জেনিথ ইসলামী লাইফের সব সূচকেই প্রবৃদ্ধি
Published: 4th, February 2025 GMT
সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন
সর্বশেষ হিসাব সমাপনী বছর ২০২৪ সালে সবগুলো সূচকেই প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে চতুর্থ প্রজন্মের বীমা কোম্পানি জেনিথ ইসলামী লাইফ। কোম্পানিটির প্রথম বর্ষ প্রিমিয়াম তথা নতুন ব্যবসা যেমন বেড়েছে, তেমনি বেড়েছে নবায়ন প্রিমিয়াম সংগ্রহ। একইসঙ্গে বেড়েছে কোম্পানিটির লাইফ ফান্ড, বিনিয়োগ এবং সম্পদের পরিমাণ।
বীমা খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইডিআরএ’র কাছে দাখিল করা কোম্পানিটির ২০২৪ সালের চতুর্থ ত্রৈমাসিক ও হিসাব সমাপনী প্রতিবেদন পর্যালোচনায় উঠে এসেছে এই চিত্র। জেনিথ ইসলামী লাইফ দেশের বীমা খাতে ব্যবসা শুরু করে ২০১৩ সালে।
বীমা কোম্পানিটি বলছে, আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারে গ্রাহক সেবার মান বৃদ্ধির পাশাপাশি তাদের স্বচ্ছ ব্যবস্থাপনা আকৃষ্ট করেছে গ্রাহকদের। স্বাস্থ্য বীমাসহ কোম্পানিটির সময়োপযোগী নতুন নতুন বীমা পলিসিও উঠে এসেছে গ্রাহকদের পছন্দের তালিকায়। একইসঙ্গে বীমা দাবি পরিশোধে সর্বোচ্চ গুরুত্বারোপ করায় উত্তোরত্তর প্রবৃদ্ধি অর্জন করছে প্রতিষ্ঠানটি।
প্রতিবেদনের তথ্য অনুসারে, ২০২৪ সালে জেনিথ ইসলামী লাইফের মোট প্রিমিয়াম আয় বেড়েছে ১৮.
২০২৪ সালে জেনিথ ইসলামী লাইফের প্রথম বর্ষ বা নতুন প্রিমিয়াম আয় বেড়েছে ১২.৪৮ শতাংশ। সর্বশেষ হিসাব সমাপনী বছরে কোম্পানিটি প্রথম বর্ষ প্রিমিয়াম আয় করে ১৪ কোটি ৫২ লাখ টাকা। যা ২০২৩ সালে ছিলো ১২ কোটি ৯১ লাখ টাকা। অর্থাৎ নতুন প্রিমিয়াম আয় বেড়েছে ১ কোটি ৬১ লাখ টাকা।
জেনিথ ইসলামী লাইফ ২০২৪ সালে নবায়ন প্রিমিয়াম আয় করে মোট ১৭ কোটি ৪৪ লাখ টাকা। যা আগের বছর ২০২৩ সালে ছিল ১৩ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। সে হিসাবে গেলো বছর কোম্পানিটির নবায়ন প্রিমিয়াম আয় বেড়েছে ৩ কোটি ৬৮ লাখ টাকা বা ২৬.৮০ শতাংশ। এছাড়াও কোম্পানিটি সর্বশেষ হিসাব অনুসারে গ্রুপ বীমায় প্রিমিয়াম আয় করে ১ কোটি ৬৫ লাখ টাকা। যা ২০২৩ সালে ছিল ১ কোটি ৬৯ লাখ টাকা।
অপর দিকে মোট প্রিমিয়াম আয়ের ওপর মোট ব্যবস্থাপনা ব্যয়ের হারও কমেছে জেনিথ ইসলামী লাইফের। ২০২৪ সালে কোম্পানিটি মোট প্রিমিয়াম আয়ের ৫৮.৯৮ শতাংশ খরচ করেছে। যা আগের বছর ২০২৩ সালে ছিল ৫৯.০৬ শতাংশ। অর্থাৎ ০.০৮ শতাংশ খরচ কমেছে।
২০২৪ সালে জেনিথ ইসলামী লাইফের মোট ব্যবস্থাপনা ব্যয় হয়েছে ১৯ কোটি ৮২ লাখ টাকা। যেখানে কোম্পানিটির মোট প্রিমিয়াম আয় ৩৩ কোটি ৬০ লাখ টাকা।
লাইফ ফান্ড বেড়েছে ৫১.১০ শতাংশ:
সর্বশেষ হিসাব অনুসারে ২০২৪ সালে জেনিথ ইসলামী লাইফের লাইফ ফান্ড বেড়েছে ৫১.১০ শতাংশ। ২০২৩ সালে কোম্পানিটির লাইফ ফান্ড ছিল ১৭ কোটি ৭৬ লাখ টাকা। ২০২৪ সালে ৯ কোটি ৮ লাখ টাকা বেড়ে কোম্পানিটির মোট লাইফ ফান্ড হয়েছে ২৬ কোটি ৮৪ লাখ টাকা।
বীমা দাবি পরিশোধ বেড়েছে ২৮.৩৯ শতাংশ:
সর্বশেষ হিসাব সমাপনী বছর ২০২৪ সালে জেনিথ ইসলামী লাইফ বীমা দাবি পরিশোধ করেছে ৭ কোটি ১১ লাখ টাকা। যা ২০২৩ সালে ছিল ৫ কোটি ৫৪ লাখ টাকা। এই হিসাবে ২০২৪ সালে কোম্পানিটির বীমা দাবি পরিশোধের পরিমাণ বেড়েছে ১ কোটি ৫৭ লাখ টাকা বা ২৮.৩৯ শতাংশ।
বিনিয়োগ বেড়েছে ১৩.৪৮ শতাংশ:
জেনিথ ইসলামী লাইফের মোট বিনিয়োগ বেড়েছে ৪ কোটি ৪২ লাখ টাকা, ১৩.৪৮ শতাংশ। ২০২৩ সালে কোম্পানিটির মোট বিনিয়োগ ছিলো ৩২ কোটি ৭৬ লাখ টাকা। যা ২০২৪ সালে বেড়ে দাড়িয়েছে ৩৭ কোটি ১৭ লাখ ৮০ হাজার ৬২১ টাকা।
সম্পদ বেড়েছে ১৪.৭৫ শতাংশ:
