২০২৫ সালের কনজ্যুমার ইলেকট্রনিকস শোতে (সিইএস) নতুন অরোস ও গিগাবাইট এআই গেমিং ল্যাপটপ আনার ঘোষণা দিয়েছে। নতুন ল্যাপটপ সিরিজে ১০০টি ফুল-ব্লুমিং এআই ফিচার রয়েছে, যা এআই পিসির জগতে সাড়া জাগাবে বলে নির্মাতারা জানায়।
ব্র্যান্ড সূত্রে জানা গেছে, বিশ্বের প্রথম এআই গেমিং ফ্ল্যাগশিপ ল্যাপটপ সিরিজের সূচনা হয় অরোস মাস্টার ১৬ মডেলে, যা ইনটেল কোর আলট্রা ২০০এইচএক্স সিরিজ প্রসেসর ও এনভিডিয়া জিফোর্স আরটিএক্স ৫০ সিরিজ ল্যাপটপ জিপিইউ পরিচালিত। সিরিজের ল্যাপটপে এআই কম্পিউটিং ও গেমিং পারফরম্যান্স দেবে।
নতুন অরোস গেমিং ল্যাপটপ সিরিজে রয়েছে ইনটেল কোর আলট্রা ৯ ২৭৫এইচএক্স প্রসেসর, যার মধ্যে ২৪টি কোর রয়েছে, আটটি পারফরম্যান্স কোর ও ১৬টি ইফিশিয়েন্সি কোর সক্রিয়। অন্যদিকে এতে ইন্টিগ্রেটেড এনপিইউ এআই ইঞ্জিন রয়েছে, যা আগের
প্রজন্মের তুলনায় তিন গুণ এআই পারফরম্যান্স দেয়।
এনভিডিয়া ব্ল্যাকওয়েল পরিচালিত জিফোর্স আরটিএক্স ৫০ সিরিজ ল্যাপটপ জিপিইউ গেমার ও ক্রিয়েটর নতুন অভিজ্ঞতা পাবে। এনভিডিয়া ডিএলএসএস ফোরের মাধ্যমে মানোন্নত পারফরম্যান্স, অবিশ্বাস্য গতিতে চিত্র তৈরি ও এনভিডিয়া স্টুডিওর মাধ্যমে সৃজনশীলতা উন্মুক্ত করা সম্ভব হয়েছে। গিগাবাইট তাদের নিজস্ব এআই সহায়ক জিম্যাট সিরিজের নতুন ল্যাপটপের সঙ্গে যুক্ত করেছে।
জিম্যাট হলো স্মার্ট এআই সঙ্গী, যা সম্পূর্ণ ল্যাপটপ সেটিংস নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে; স্বজ্ঞাত ও পূর্বানুমানিক পরিষেবা দেয়। ফলে গ্রাহক সহজ ভাষায় যে কোনো কমান্ড দিতে পারেন। গিগাবাইটের এক্সক্লুসিভ উইন্ডফোর্স ইনফিনিটি ইএক্স কুলিং প্রযুক্তি এবার অরোস মাস্টার সিরিজকে উন্নত করেছে। এটি ২৭০ ওয়াট পর্যন্ত তাপ নির্গমন করতে সক্ষম। নতুন ডিজাইনের ফ্রস্ট ফ্যান ব্যবহারে বেড়েছে কুলিং দক্ষতা। কুলিং প্রযুক্তি গেমারকে সর্বোচ্চ পারফরম্যান্স দিতে কাজ করে। অরোস মাস্টার ১৬ মডেলের ল্যাপটপে রয়েছে ২৪০ হার্টজের ওএলইডি ডিসপ্লে, যা গেমের আবহকে জীবন্ত করে। ডলবি অ্যাটমস ও এক্সক্লুসিভ প্রযুক্তি অডিও আবহকে নতুন মাত্রা দিয়েছে বলে নির্মাতারা জানায়।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ল য পটপ প রফরম য ন স ল য পটপ স এনভ ড য়
এছাড়াও পড়ুন:
জার্মানিতে বসবাসরত শাবিপ্রবি’র সাবেক শিক্ষার্থীদের পুর্নিমিলনী অনুষ্ঠিত
পুরানো সেই দিনের কথা, ভুলবি কিরে হায়, ও সেই চোখের দেখা প্রাণের কথা, সে কি ভোলা যায় পুরনো দিনের কথা না ভোলা যায়, না ফিরে পাওয়া যায়। স্মৃতিকাতর মানুষ তবুও বারে বারে ফিরে যেতে চায় তাঁর সোনালী অতীতে, ফিরে পেতে চায় কাছের মানুষগুলোকে।
এ আকুলতা আরো তীব্র হয়ে ওঠে যখন মাতৃভূমি হাতের নাগাল থেকে ৮০০০ কিলোমিটার দূরে থাকে। তাই তো জার্মানিতে বসবাস করা শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) সাবেক শিক্ষার্থীরা সুযোগ পেলেই একে অন্যের সাথে পুর্নিমিলিত হওয়ার আকুলতা প্রকাশ করেন।
