হাবিব ওয়াহিদের জন্ম ঢাকায় হলেও তাঁর পৈতৃক ভিটা মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার দক্ষিণ পাইকশা গ্রামে। বাবা সংগীতশিল্পী ফেরদৌস ওয়াহিদ এখন সেখানেই থাকেন। উৎসব–পার্বণে হাবিবের গ্রামে যাওয়া হলেও কোনো অনুষ্ঠানের সময় হয়ে ওঠে না। সবশেষ ২০১০ সালে সেখানে একটি কনসার্টে অংশ নিয়েছিলেন হাবিব। এরই মাঝে পেরিয়েছে অনেক বছর। সম্প্রতি দেড় দশক পর নিজ গ্রামের একটি কনসার্টে অংশ নেন তিনি। আর এই কনসার্টে দর্শকের গানের অনুরোধের একটি ভিডিও ক্লিপ হয়েছে ভাইরাল, হচ্ছে বিভিন্ন মিম, যা চোখ এড়ায়নি হাবিবেরও। ভিডিও ক্লিপের পেছনের গল্প তিনি জানিয়েছেন প্রথম আলোকে।

আরও পড়ুনঅর্ণবের উৎসাহেই ‘দিন গেল’ গানটি অ্যালবামে রেখেছিলেন হাবিব২২ মার্চ ২০২৫

কনসার্টের একপর্যায়ে দর্শকদের কাছে হাবিব জানতে চান, এরপর কোন গান হবে? দর্শকসারি থেকে তখন বিভিন্ন গানের অনুরোধ আসতে থাকে। হাবিবও মনোযোগ দিয়ে সেগুলো শোনার চেষ্টা করেন। এমন সময় হাবিবের এক খুদে ভক্ত তাঁর কাছে এসে বারবার ‘রাত নির্ঘুম’ গানটি গাওয়ার অনুরোধ রাখতে থাকেন, কিন্তু হাবিব তাঁকে থামিয়ে দর্শকের কথা শোনার চেষ্টা করছিলেন। ভক্তও নাছোড়বান্দা, বারবার কানের কাছে বলতে থাকেন। তবে বারবার অনুরোধ রাখার পরও এই ভক্ত নজরে আসতে পারেননি হাবিবের। আর এমন মুহূর্তই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হয়েছে ভাইরাল। অনেকেই আবার এ খুদে ভক্তকে চিনতে পেরেছেন। তিনি হাবিব ওয়াহিদের জ্যেষ্ঠ পুত্র আলীম ওয়াহিদ।
ভাইরাল হওয়া ভিডিও থেকে মিম বিভিন্নজন পাঠাচ্ছেন হাবিবকে। অনেকেই আবার ফোনকলে মুহূর্তটি সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন। সেদিনের এই ভিডিওর নেপথ্যের গল্পে হাবিব বলেন, ‘আসলে আমার সব শোতেই এমন ঘটনা ঘটে। আলীম অনেক ছোট থেকেই আমার প্রায় সব কনসার্টে উপস্থিত থাকে। এ ছাড়া আমার প্লেলিস্ট তো ওর মুখস্থ, তাই কোনো গান যদি মিস হয়, ঠিক অনুরোধ না, ও মনে করিয়ে দেয়।

আবার এমনও হয়, হয়তো কোনো গান আসলেই ও শুনতে চাচ্ছে। সেদিন দর্শকসারি থেকে অনেক গানের নাম শুনতে পাচ্ছিলাম, তাই স্পষ্ট শোনার চেষ্টা করছিলাম। এমন সময় ও আমাকে “রাত নির্ঘুমের” অনুরোধ করতে থাকে। ও তো আমার টিম মেম্বার, তাই আমার মনোযোগ দর্শকের দিকেই ছিল।’

পুরনো ছবিতে সন্তানদের নিয়ে হাবিব.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র অন র ধ কনস র ট

এছাড়াও পড়ুন:

সাত বছর আগে সাংবাদিক খাসোগি হত্যার পর প্রথম যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছেন সৌদি যুবরাজ

