ফ্যাসিবাদের দোসরদের বিচার দাবিতে রাবি ছাত্রদলের বিক্ষোভ
Published: 4th, May 2025 GMT
ফ্যাসিবাদের দোসরদের বিচার, ককটেল হামলাসহ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ঘটা সব ন্যক্কারজনক ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে শাখা ছাত্রদল।
রবিবার (৪ মে) দুপুর ১২টায় বুদ্ধিজীবী চত্বর সংলগ্ন রাবি শাখা ছাত্রদলের দলীয় টেন্টে এ কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।
শাখা ছাত্রদলের অভিযোগ, সম্প্রতি রেজিস্ট্রারের বাসভবনে ককটেল হামলা, আবাসিক হলে কোরআন পোড়ানোসহ একের পর এক ন্যাক্কারজনক ঘটনার মাধ্যমে রাবির আইনশৃঙ্খলার চরম অবনতি ঘটেছে। সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত ও ফ্যাসিস্ট হাসিনার নিষিদ্ধ ঘোষিত সন্ত্রাসী সংগঠন ছাত্রলীগের হামলাকারী চিহ্নিত, জুলাই-আগস্টে গণহত্যায় মদদদাতা শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীদের বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানায় সংগঠনটি।
আরো পড়ুন:
রাবির ‘সি’ ইউনিটের ফল প্রকাশ
রাবির অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাচন স্থগিত, প্রতিবাদে মানববন্ধন
এ সময় শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক সর্দার জহিরুল ইসলাম বলেন, “ছাত্রদল সবসময় সত্য ও সংগ্রামের পক্ষে রয়েছে। রাবি ছাত্রদল সবসময় সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিয়ে ভাবে। জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে কার কেমন ভুমিকা ছিল, তা আমরা জানি। এখন সবাই আসছে ক্রেডিট নিতে। উপাচার্য স্যারকে বলবো, আসুন আমরা একসঙ্গে মিলেমিশে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ ঠিক রাখি।”
আহ্বায়ক সুলতান আহমদ রাহী বলেন, “দীর্ঘ ১৫ বছর নির্যাতনের শিকার হয়েও সাধারণ মানুষের দাবি আদায়ের লক্ষ্যে বুকের রক্ত দিয়ে সংগ্রাম করেছি। আমাদের নেতাকর্মীদের রক্তের উপরে আজকের বাংলাদেশ টিকে রয়েছে, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় টিকে রয়েছে। আমরা অপশক্তির বিরুদ্ধে আন্দোলন করে সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজীর রাজনীতি থেকে মুক্তি চেয়েছিলাম। অথচ গতদিন দেখলাম টাকার শক্তিকে কাজে লাগিয়ে বহিরাগতদের নিয়ে এসে রাবি উপাচার্যকে আটকে রেখে তাদের অযৌক্তিক দাবি আদায় করা হলো।”
তিনি আরো বলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা আতঙ্কে থাকে, কখন না জানি সেই বর্বর হামলাকারীরা তাদের রগ কাটে, কখন তাদের পিটিয়ে হত্যা করে। আমাদের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের শরীরে এক বিন্দু পরিমাণ রক্ত থাকাকালে কোনো সাধারণ শিক্ষার্থীর নিরাপত্তা হুমকিতে পড়বে, তা কখনই হবে না।”
অবস্থান কর্মসূচি শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করে জোহা চত্বরে এসে শেষ হয়। অবস্থান কর্মসূচি ও বিক্ষোভ মিছিলে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল শাখার নেতৃবৃন্দ, রাজশাহী মহানগর শাখার নেতৃবৃন্দসহ, রাবি ছাত্রদলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দসহ প্রায় দুই শতাধিক কর্মী উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা/ফাহিম/মেহেদী
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ছ ত রদল ছ ত রদল র
এছাড়াও পড়ুন:
গাইবান্ধায় পত্রিকা বিক্রেতা হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার ৪
মিশুক চালক ও পত্রিকা বিক্রেতা আনিছুর রহমান ঠান্ডা মিয়াকে হত্যার ঘটনায় চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। শুক্রবার দুপুরে রংপুর র্যাব কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান র্যাব-১৩ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল মোহা. জয়নুল আবেদীন।
গ্রেপ্তারকৃতরা হল গাইবান্ধা সদরের মৃত খলিল মিয়ার ছেলে কবির আলম (৪০), আসলাম মিয়ার ছেলে রাসেল মিয়া (২৮), সাদুল্লাহপুরের আনিছুর রহমানের ছেলে শহিদুল ইসলাম ওরফে বাবু (৪০) ও মোসলেম উদ্দিন মণ্ডলের ছেলে রাশেদ মণ্ডল (৪২)। তাদের বিরুদ্ধে চুরি, ছিনতাই, দস্যুতা, মাদকসহ একাধিক মামলা রয়েছে।
অধিনায়ক জয়নুল আবেদীন জানান, গত ২৫ এপ্রিল গাইবান্ধায় মিশুক চালক ও পত্রিকা বিক্রেতা আনিছুর রহমান ঠান্ডা মিয়াকে অজ্ঞাতনামা দুষ্কৃতিকারীরা ছুরিকাঘাতে মারাত্মকভাবে আহত করে। মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে গাইবান্ধা শহরের স্টেডিয়াম সংলগ্ন পিডিবি নেসকো-১ অফিসের গেটের পাশে ফেলে রেখে অটো মিশুকটি ছিনতাই করে নিয়ে যায়। তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে পরদিন সকাল ৯টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে গাইবান্ধা সদর থানায় একটি মামলা করেন।
তিনি আরও জানান, ঘটনার পরপরই র্যাব-১৩ এর একাধিক টিম ছায়া তদন্তে নামে এবং ঘটনায় জড়িতদেরকে প্রাথমিকভাবে শনাক্ত করতে সক্ষম হয়। এরই ধারাবাহিকতায় তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার ও গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার রাতে অভিযান চালিয়ে গাইবান্ধার বিভিন্নস্থান থেকে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তাদের গ্রেপ্তারের সময় ছিনতাই করা মিশুকটি উদ্ধার করা হয়। এছাড়া এই হত্যা মামলায় গত ২৭ এপ্রিল অন্যতম অভিযুক্ত আরিফ মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলেও সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।