাধীন নীতিতে চলতে চায়। তালেবান এখন আর ১৯৯৬ সালের মতো পাকিস্তানের ‘ক্লায়েন্ট রেজিম’ নয়। তারা চায় চীন, ইরান, রাশিয়া ও ভারতের সঙ্গে ভারসাম্যপূর্ণ সম্পর্ক রাখতে।

চীন-রাশিয়ার দৃষ্টিভঙ্গি

চীন আফগানিস্তানে অর্থনৈতিক প্রভাব বাড়াতে আগ্রহী, বিশেষত বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ সম্প্রসারণের অংশ হিসেবে। পাকিস্তানের গওয়াদার বন্দরের সঙ্গে আফগানিস্তানের বাণিজ্য রুট সংযোগের পরিকল্পনা রয়েছে; কিন্তু সীমান্ত অস্থিরতা এবং টিটিপির উপস্থিতি এই সম্ভাবনাকে বাধাগ্রস্ত করছে। রাশিয়াও মধ্য এশিয়ায় নিরাপত্তা ভারসাম্য রক্ষায় আফগান-পাকিস্তান সম্পর্ককে ঘনিষ্ঠ দেখতে চায়।

ভবিষ্যতের সম্ভাবনা

সবশেষে প্রশ্ন ওঠে—কাবুল-ইসলামাবাদের সম্পর্ক কি আবার জোড়া লাগবে? ইতিহাস বলে, দুই দেশের সম্পর্ক সব সময় ‘বাস্তববাদ ও প্রয়োজন’ দ্বারা চালিত। বর্তমানে আফগানিস্তানের প্রধান সমস্যা অভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতা ও আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি; আর পাকিস্তানের চ্যালেঞ্জ অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক দুরবস্থা। উভয় দেশই যদি সীমান্তে শান্তি বজায় রাখে, বাণিজ্য পুনরায় শুরু করে এবং সন্ত্রাস দমনে যৌথ উদ্যোগ নেয়, তাহলে পারস্পরিক সহযোগিতার নতুন অধ্যায় শুরু হতে পারে।

তবে এই আশাবাদ বাস্তবায়নের পথে সবচেয়ে বড় বাধা হলো অবিশ্বাস। ইসলামাবাদ মনে করে, কাবুল  টিটিপিকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারছে না; আর কাবুল মনে করে, পাকিস্তান তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে অতিরিক্ত হস্তক্ষেপ করছে।

এক আফগান সাংবাদিক একবার লিখেছিলেন, ‘আমরা প্রতিবেশী হয়েও পরস্পরের বন্দি।’ এই কথাই আজও সত্য। সীমান্তের ওপারে গুলি থামলেও মানসিক সীমান্তের প্রাচীর এখনো উঁচু। তাই প্রশ্ন থেকেই যায়—দুই মুসলিম প্রতিবেশী রাষ্ট্রের মধ্যে বিশ্বাস কি কখনো ফিরবে?

ইতিহাসের শিক্ষা বলছে, প্রতিশোধ নয়, প্রয়োজনই সম্পর্ক পুনর্গঠনের আসল প্রেরণা। আফগানিস্তান ও পাকিস্তান যদি বাস্তবতার মাটিতে পা রেখে পারস্পরিক স্বার্থে এগোতে পারে, তবেই হয়তো একদিন কাবুল-ইসলামাবাদ সত্যিকার অর্থে  সম্পর্ক জোড়া লাগবে।

ড. মো. সাহাবুল হক অধ্যাপক, পলিটিক্যাল স্টাডিজ বিভাগ, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • আজ টিভিতে যা দেখেবেন (১৪ নভেম্বর ২০২৫)
  • একই দিনে গণভোট ও নির্বাচন হলে সনদ বাস্তবায়ন ঝুঁকিতে পড়বে: খেলাফত মজলিস
  • ঢাবি আন্ডারগ্র্যাজুয়েট ভর্তির আবেদন ফি জমা দেওয়ার সময় বৃদ্ধি
  • যে চার বিষয়ে হবে গণভোট, একটি প্রশ্নে ‘হ্যাঁ’ বা ‘না’ দিয়ে মতামত
  • স্কয়ার ফার্মার প্রথম প্রান্তিকে মুনাফা বেড়েছে ২১.৫৪ শতাংশ
  • প্রধান উপদেষ্টা ‘নতুন কুঁড়ির’ বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দিলেন
  • লোকসান থেকে মুনাফায় রানার অটোমোবাইলস
  • নির্মাণ, ব্যবসা-বাণিজ্য ও পরিবহন খাতে ঋণ বিতরণ কমে গেছে
  • আজ টিভিতে যা দেখবেন (১৩ নভেম্বর ২০২৫)
  • কাবুল-ইসলামাবাদের সম্পর্ক কি আবার জোড়া লাগবে