চলতি বছর ঢাকায় আরও ২৫টি খেলার মাঠ হবে: ডিএনসিসি প্রশাসক
Published: 3rd, May 2025 GMT
ঢাকায় চলতি বছর আরও ২৫টি খেলার মাঠ হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ। বর্তমানে সিটি করপোরেশনের ২৫টি পার্ক ও খেলার মাঠ রয়েছে।
আজ শনিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর ধানমন্ডিতে আয়োজিত ‘গুণীজন সম্মাননা ও বর্ষবরণ ১৪৩২’ অনুষ্ঠানে তিনি এ তথ্য জানান। অনুষ্ঠানে ডিএনসিসি প্রশাসককে গুণীজন হিসেবে সংবর্ধনা দেয় লক্ষ্মীপুর জেলা যুব কল্যাণ সমিতি, ঢাকা।
মোহাম্মদ এজাজ বলেন, সিটি করপোরেশনের ২৫টি পার্ক এবং মাঠ আছে। এর মধ্যে কিছু পার্ক ও মাঠ শেখ হাসিনা ও তাঁর পরিবার–স্বজনদের নামে। সেগুলোর নাম ইতিমধ্যে পরিবর্তন করা হয়েছে। খেলার মাঠ এখন ৫০টি করার চেষ্টা চলছে। আশা করা যায়, এ বছরই পারা যাবে।
বক্তব্যে ডিএনসিসি প্রশাসক কথা বলেন রাজধানীর তেজগাঁও ট্রাকস্ট্যান্ড নিয়েও। তিনি বলেন, ঈদুল আজহার আগেই রাজধানীর তেজগাঁও ট্রাকস্ট্যান্ডের একটি স্থায়ী সমাধান হবে।
এ ছাড়া নিজ উদ্যোগে সেনাপ্রধানের সহায়তায় মিরপুর ডিওএইচএস থেকে উত্তরার সংযোগ সড়ক হয়েছে বলেও জানান মোহাম্মদ এজাজ। একই সঙ্গে মিরপুরের ৬০ ফুট সড়ককে সম্প্রসারিত করতে কাজ চলছে উল্লেখ করে আগামী ডিসেম্বরের আগেই সড়কটি খুলে দেওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
কাজ করতে গিয়ে বিএনপিসহ সব রাজনৈতিক দলের সহায়তা পাচ্ছেন বলে জানান ডিএনসিসির প্রশাসক।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ড এনস স
এছাড়াও পড়ুন:
১৫ মের মধ্যে শেষ হবে ঐকমত্য কমিশন-রাজনৈতিক দলের প্রাথমিক আলোচনা: আলী রীয়াজ
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেছেন, আগামী ১৫ মের মধ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রাথমিক পর্যায়ের আলোচনা শেষ করা হবে। অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত সংস্কার কমিশনগুলোর গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশের বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছতে সহযোগীদের সঙ্গে আলোচনা করতে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
রোববার জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলে ১২-দলীয় জোটের সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকের সূচনা বক্তব্যে আলী রীয়াজ এ কথা বলেন। ১২-দলীয় ১১ নেতা এই বৈঠকে অংশ নিচ্ছেন।
রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যে আলী রীয়াজ বলেন, ‘জাতীয় ঐকমত্য তৈরির দায়িত্ব শুধু জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের একার নয়। আপনারা যাঁরা সংগ্রামে আছেন, আপনারা যাঁরা আজ আমাদের সঙ্গে কথা বলছেন, আপনারা আপনাদের সহযোগীদের সঙ্গে কথা বলুন, অন্যান্য রাজনৈতিক শক্তির সঙ্গে কথা বলুন; কী করে আমরা এক জায়গায় আসতে পারি।’
ঐকমত্যে আসার জন্য রাজনৈতিক দলগুলোকে ছাড় দেওয়ার আহ্বান জানান আলী রীয়াজ। তিনি বলেন, ‘আমাদের সবাইকে এক জায়গায় আসতে হবে। আমরা সব বিষয়ে একমত হতে পারব না, কিন্তু রাষ্ট্র গঠনের মৌলিক জায়গায় আমাদের একমত হয়ে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।’
আলী রীয়াজ বলেন, ‘শুধুমাত্র এই টেবিলে বসে, এখানে আলোচনা করে আমরা জাতীয় ঐকমত্যের চূড়ান্ত জায়গায় পৌঁছতে পারব, এটা আমরা মনে করি না।’
চলমান আলোচনার সময়সীমার কথা জানিয়ে আলী রীয়াজ বলেন, ১৫ মের মধ্যে প্রাথমিক পর্যায়ের আলোচনা শেষ করে ঐকমত্যের বিষয়ে রাজনৈতিক দল ও জোটের সঙ্গে দ্বিতীয় ধাপের আলোচনা শুরু পরিকল্পনা রয়েছে। যেসব বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্য হবে, সেগুলোর ভিত্তিতে জাতীয় সনদ তৈরি হবে।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (ঐকমত্য গঠন) মনির হায়দারের সঞ্চালনায় বৈঠক উপস্থিত আছেন কমিশনের সদস্য সফর রাজ হোসেন, বদিউল আলম মজুমদার ও মোহাম্মদ মোহাম্মদ আইয়ুব মিয়া। ১২-দলীয় জোটের প্রধান সমন্বয়ক ও জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, জোটের সমন্বয়ক ও বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা, জোটের মুখপাত্র ও বাংলাদেশ লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (বিএলডিপি) চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন সেলিম প্রমুখ বৈঠকে অংশ নিচ্ছেন।