Samakal:
2025-05-04@23:52:47 GMT

ল্যাপটপে গেমিং ফিচার

Published: 4th, May 2025 GMT

ল্যাপটপে গেমিং ফিচার

২০২৫ সালের কনজ্যুমার ইলেকট্রনিকস শোতে (সিইএস) নতুন অরোস ও গিগাবাইট এআই গেমিং ল্যাপটপ আনার ঘোষণা দিয়েছে। নতুন ল্যাপটপ সিরিজে ১০০টি ফুল-ব্লুমিং এআই ফিচার রয়েছে, যা এআই পিসির জগতে সাড়া জাগাবে বলে নির্মাতারা জানায়।
ব্র্যান্ড সূত্রে জানা গেছে, বিশ্বের প্রথম এআই গেমিং ফ্ল্যাগশিপ ল্যাপটপ সিরিজের সূচনা হয় অরোস মাস্টার ১৬ মডেলে, যা ইনটেল কোর আলট্রা ২০০এইচএক্স সিরিজ প্রসেসর ও এনভিডিয়া জিফোর্স আরটিএক্স ৫০ সিরিজ ল্যাপটপ জিপিইউ পরিচালিত। সিরিজের ল্যাপটপে এআই কম্পিউটিং ও গেমিং পারফরম্যান্স দেবে।
নতুন অরোস গেমিং ল্যাপটপ সিরিজে রয়েছে ইনটেল কোর আলট্রা ৯ ২৭৫এইচএক্স প্রসেসর, যার মধ্যে ২৪টি কোর রয়েছে, আটটি পারফরম্যান্স কোর ও ১৬টি ইফিশিয়েন্সি কোর সক্রিয়। অন্যদিকে এতে ইন্টিগ্রেটেড এনপিইউ এআই ইঞ্জিন রয়েছে, যা আগের 
প্রজন্মের তুলনায় তিন গুণ এআই পারফরম্যান্স দেয়।
এনভিডিয়া ব্ল্যাকওয়েল পরিচালিত জিফোর্স আরটিএক্স ৫০ সিরিজ ল্যাপটপ জিপিইউ গেমার ও ক্রিয়েটর নতুন অভিজ্ঞতা পাবে। এনভিডিয়া ডিএলএসএস ফোরের মাধ্যমে মানোন্নত পারফরম্যান্স, অবিশ্বাস্য গতিতে চিত্র তৈরি ও এনভিডিয়া স্টুডিওর মাধ্যমে সৃজনশীলতা উন্মুক্ত করা সম্ভব হয়েছে। গিগাবাইট তাদের নিজস্ব এআই সহায়ক জিম্যাট সিরিজের নতুন ল্যাপটপের সঙ্গে যুক্ত করেছে। 
জিম্যাট হলো স্মার্ট এআই সঙ্গী, যা সম্পূর্ণ ল্যাপটপ সেটিংস নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে; স্বজ্ঞাত ও পূর্বানুমানিক পরিষেবা দেয়। ফলে গ্রাহক সহজ ভাষায় যে কোনো কমান্ড দিতে পারেন। গিগাবাইটের এক্সক্লুসিভ উইন্ডফোর্স ইনফিনিটি ইএক্স কুলিং প্রযুক্তি এবার অরোস মাস্টার সিরিজকে উন্নত করেছে। এটি ২৭০ ওয়াট পর্যন্ত তাপ নির্গমন করতে সক্ষম। নতুন ডিজাইনের ফ্রস্ট ফ্যান ব্যবহারে বেড়েছে কুলিং দক্ষতা। কুলিং প্রযুক্তি গেমারকে সর্বোচ্চ পারফরম্যান্স দিতে কাজ করে। অরোস মাস্টার ১৬ মডেলের ল্যাপটপে রয়েছে ২৪০ হার্টজের ওএলইডি ডিসপ্লে, যা গেমের আবহকে জীবন্ত করে। ডলবি অ্যাটমস ও এক্সক্লুসিভ প্রযুক্তি অডিও আবহকে নতুন মাত্রা দিয়েছে বলে নির্মাতারা জানায়।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ল য পটপ প রফরম য ন স ল য পটপ স এনভ ড য়

এছাড়াও পড়ুন:

ইপিএলে অবনমনের শঙ্কায় থাকা স্পার্স ইউরোপার ফাইনালের পথে

এই মৌসুমে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ (ইপিএল) টেবিলের ১৬তম স্থানে অবস্থান করছে টটেনহ্যাম হটস্পার। বিগত ৪৮ বছরের মধ্যে অর্থৎ ১৯৭৬-৭৭ মৌসুমের পর এরচেয়ে বাজে পারফরম্যান্স ছিল না নর্থ লন্ডনের দলটির। এই মৌসুমে ইপিএলের শেষ তিনটা দল যদি খুব বাজে পারফরম্যান্স না করত, তাহলে স্পার্স হয়ত অবনমিত হয়ে যেত। অথচ এই দলটাই ইউরোপায়ের ক্লাব লড়াইয়ের মঞ্চে চমক দেখিয়েই যাচ্ছে।

ইউরোপা লিগের সেমি ফাইনালের প্রথম লেগে নরওয়েজিয়ান ক্লাব গ্লিমটকে বৃহস্পতিবার (১ মে) দিবাগত রাতে ৩-১ গোলে হারিয়েছে টটেনহ্যাম। যা এই মৌসুমে নর্থ লন্ডনের ক্লাবটির অন্যতম সেরা পারফরম্যান্স। খুব বড় অঘটন না ঘটলে স্পার্স ফাইনাল খেলবে, যা ২০০৮ সালের পর তাদের প্রথম শিরোপা জয়ের সম্ভাবনা তৈরি করেছে।

