ঈশ্বরগঞ্জে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে প্রাণ গেল তরুণ ফুটবলারের
Published: 3rd, May 2025 GMT
ময়মনসিংহ ঈশ্বরগঞ্জে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মো. তাইজুল ইসলাম (২৫) নামে এক তরুণ ফুটবলারের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার দুপুরে সদর ইউনিয়নের আশ্রবপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত তাইজুল ওই এলাকার মো. আব্দুস সাত্তার ছেলে। তিনি ময়মনসিংহ মোহামেডান ক্লাব ও ঈশ্বরগঞ্জ আব্দুল হালিম ফুটবল একাডেমির নিয়মিত ফুটবলার ছিলেন।
নিহতের পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার দুপুরে বাড়ির পাশেই ক্ষেত থেকে প্লাস্টিকের বস্তা দিয়ে বাড়িতে ধান আনছিলেন তাইজুল। কয়েকদফা ধান বাড়িতে রেখেও যান। একপর জুমার নামাজের সময় হয়ে যাওয়ায় তড়িঘড়ি করে পাশেই আরেক ধানক্ষেত দিয়ে আসতে চাচ্ছিলেন। এসময় মাটিতে পড়ে থাকা বৈদ্যুতিক তারের স্পর্শে বিদ্যুতায়িত হন তাইজুল। পরে স্বজনেরা তাকে উদ্ধারকরে ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে তরুণ ফুটবলারের অকাল মৃত্যুতে পরিবারে চলছে শোকের মাতম। এলাকার পাশাপাশি ফুটবল অঙ্গনেও শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
ঈশ্বরগঞ্জ ক্রিড়া সংস্থার সদস্য ও ময়মনসিংহ জেলা ফুটবল দলের অধিনায়ক মো.
ঈশ্বরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত (কর্মকর্তা) মো. ওবায়দুর রহমান বলেন, পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে বিনা ময়নাতদন্তে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে। এ বিষয়ে থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ময়মনস হ ফ টবল র ত ইজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
এক দিন রিকশা চালান, আরেক দিন কারুপণ্য বানান ময়মনসিংহের জাহাঙ্গীর
ময়মনসিংহ সদর উপজেলার মনতলা গ্রামের বাসিন্দা জাহাঙ্গীর আলম (৩৫)। পেটের তাগিদে রিকশা চালান। আর মনের খোরাক জোগাতে নান্দনিক সব কারুপণ্য বানান। বাঁশ ও নারকেলের মালা দিয়ে তৈরি করেন নান্দনিক সব কারুপণ্য। শখের বশে শুরু করলেও এখন এসব বিক্রি করেন। তিনি স্বপ্ন দেখেন, নিজের এসব কারুপণ্য বিদেশে বিক্রির।
স্ত্রী জান্নাত আক্তার, ৯ ও দুই বছর বয়সী দুই মেয়ে নিয়ে জাহাঙ্গীরের সংসার। ২০০৮ সালে এসএসসি পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়ার পর নানা পেশা পাল্টে এখন রিকশা চালান জাহাঙ্গীর। ময়মনসিংহ নগরে এক দিন পরপর রিকশা চালান। যেদিন বাড়িতে থাকেন, সেদিন কারুপণ্য তৈরি করেন।
সম্প্রতি নগরের কাছারিঘাটে চলা বাণিজ্য মেলায় ঢুকে দেখা যায়, একটি টেবিলে বাঁশ ও নারকেলের মালা দিয়ে তৈরি কারুপণ্য সাজিয়ে বসে আছেন জান্নাত আক্তার। রাস্তা দিয়ে চলা মানুষ এসে দাঁড়াচ্ছেন, আর কারুপণ্য দেখছেন। অনেকে দরদাম করছেন, কেউ কেউ কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।
হৃদয় মাহমুদ নামের এক ক্রেতা বলেন, ‘নারকেলের খোসাকে আমরা আরছি বলি। এগুলো ফেলে দেওয়া ছাড়া কোনো কাজ নেই। কিন্তু এই আরছি দিয়ে ফুল, গাছ, টব কত–কী তৈরি করা হয়েছে। সত্যি মুগ্ধ হওয়ার মতো!’
সম্প্রতি মনতলা গ্রামে জাহাঙ্গীর আলমের বাড়ি গিয়ে দেখা যায়, বাড়ির সামনে রোদে শুকাচ্ছেন নারকেলের মালা। উঠানে নিজের তৈরি পণ্য রোদে দিয়ে সেগুলো পরিষ্কার করছিলেন। বাঁশের তৈরি কলমদানি, ব্রাশহোল্ডার, ফুলের টব, ওয়ালমেট, দেয়ালঘড়ি, কাপ, ল্যাম্প, চামচসহ কত–কী আছে সেখানে!
জাহাঙ্গীর আলম ২৫ থেকে ৩০ ধরনের পণ্য বানান বলে জানান