হরিণের মাংস জব্দ, শিকারি চক্রের ৩ সদস্য শনাক্ত
Published: 15th, January 2025 GMT
সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের ঘাগড়ামারী এলাকায় অভিযান চালিয়ে হরিণের মাথা, পা ও মাংস জব্দ করেছে বনরক্ষীরা।
বুধবার (১৫ জানুয়ারি) বিকেলে এই অভিযান পরিচালিত হয়। এ সময় কাউকে আটক করতে স্বক্ষম না হলেও শিকারি চক্রের তিন সদস্যকে শনাক্তের কথা জানিয়েছে বন বিভাগের কর্মকর্তা।
সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের ঢাংমারী স্টেশনের কর্মকর্তা সুরঞ্জিত জানান, সুন্দরবনে হরিণ শিকারি চক্রের প্রবেশের খবর পেয়ে বনরক্ষীরা অভিযান চালায়। বনকর্মীদের দেখে শিকারিরা ধারালো অস্ত্র উঁচিয়ে হুমকি দেয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বনরক্ষীরা ফাঁকা গুলি ছুড়লে শিকারিরা ৩০ কেজি হরিণের মাংস, হরিণের দুটি মাথা ও সাতটি পা ফেলে পালিয়ে যায়।
আরো পড়ুন:
সুন্দরবনে কাকড়া আহরণে দুই মাসের নিষেধাজ্ঞা
সুন্দরবন রক্ষার প্রচারণায় ওয়াইল্ডলাইফ ফটোগ্রাফার তাসফিয়া
তিনি আরো জানান, অভিযানের সময় পালিয়ে যাওয়া চারজন শিকারির মধ্যে তিনজনের পরিচয় শনাক্ত করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে বন আইনে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। উদ্ধারকৃত মাংস বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) বাগেরহাট আদালতে পাঠানো হবে।
ঢাকা/শহিদুল/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
সুন্দরবনে ফাঁদসহ হরিণশিকারি আটক
সুন্দরবনের কচিখালী বন্য প্রাণী অভয়ারণ্য এলাকা থেকে হরিণ শিকারের ৩০০ ফাঁদসহ এক ব্যক্তিকে আটক করেছে বন বিভাগ। আজ সোমবার সকালে শরণখোলা রেঞ্জের কচিখালী এলাকার সুখপাড়া খাল–সংলগ্ন বনে অভিযান চালিয়ে তাঁকে আটক করা হয়।
আটক ব্যক্তির নাম আরিফুল ইসলাম। তিনি বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার কোরাইল্যা গ্রামের আবদুল খালেকের ছেলে। অভিযানে ওই বনাঞ্চলে পেতে রাখা হরিণ শিকারের ৩০০ ‘মালা ফাঁদ’, ১টি ছুরি ও করাত, প্লাস্টিকের রশিসহ শিকারের মালামাল উদ্ধার করা হয়। আটক ব্যক্তি ও জড়িতদের বিরুদ্ধে বন আইনে মামলার প্রক্রিয়া চলছে।
সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, সেখানে ফাঁদ পাততে আসা আরও দুজন অভিযানের সময় বনের ভেতর পালিয়ে গেছেন। তাঁদের ধরতে অভিযান অব্যাহত আছে।
স্থানীয় একাধিক বাসিন্দার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পাথরঘাটার একাধিক চক্র সুন্দরবনে হরিণ শিকারের সঙ্গে যুক্ত। বিশেষ করে জ্ঞানপাড়াসহ কয়েকটি এলাকায় শক্তিশালী হরিণশিকারি চক্র সক্রিয় আছে। বলেশ্বর নদের পূর্ব পাড়ে পাথরঘাটা উপজেলা আর পশ্চিমে সুন্দরবন। রাতের আঁধারে নদ পার হয়ে শিকারিরা বনে প্রবেশ করে। রাজনৈতিক ছত্রচ্ছায়ায় সুন্দরবনে ঢুকে বন্য প্রাণী শিকার করে আসছে চক্রগুলো। পাথরঘাটার এসব চক্রের সঙ্গে শরণখোলা ও মোরেলগঞ্জ উপজেলার বেশ কিছু ব্যক্তি জড়িত।
এদিকে আটক আরিফুল প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন, তাঁরা পাথরঘাটার হরিণশিকারি চক্র নাসির গ্যাংয়ের সদস্য। নাসির বন বিভাগের তালিকাভুক্ত অপরাধী (হরিণশিকারি)।
সুন্দরবনে বন্য প্রাণী প্রজনন মৌসুম ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় ১ জুন থেকে বনে প্রবেশে তিন মাসের নিষেধাজ্ঞা চলছে। এ সময়ে বনজীবী, পর্যটকসহ সাধারণ মানুষের বনে প্রবেশ নিষিদ্ধ করে বন বিভাগ। বিষয়টি নিশ্চিত করে ডিএফও রেজাউল করিম বলেন, দুর্গম সুন্দরবনে পায়ে হেঁটে টহল বেশ ঝুঁকিপূর্ণ। এসব এলাকায় বাঘ, কুমির, সাপসহ বন্য প্রাণীর আক্রমণের ঝুঁকি বেশি। এর মধ্যেও এ ধরনের অভিযান অব্যাহত আছে। গত দুই মাসে তিন হাজারের বেশি হরিণ শিকারের ফাঁদ উদ্ধার হয়েছে।