হিসাব সমাপনী প্রতিবেদনে অনুসারে ২০২৪ সালে জেনিথ ইসলামী লাইফের মোট সম্পদ বেড়েছে ১৪.৭৫ শতাংশ। ২০২৩ সালে কোম্পানিটির মোট সম্পদ ছিল ৪৬ কোটি ৮৫ লাখ টাকা। ২০২৪ সালে ৬ কোটি ৯১ লাখ টাকা বেড়ে মোট সম্পদ দাঁড়িয়েছে ৪৬ কোটি ৮৫ লাখ টাকা।
এসব বিষয়ে কোম্পানিটির মুখ্য নির্বাহী এস এম নুরুজ্জামান বলেন, আমাদের সেবায় আস্থা রেখে দেশের ৬টি বিশ্ববিদ্যালয় বীমা চুক্তি করেছে। তিনি বলেন, বীমা দাবি পরিশোধসহ গ্রাহকসেবাকে আমরা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে থাকি। আমাদের কোন বীমা দাবি বকেয়া নেই। কোম্পানির সকল গ্রাহকের বীমা দাবি পরিশোধের আর্থিক সক্ষমতা রয়েছে জেনিথ ইসলামী লাইফের।
এস এম নুরুজ্জামান আরো বলেন, বর্তমান সময়ে প্রযুক্তিগত দিক দিয়ে সেরা অবস্থানে রয়েছে জেনিথ ইসলামী লাইফ। বিশ্বের সব থেকে আপডেট টেকনোলজি ইআরপি সফটওয়্যার থাকায় মাঠ পর্যায়ে গ্রাহকদের প্রতারিত হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। মোবাইল অ্যাপসের মাধ্যমে নিমিষেই গ্রাহক তার সকল তথ্য দেখতে পারেন।
উৎস: SunBD 24
কীওয়ার্ড: প র ম য় ম আয় ব ড় ছ ম ট প র ম য় ম আয় ন প র ম য় ম আয় প র ম য় ম আয় ক জ ন থ ইসল ম ২০২৩ স ল পর শ ধ ব যবস
এছাড়াও পড়ুন:
যশোর বোর্ডে এসএসসিতে ৭৫ স্কুলে শতভাগ পাস, ফেল ২ প্রতিষ্ঠানে
যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এসএসসি পরীক্ষায় শতভাগ পাসের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা কমেছে। পাশাপাশি শতভাগ ফেল করেছে দু’টি প্রতিষ্ঠান। আজ বৃহস্পতিবার প্রকাশিত ফলাফলে এ চিত্র উঠে এসেছে। এবার শতভাগ পাস করেছে ৭৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন যশোর শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল মতিন।
যশোর শিক্ষাবোর্ডের অধীনে এসএসসি পরীক্ষায় এবার ২ হাজার ৫৭৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এক লাখ ৩৮ হাজার ৮৫১ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেছে। এর মধ্যে ৭৫টির সব শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়েছে। তবে এই সংখ্যা গত পাঁচ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। গতবছর শতভাগ পাস করেছিল ৪২২টি স্কুলের শিক্ষার্থীরা। পাশাপাশি গতবছর শতভাগ ফেলের কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছিল না। এবার দু’টি প্রতিষ্ঠান এই তালিকায় নাম লিখিয়েছে। এ দু’টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হলো নড়াইলের মুলাদি তালতলা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় ও বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জের নাহালখালি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়। এই স্কুল দু’টি থেকে একজন করে ছাত্রী এসএসসি পরীক্ষায় অবতীর্ণ হয়ে অনুত্তীর্ণ হয়েছে। ২০২৩ সালেও শতভাগ ফেলের তালিকায় ছিল মুলাদি তালতলা স্কুল।
যশোর বোর্ড সূত্র জানায়, ২০২৩ সালে শতভাগ পাসের প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ছিল ১৯৩টি। আর ২০২২ সালে শতভাগ উত্তীর্ণ প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ছিল ৫১৩টি। আর গতবছর শতভাগ অনুত্তীর্ণ কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান না থাকলেও ২০২৩ সালে যশোর বোর্ডের তিনটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান যশোরের শার্শা উপজেলার সাড়াতলা নিম্ন-মাধ্যমিক বিদ্যালয়, সাতক্ষীরার তালা উদয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও নড়াইলের মুলাদি তালতলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সব শিক্ষার্থীই অনুত্তীর্ণ হয়েছিল। ২০২২ সালে এমন প্রতিষ্ঠান ছিল একটি।