এসএসসি পরীক্ষা-২০২৫: অর্থনীতিতে বেশি নম্বর পাওয়ার ৮টি উপায়
Published: 5th, May 2025 GMT
প্রিয় এসএসসি পরীক্ষার্থী, অর্থনীতিতে ভালো নম্বর পাওয়া বেশ সহজ। সারা বছর তোমরা মনোযোগ দিয়ে পড়েছ, প্রস্তুতিও নিয়েছ সঠিকভাবে। তাই এ বিষয়ে বেশি নম্বর পাওয়া তোমার জন্য বেশ সহজ। এ বছর পুরো বইয়ের সব অধ্যায় থেকে প্রশ্ন আসবে।
১.
বহুনির্বাচনিতে ভালো করতে হলে পুরো বইয়ের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ও তত্ত্বগুলো মনে রাখবে। সারা বছর পাঠ্যবইয়ের পাতায় পাতায় গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলোর নিচে দাগ দিয়েছ, সেগুলোতে ভালো করে চোখ বুলিয়ে নেবে। যাতে খুব সহজে সে তথ্যগুলো নজরে পড়ে।
২.
দ্বিতীয় অধ্যায়ে বাংলাদেশের অর্থনীতি, অর্থনীতির জনক, ধর্মতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থা, মিশ্র অর্থব্যবস্থা, আয়ের বৃত্তাকার প্রবাহ দরকারি বিষয়ে তা ভালো করে পড়বে। এ অধ্যায় থেকে বহুনির্বাচনি ও সৃজনশীল—দুই ধরনের প্রশ্ন পরীক্ষায় আসবে। এটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়।
৩.
প্রায় প্রতিটি অধ্যায়ে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সূত্র রয়েছে। সূত্রগুলো মনে রাখবে, বুঝে পড়বে।
যেমন-গড় উৎপাদন = মোট উৎপাদন মোট শ্রম উপকরণ; S= y-c; মাথাপিছু জিডিপি = কোনো নির্দিষ্ট বছরে মোট দেশজ উৎপাদন /ওই বছরের মধ্য সময়ের মোট সংখ্যা; সুষম বাজেট = মোট আয়-মোট ব্যয় = 0 হয়
৩.
পঞ্চম অধ্যায়ে বাজার অধ্যায়ের একচেটিয়া বাজার, অলিগোপলি বাজার, একচেটিয়া প্রতিযোগিতামূলক বাজার সম্পর্কে ভালো ধারণা রাখবে।
৪.
ষষ্ঠ অধ্যায়ে মোট দেশজ উৎপাদন, মোট জাতীয় আয়, নিট জাতীয় আয় বিষয়গুলো একই ধরনের। অনেকে এ অধ্যায়ে প্রশ্ন গুলিয়ে ফেলে। তাই এগুলো বুঝে পড়বে।
৫.
সপ্তম অধ্যায়ের অর্থ ও ব্যাংক ব্যবস্থা অধ্যায়ে বাংলাদেশ ব্যাংক, বাণিজ্যিক ব্যাংক, নিকাশ ঘর, রেমিট্যান্সের বিষয়ে ভালো করে পড়বে। দারিদ্র্যের দৃষ্টান্ত, সামাজিক ব্যয়, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, মৌসুমি বেকারত্ব এবং এনজিও সম্পর্কে বিস্তারিত পড়বে।
৬.
দশম অধ্যায়ের বাংলাদেশের সরকারের অর্থব্যবস্থা অধ্যায়টি বেশ গুরুত্বপূর্ণ । তা ছাড়া কর রাজস্ব, মূল্য সংযোজন কর, আয় ও মুনাফার ওপর কর, করবহির্ভূত রাজস্ব নিয়ে পরিষ্কার ধারণা রাখবে। সুষম বাজেট, অসুষম বাজেট উদ্বৃত্ত বাজেট, ঘাটতি বাজেট অংশ ভালো করে পড়বে।
৭.
সারা পাঠ্যবইয়ের মধ্যে অনেক অর্থনীতিবিদের নাম, বইয়ের নাম, সূত্র, সাল, পরিমাণ ইত্যাদি রয়েছে। প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর লেখার ক্ষেত্রে এসব তথ্য তোমার দরকার পড়বেই। তাই এসব যেন ভুল না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখবে।
৮.