এ চাওয়াকে সামনে রেখে গত ২রা আগস্ট জার্মানির মিউনিখ শহরে বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনার সাথে অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো জার্মানিতে বসবাসরত শাবিপ্রবি’র সাবেক শিক্ষার্থীদের পুর্নিমিলনী। বেলা দুটোর দিকে দুপুরের খাবারের পরপরই অনুষ্ঠানে অংশ নিতে জার্মানির বিভিন্ন প্রান্ত হতে ছুটে আসা শাবিপ্রবির অ্যালামনাইদের অনুষ্ঠানে স্বাগত জানানোর মাধ্যমে শুরু হয় মূল পুর্নিমিলনী।
এ পর্বে মঞ্চে বক্তৃতা রাখেন সংগঠনের বর্তমান কার্যকরী সভাপতি মামুন রশীদ, এবারের পুর্নিমিলনী অনুষ্ঠান আয়োজক কমিটির সভাপতি মোঃ মাহাদী হাসান, এবং গতবারের পুর্নিমিলনী অনুষ্ঠানের আয়োজক কমিটির সভাপতি গোলাম হাফিজ খান।
শুরুতেই শাবিপ্রবি ও এর অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ এক কিলো’র স্মৃতিচারণের মাধ্যমে শাবিপ্রবি’র সাবেক শিক্ষার্থীরা আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন। শাবিপ্রবিতে কাটানো তাদের সোনালী সে অতীত ফিরে পেতে চাওয়ার ব্যাকুলতার পাশাপাশি উঠে আসে নানা চমকপ্রদ ঘটনাও যা হাসি-কান্নার রোল বইয়ে দেয় অংশগ্রহনকারীদের মাঝে।
এ পর্বের পর ডঃ নিধু লাল বণিক শাবিপ্রবি অ্যালামনাই সমিতির জন্য প্রস্তুত করা নতুন ওয়েবসাইট এবং সংবিধান উপস্থাপন করেন। এ উপলক্ষে তিনি এ দুটি প্রোজেক্টের মাধ্যমে শাবিপ্রবি অ্যালামনাইদের সুসংগঠিত করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
সংক্ষিপ্ত চা বিরতির পর অনুষ্ঠান পুনরায় শুরু হয়। শুরুতেই অ্যালামনাই এসোসিয়েশনের নতুন অ্যাডভাইজারি ও এক্সিকিউটিভ কমিটির ঘোষণা দেন ডঃ নিধু লাল বণিক।
১১ সদস্যের অ্যাডভাইজারি কমিটিতে নবীন প্রবীনের সম্মীলন ঘটে। আর এক্সিকিউটিভ কমিটির জন্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিপুল ভোটে পরবর্তী দু বছরের জন্য নাদেরা সুলতানা তানি প্রেসিডেন্ট এবং আদনান আহমেদ সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।
নতুন কমিটির সদস্যদের স্বাগত জানিয়ে বরণ করে নেন পুরাতন কমিটির সদস্যগণ। এরপরপরই শুরু হয়ে যায় মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও গেমস। এতে বড়দের পাশাপাশি অংশগ্রহণ করে শাবিপ্রবি অ্যালামনাইদের শিশুসন্তানেরা।
সকলের উপস্থিতি এবং অংশগ্রহণে মুহুর্তেই অনুষ্ঠানস্থল আনন্দের এক মহামিলনে রূপান্তরিত হয়। এ অনুষ্ঠানে বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে সমবেত অতিথিদের মধ্য থেকে দৈবচয়নের মাধ্যমে কিছু অতিথিদেরকে আমন্ত্রণ জানানো হয় নির্ধারিত কিছু করে দেখাতে।
অতিথিদের পারফরম্যান্স সকলকে নির্মল বিনোদন দেয় যার ভিত্তিতে পরবর্তীতে দর্শকের ভোটে দুজন অতিথিকে তাদের পারফরম্যান্সের জন্য পুরষ্কৃত করা হয়।
সবশেষে সবাইকে নিয়ে সম্মিলিত গান পরিবেশনের মাধ্যমে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পর্ব শেষ হয়।
এরপর পরবর্তীপুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের ভেন্যু হিসেবে এসেনকে নির্বাচন করা হয় এবং সবাইকে ধন্যবাদ
জ্ঞাপন করে এই বছরের অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।
২০২৭ এ আবার মিলিত হওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করার মধ্য দিয়ে সকল অংশগ্রহণকারী নিজ নিজ ঠিকানায় ফিরে যান।