ঢাকায় চলতি বছর আরও ২৫টি খেলার মাঠ হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ। বর্তমানে সিটি করপোরেশনের ২৫টি পার্ক ও খেলার মাঠ রয়েছে।

আজ শনিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর ধানমন্ডিতে আয়োজিত ‘গুণীজন সম্মাননা ও বর্ষবরণ ১৪৩২’ অনুষ্ঠানে তিনি এ তথ্য জানান। অনুষ্ঠানে ডিএনসিসি প্রশাসককে গুণীজন হিসেবে সংবর্ধনা দেয় লক্ষ্মীপুর জেলা যুব কল্যাণ সমিতি, ঢাকা।

মোহাম্মদ এজাজ বলেন, সিটি করপোরেশনের ২৫টি পার্ক এবং মাঠ আছে। এর মধ্যে কিছু পার্ক ও মাঠ শেখ হাসিনা ও তাঁর পরিবার–স্বজনদের নামে। সেগুলোর নাম ইতিমধ্যে পরিবর্তন করা হয়েছে। খেলার মাঠ এখন ৫০টি করার চেষ্টা চলছে। আশা করা যায়, এ বছরই পারা যাবে।

বক্তব্যে ডিএনসিসি প্রশাসক কথা বলেন রাজধানীর তেজগাঁও ট্রাকস্ট্যান্ড নিয়েও। তিনি বলেন, ঈদুল আজহার আগেই রাজধানীর তেজগাঁও ট্রাকস্ট্যান্ডের একটি স্থায়ী সমাধান হবে।

এ ছাড়া নিজ উদ্যোগে সেনাপ্রধানের সহায়তায় মিরপুর ডিওএইচএস থেকে উত্তরার সংযোগ সড়ক হয়েছে বলেও জানান মোহাম্মদ এজাজ। একই সঙ্গে মিরপুরের ৬০ ফুট সড়ককে সম্প্রসারিত করতে কাজ চলছে উল্লেখ করে আগামী ডিসেম্বরের আগেই সড়কটি খুলে দেওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

কাজ করতে গিয়ে বিএনপিসহ সব রাজনৈতিক দলের সহায়তা পাচ্ছেন বলে জানান ডিএনসিসির প্রশাসক।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ড এনস স

এছাড়াও পড়ুন:

সিঁধ কেটে ঘরে ঢুকে বৃদ্ধাকে গলা কেটে হত্যা

নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে সিঁধ কেটে ঘরে ঢুকে সেতারা বেগম (৭০) নামের এক বৃদ্ধাকে গলা কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। 

শুক্রবার (২০ জুন) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোরশেদ আলম। তবে, পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে হত্যার কোনো কারণ জানাতে পারেনি।  

বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) রাতের কোনো এক সময়ে সোনাইমুড়ী উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নের ২নম্বর ওয়ার্ডের কালিকাপুর গ্রামের ওসমান আলী হাজীর বাড়িতে ওই বৃদ্ধাকে হত্যা করা হয়।

নিহত সেতারা বেগম ওই এলাকার মৃত মোফাজ্জল হকের স্ত্রী। তিনি পাঁচ সন্তানের জননী ছিলেন।

পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, সেতারা তার এক ছেলের সঙ্গে সোনাইমুড়ী পৌরসভা এলাকায় বাস করতেন। ঈদুল আজহা উপলক্ষে তিনি গ্রামের বাড়িতে আসেন। বৃহস্পতিবার রাতে নিজ ঘরে একা ঘুমিয়ে ছিলেন তিনি। শুক্রবার সকাল ১০টা পর্যন্ত বাড়ির লোকজন কোনো সাড়া-শব্দ না পাওয়ায় সেতারার ঘরে যান এবং ভেতরে তার রক্তাক্ত দেহ পড়ে থাকতে দেখেন। খবর পেয়ে স্থানীয় লোকজন গিয়ে দেখেন, টিনশেড ঘরের সিঁধ কেটে ঘরে ঢুকে সেতারা বেগমকে হত্যা করেছে কে বা কারা।  

সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোরশেদ আলম বলেছেন, বৃহস্পতিবার রাতের কোনো এক সময়ে সিঁধ কেটে ওই নারীর ঘরে ঢোকে দুর্বৃত্তরা। পরে তাকে গলা কেটে হত্যা করে। ক্রাইমসিন ইউনিট ও সিআইডির আলামত সংগ্রহ শেষ হলে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে। এ বিষয়ে আমাদের তদন্ত চলছে। নিহতের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  

ঢাকা/সুজন/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