দেশের বাজারে আরেক দফা স্বর্ণের দাম কমিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) স্বর্ণে ৩ হাজার ৫৭০ টাকা কমিয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৬৮ হাজার ৯৭৬ টাকা।
শনিবার সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। রোববার থেকেই নতুন দাম কার্যকর হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবী স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) দাম কমেছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।
নতুন দাম অনুযায়ী, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৬১ হাজার ৩০১ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৮ হাজার ২৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরির দাম ১ লাখ ১৪ হাজার ২৯৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এর আগে গত ২৩ এপ্রিল স্বর্ণের দাম ভরিতে ৫ হাজার ৩৪২ টাকা কমিয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৭২ হাজার ৫৪৬ টাকা নির্ধারণ করে বাজুস।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: স বর ণ র দ ম স বর ণ র দ ম নত ন দ ম
এছাড়াও পড়ুন:
স্রোতে ভেঙে পড়ল পাংগাসিয়া খালের সেই সাঁকো
পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলার পাংগাসিয়া খালের ওপর নির্মিত আলোচিত সাঁকোটি ভেঙে পড়েছে। বুধবার পানির তীব্র স্রোতে সেটি ভেঙে পড়ে। এতে তিন গ্রামের মানুষের যাতায়াত বন্ধ হয়ে যায়। দুর্ভোগে পড়েছে আশপাশের চারটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীসহ হাজারো মানুষ।
উপজেলার শিয়ালকাঠি ইউনিয়নের ফলইবুনিয়া গ্রামের কাছারিবাড়িতে খালের মোহনায় দীর্ঘদিন আগে বাঁশ-সুপারি গাছ দিয়ে নির্মিত হয় সাঁকোটি। আশপাশের তিন গ্রামের মানুষের যোগাযোগের এ সাঁকোটি বেশ কিছুদিন ধরে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে। বারবার এলাকাবাসীর দাবি বা পত্রপত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পরও সেটি সংস্কার করা হয়নি। নির্মিত হয়নি কোনো সেতুও।
সাঁকোর দক্ষিণে কাউখালীর বেকুটিয়া নতুন বাজার থেকে ফলইবুনিয়া, জোলাগাতী, তালুকদার হাট, হাওলাদার হাটের অবস্থান। এ ছাড়া জোলাগাতী ফাজিল মাদ্রাসা, জোলাগাতী উচ্চ বিদ্যালয়, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ ইউনিয়নের গুরুত্বপূর্ণ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও ওই এলাকায়। এ পাশেই নুরানি মাদ্রাসা, হেফজখানা ও ছাত্রাবাস আছে।
দক্ষিণ পারের লোকজনকে স্কুল-কলেজ, উপজেলা ও জেলা সদরে যেতে হলে এ সাঁকোটিই ব্যবহার করতে হয়। বুধবার পানির স্রোতে সাঁকোটির বড় অংশ খালে পড়ে গেছে। ফলে যাতায়াতের জন্য লোকজনকে তিন কিলোমিটার বাড়তি পথ পাড়ি দিতে হচ্ছে।
ফলইবুনিয়ার বাসিন্দা ও স্থানীয় ইউপি সদস্য মেহেদী হাসানের ভাষ্য, পাংগাসিয়া খাল পারাপারের জন্য ওই জায়গা থেকে খালের পশ্চিমে তিন কিলোমিটার দূরে পাংগাসিয়া বাজারের সেতু ও পূর্বদিকে দুই কিলোমিটার দূরে বেলতলা সেতু আছে। বিকল্প কোনো সেতু না থাকায় ওই সাঁকোটিই ছিল মানুষের শেষ ভরসা। জরুরি প্রয়োজনে নিজেরা গ্রাম থেকে বাঁশ, সুপারি গাছ সংগ্রহ করে স্বেচ্ছাশ্রমের মাধ্যমে বছরের পর বছর ধরে সাঁকোটি মেরামত করে আসছিলেন।
শিয়ালকাঠি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান গাজী সিদ্দিকুর রহমানও সাঁকোটির গুরুত্ব তুলে ধরে উপজেলা সমন্বয় সভায় তুলে ধরেছেন। তিনি বলেন, এর বাইরেও নানা দপ্তরে যোগাযোগ করেছেন। কিন্তু স্থায়ী কোনো সেতু সেখানে নির্মাণের ব্যবস্থা হয়নি।
এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী মো. ইমতিয়াজ হোসেনের ভাষ্য, পাংগাসিয়া খালের ওই জায়গায় নতুন সেতু নির্মাণের কোনো পরিকল্পনা তাদের জানা নেই। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করছেন।
কাউখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সজল মোল্লা বলেন, সাঁকোটি ভেঙে পড়ায় সাধারণ মানুষের চলাচলে অসুবিধা হচ্ছে। এ জন্য সাঁকোটি মেরামতে উদ্যোগ নেওয়া হবে।