পরীক্ষার খাতায় লেখা শেষে রিভিশন দিতে ভুলবে না। কারণ, কোনো প্রশ্নের উত্তর রেখার সময় তাড়াতাড়ির কারণে কিছু ভুল হতে পারে, রিভিশন দিলে সে ভুল সহজেই চোখে পড়বে। আর ঠিক করাটা সহজ হবে।
১. অর্থনীতির জনক—অ্যাডাম স্মিথ।
২. অর্থনীতির ১০টি নীতির ধারণা দেন—গ্রেগরি ম্যানইউ।
৩. অর্থনীতিতে সম্পদের বৈশিষ্ট্য হলো—৪টি।
৪. আয় ও ভোগের পার্থক্যকে বলা হয়—সঞ্চয়।
৫. বাংলাদেশের অর্থনীতি নির্ভরশীল—৩টি খাতের ওপর।
৬. দাম ও জোগানের সম্পর্ক—সমমুখী।
৭. উৎপাদনের প্রধান উপকরণ—৪টি।
৮. বাংলাদেশের অর্থনীতিকে বিভক্ত করা হয়—১৫টি খাতে।
৯. দারিদ্র্যের দুষ্টচক্র ধারণার প্রবর্তক হলেন—অধ্যাপক রাগনার নার্কস।
১০. উন্নত দেশের বৈশিষ্ট্য হলো—দক্ষ জনশক্তি।
লেখক: মিজানুর রহমান, প্রভাষক, ধানমন্ডি সরকারি বালিকা বিদ্যালয়, ঢাকা
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত বিক্ষোভ চালিয়ে যাবেন কর্মচারীরা
সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫ বাতিল না হওয়া পর্যন্ত বিক্ষোভ কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার করেছেন সচিবালয়ে আন্দোলনরত সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
কর্মসূচির পাশাপাশি অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে দেশের আটটি বিভাগে সম্মেলনের প্রস্তুতি নিয়েছে তারা। দাবি আদায়ে প্রয়োজনে আরো কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।
মঙ্গলবার (১৭ জুন) সচিবালয়ে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ শেষে কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য ফোরামের শীর্ষ নেতারা এসব কথা বলেন।
আরো পড়ুন:
সচিবালয়ে কর্মচারীদের বিক্ষোভ, চলবে মঙ্গলবারও
গুম বিষয়ে আইন প্রণয়ন ও কমিশন গঠন করবে সরকার: আইন উপদেষ্টা
এর আগে মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে কর্মচারীরা সচিবালয়ে ছয় নম্বর ভবনের সামনে বাদামতলায় জড়ো হয়ে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেন। এরপর তারা মিছিল নিয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নতুন ভবনের নিচে যান। সেখানে গিয়ে তারা বিক্ষোভ সমাবেশ করছেন।
বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে তারা সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর বরাবর স্মারকলিপি দেন।
বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে ঐক্য ফোরামের কো-চেয়ারম্যান মো. বাদিউল কবীর ও মো. নুরুল ইসলাম, কো-মহাসচিব মো. নজরুল ইসলামসহ অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
সমাবেশে ঐক্য ফোরামের কো-চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম বলেন, “আমরা সরকারি চাকরি আইন বাতিল চাই এবং ৫০ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা চাই। একই সঙ্গে ফ্যাসিবাদের দোসর কর্মকর্তাদের বিদায় করতে হবে।”
তিনি বলেন, “অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে দেশের আটটি বিভাগে সম্মেলনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়ে গেছে। শিগগিরই প্রস্তুতি চূড়ান্ত হবে।”
কো-চেয়ারম্যান বাদিউল কবীর বলেন, “এ অধ্যাদেশ সম্পূর্ণ প্রত্যাহার বা বাতিল না হওয়ার আগ পর্যন্ত আন্দোলন আগের মতো চলবে।”
কো-মহাসচিব নজরুল ইসলাম বলেন, “আইন উপদেষ্টার নেতৃত্ব গঠিত কমিটি চাকরি অধ্যাদেশ সংশোধনের সুপারিশ করবেন বলে আমরা শুনেছি। কিন্তু আমরা সেটি মেনে নেব না।”
ঈদের ছুটির পর সোমবার (১৬ জুন) ফের আন্দোলনে নামেন সচিবালয়ের কর্মচারীরা। সোমবার তারা সচিবালয়ে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ শেষে দুই উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি দেন।
চার ধরনের শৃঙ্খলা ভঙ্গের অপরাধের জন্য বিভাগীয় মামলা ছাড়াই শুধুমাত্র কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়ে চাকরিচ্যুত করা যাবে। এমন বিধান রেখে গত ২৫ মে ‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ জারি করা হয়।
এর আগে গত ২২ মে উপদেষ্টা পরিষদের সভায় অধ্যাদেশটির খসড়া অনুমোদন হয়। ২৪ মে থেকেই কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আইনটির বিরোধিতা করে এই অধ্যাদেশটিকে নিবর্তনমূলক ও কালো আইন অবহিত করে তা বাতিলের দাবিতে আন্দোলন করে আসছেন।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/সাইফ