কুয়েট উপাচার্যের প্রতীকি গদিতে শিক্ষার্থীদের আগুন
Published: 19th, April 2025 GMT
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাছুদের প্রতীকি গদিতে (চেয়ার) আগুন দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। উপাচার্যকে অপসারণ না করা পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
শিক্ষার্থীরা শনিবার সন্ধ্যা ৬টায় ক্যাম্পাসের স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার সেন্টারের সামনে জড়ো হন। মিছিল নিয়ে দুর্বার বাংলা চত্বরে যান। সেখানে উপাচার্যের প্রতীকি গদিতে আগুন জ্বালান। উপাচার্যকে অপসারণের দাবি জানালেও সরকার কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন তারা।
এদিকে উপাচার্যকে অপসারণের দাবিকে অযৌক্তিক ও ষড়যন্ত্রের অংশ বলে গতকাল বিবৃতি দিয়েছে কুয়েট শিক্ষক সমিতি। সংগঠনের সভাপতি অধ্যাপক ড.
তিনি অভিযোগ করেন, কিছু শিক্ষার্থী নোংরা ভাষায় শিক্ষকদের হেয় করছেন। পাশাপাশি সাইবার আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছেন।
প্রসঙ্গত, ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবি নিয়ে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ছাত্রদল ও বহিরাগতদের সংঘর্ষ হয়। দেড় শতাধিক আহত হয়। ২৫ ফেব্রুয়ারি কুয়েট সিন্ডিকেট সভায় অনির্দিষ্টকালের জন্য হল ও একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়। গত ১৩ এপ্রিল থেকে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে আন্দোলন করছেন।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: আগ ন ক য় ট উপ চ র য উপ চ র য
এছাড়াও পড়ুন:
জামাইয়ের ছুরিকাঘাতে শাশুড়ি খুন
ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় পারিবারিক কলহের জেরে জামাইয়ের ছুরিকাঘাতে শাশুড়ি নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন একজন। বুধবার দিবাগত রাতে উপজেলার হরিরামপুর ব্যাপারী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ফজিলা খাতুন (৪৫) উপজেলার হরিরামপুর ব্যাপারী গ্রামের বাসিন্দা মৃত জালাল উদ্দিনের স্ত্রী।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মনির মিয়া (৩০) উপজেলার হরিরামপুর ব্যাপারী গ্রামের সেলিম মিয়ার ছেলে। ঘটনার রাতে স্ত্রী রুমা আক্তারের সঙ্গে তার কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে যান মনির। পরে রাত আনুমানিক আড়াইটার দিকে তিনি বাড়ি ফিরে আসেন এবং চার বছরের ছেলে রোহানকে নিয়ে চলে যেতে চান। এতে স্ত্রীর সঙ্গে তার আবারও বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে মনির হাতে থাকা ছুরি দিয়ে স্ত্রীকে আঘাত করতে গেলে শাশুড়ি ফজিলা খাতুন বাধা দেন। তখন মনির শাশুড়িকে ছুরিকাঘাত করেন। পাশাপাশি স্ত্রীকেও আঘাত করেন তিনি। পরে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে ফজিলা খাতুনের মৃত্যু হয়।
মুক্তাগাছা থানার ওসি মো. কামাল হোসেন বলেন, খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো। তবে অভিযুক্ত পালিয়েছে। তাকে ধরার চেষ্টা চলছে।