আরো পড়ুন:

‘ফুটবল ঈশ্বর আমাদের সঙ্গে নেই’- স্পার্স কোচ

গোলখরা কাটাতে মনোবিদের শরণাপন্ন রিচার্লিসন

ইউরোপে যাই ঘটুক টটেনহ্যামের অস্ট্রেলিয়ান কোচ অ্যাঞ্জ পোস্টেকোগলু হয়ত চাকরি হারাবেন। তবে একটি শিরোপা জয় দিয়ে মৌসুম শেষ করা হবে দারুণ সম্মানের। অন্যদিকে ১৭ বছর শিরোপা ক্ষরায় থাকা স্পার্স সবশেষ ইংলিশ লিগ কাপ জিতেছিল। এরপর মরিসিও পোচেত্তিনো, জোসে মরিনহো কিংবা আন্তোনিও কন্তের মতো ইউরোপের বিখ্যাত ম্যানেজাররাও তাদের শিরোপা এনে দিতে পারেননি। ইউরোপা লিগ জিততে পারলে লন্ডনের ক্লাবটি আগামী মৌসুমে সরাসরি চ্যাম্পিয়নস লিগে খেলতে পারবে।

ঘরের মাঠ টটেনহ্যাম হটস্পার স্টেডিয়ামে ম্যাচের প্রথম মিনিটেই গোল করে স্বপ্নের মতো শুরু করে ইংলিশ ক্লাবটি। পেড্রো পোরোর ক্রস থেকে ব্রেনান জনসন মৌসুমের ১৭তম গোলটি করেন। এরপর জেমস ম্যাডিসন ম্যাচের ৩৪তম মিনিটে পোরোর আরেকটি পাস থেকে বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে তিনজন ডিফেন্ডারের মাঝে দিয়ে সেটি জালে জড়িয়ে দিয়ে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন।

বিরতিতে যাওয়ার আগে আরও একটি গোল আসতে পারত যদি না রদ্রিগো বেনটাকুরের ভলি গ্লিমট গোলকিপার হাইকিন ঠেকিয়ে না দিতেন। তৃতীয় গোল আসে ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারির হস্তক্ষেপে। রোমেরোকে ফাউল করায় পেনাল্টি পায় স্বাগতিকরা। স্ট্রাইকার ডমেনিক সোলাঙ্কি স্পট কিক থেকে ব্যবধান ৩-০ করতে ভুল করেননি। 

দ্বিতীয়ার্ধে গ্লিমট ৭০ শতাংশ বলের দখল রেখেও কোনো বড় সুযোগ তৈরি করতে পারেনি। শুধুমাত্র উলরিক সাল্টনেসের একটি শট বেনটানকুরের গায়ে লেগে স্পার্সের জালে ঢুকে যায়। 

স্পার্সের জন্য বড় দুশ্চিন্তার কারণ এখন ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে তাদের দুই স্কোরার ম্যাডিসন ও সোলাঙ্কির চোটে পড়ে মাঠ ছাড়াটা। অন্যদিকে দ্বিতীয় লেগটা হতে যাচ্ছে খুবই কঠিন। গ্লিমট যে এই মৌসুমে ঘরের মাঠে পোর্তো, বেসিকতাস, অলিম্পিয়াকোস ও লাৎসিওর মতো দলকে হারিয়েছে। অন্যদিকে ২০২২-২৩ মৌসুম থেকে ইউরোপা লিগে তাদের ঘরের মাঠে জয় ৭০ শতাংশ আর অ্যাওয়ে ম্যাচে তা মাত্র ৯ শতাংশ।

আগামী বৃহস্পতিবার আর্কটিক সার্কেলে অ্যাস্পমিরা স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় লেগে অনুষ্ঠিত হবে। স্পার্স বড় কোন কোনো বিপর্যয় না পড়লে, ১৯৮৪ সালের পর আবারও এই আসরের ফাইনাল খেলবে। তেমনটা হলে ফুটবল বিশ্ব বিলবাওয়ে দেখতে যাচ্ছে একটি অলইংলিশ ফাইনাল হতে পারে। আরেক সেমিফাইনালে ইংলিশ ক্লাব ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ৩-০ ব্যবধানে উড়িয়ে দিয়েছে অ্যাথলেতিক বিলবাওকে। 

স্পার্স আগে ১৯৭২, ১৯৭৪ ও ১৯৮৪ সালে ইউরোপা লিগের ফাইনাল খেলেছে। প্রথম ও শেষবার শিরোপা জিতেছিল।

ঢাকা/নাভিদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ২৪ ইনিংসে মাত্র ১ ফিফটি, তবুও বিশ্বকাপ পর্যন্ত লিটন অধিনায়ক?
  • স্টেগেন নয়, চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ও ক্লাসিকোতে খেলবেন শেজনি
  • ৪ ম‌্যাচে ২৯৫ রান, বিশ্বকাপে চোখ জাওয়াদের
  • ইপিএলে অবনমনের শঙ্কায় থাকা স্পার্স ইউরোপার ফাইনালের পথে
  • ইংলিশ লিগে ব্যর্থ ইউনাইটেড ইউরোপার ফাইনালের পথে