যুক্তরাষ্ট্র সফরে যাচ্ছেন সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। আগামীকাল মঙ্গলবার হোয়াইট হাউসে তিনি প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করবেন। বৈঠকের লক্ষ্য তেল ও নিরাপত্তা খাতে দুদেশের বহু দশকের সহযোগিতার সম্পর্ক আরও গভীর করা। একই সঙ্গে বাণিজ্য, প্রযুক্তি এবং সম্ভাব্য পারমাণবিক জ্বালানি খাতে সম্পর্ক আরও বিস্তৃত করা।

২০১৮ সালে ইস্তাম্বুলে সাংবাদিক এবং সৌদি রাজপরিবারের কট্টর সমালোচক জামাল খাসোগি হত্যাকাণ্ডের পর এটাই যুবরাজ সালমানের প্রথম যুক্তরাষ্ট্র সফর।

আরও পড়ুনসৌদি আরবের যুবরাজের সঙ্গে বৈঠক করলেন ট্রাম্প১৩ মে ২০২৫

সৌদি আরবের গোয়েন্দারা ইস্তাম্বুলে সৌদি দূতাবাসের ভেতর খাসোগিকে হত্যা করেছিলেন বলে অভিযোগ। এ হত্যাকাণ্ড বিশ্বজুড়ে তুমুল আলোড়ন তুলেছিল। অনেকে অভিযোগ করেছিলেন, খাসোগি হত্যাকাণ্ডের পেছনে যুবরাজ সালমানের হাত রয়েছে।

পরে যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো এ সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছিল, যুবরাজই খাসোগিকে অপহরণ বা হত্যার অনুমোদন দিয়েছিলেন।

যুবরাজ সালমান খাসোগিকে হত্যার নির্দেশ দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেন। তবে তিনি সৌদি আরব সরকারের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা হিসেবে এ হত্যার দায় স্বীকার করেছিলেন।

খাসোগি হত্যার পর সাত বছরের বেশি সময় পেরিয়ে গেছে। বিশ্বের সবচেয়ে বড় অর্থনীতির দেশ যুক্তরাষ্ট্র এবং সবচেয়ে বেশি তেল উত্তোলনকারী দেশ সৌদি আরব নিজেদের মধ্যে সম্পর্ক নতুন করে এগিয়ে নিতে চাইছে।

আরও পড়ুনসৌদি আরবের সঙ্গে ‘ইতিহাসের সবচেয়ে বড় অস্ত্র বিক্রির চুক্তি’ যুক্তরাষ্ট্রের১৩ মে ২০২৫

ট্রাম্প গত মে মাসে সৌদি আরবে তাঁর সফরের সময় দেওয়া ৬০ হাজার কোটি ডলারের সৌদি বিনিয়োগ প্রতিশ্রুতির সুযোগ কাজে লাগাতে চাইছেন।

মে মাসের ওই সফরে ট্রাম্প সৌদি আরবে মানবাধিকার–সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা স্পষ্টভাবে এড়িয়ে গিয়েছিলেন। এবারও তিনি একই পথে হাঁটবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

অন্যদিকে যুবরাজ মোহাম্মদ আঞ্চলিক অস্থিরতার মধ্যে নিজ দেশের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা চাইছেন। একই সঙ্গে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি (এআই) এবং বেসামরিক খাতে একটি পারমাণবিক প্রকল্প চুক্তির পথে অগ্রসর হতে চাইছেন।

আরও পড়ুনখাসোগি হত্যা সবচেয়ে জঘন্য ধামাচাপার ঘটনা: ট্রাম্প২৪ অক্টোবর ২০১৮

যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরব দীর্ঘদিন ধরেই এমন একটি সম্পর্ক বজায় রেখেছে, যেখানে সৌদি আরব যুক্তরাষ্ট্রের কাছে তাদের পছন্দমতো দামে তেল বিক্রি করবে এবং যুক্তরাষ্ট্র সৌদি আরবকে নিরাপত্তা দেবে।

আরও পড়ুনখাসোগিকে পূর্বপরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে: সৌদি আরব২৬ অক্টোবর ২০১৮

সম্পর্কিত নিবন্ধ