Prothomalo:
2025-05-06@09:49:08 GMT

আইএমএফের ঋণ নিয়ে কী হচ্ছে

Published: 6th, May 2025 GMT

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ঋণ কর্মসূচি থেকে বাংলাদেশ সরে দাঁড়াবে কি না, তা নিয়ে বিভিন্ন মহলে আলোচনা চলছে। ইতিমধ্যে ঋণের চতুর্থ কিস্তির অর্থ ছাড় পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। আগামী মাসে চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তির অর্থ একসঙ্গে পাওয়ার কথা আছে। কিন্তু আইএমএফের সঙ্গে শর্ত পালন নিয়ে দর-কষাকষি চলছে, তবে এখনো সমঝোতা হয়নি।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের সূত্রগুলো বলছে, আইএমএফের বিভিন্ন শর্ত নিয়ে দর-কষাকষি চললেও মূলত একটি শর্ত পরিপালনের ওপর চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তির অর্থ ছাড় নির্ভর করছে। সেটি হলো বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময়হার পুরোপুরি উন্মুক্ত করে দেওয়া। কিন্তু বাংলাদেশে এখনো অনেকটা বেঁধে দেওয়া মুদ্রা বিনিময়হার কার্যকর আছে।

এ ছাড়া কৃষি, জ্বালানিসহ বিভিন্ন খাতে ভর্তুকি কমানো, রাজস্ব খাতে সংস্কার, এসব শর্তও আছে। অবশ্য এসব শর্ত ধাপে ধাপে পূরণ করছে বাংলাদেশ। সর্বশেষ গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় ভার্চ্যুয়াল উপায়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুরের নেতৃত্বে আইএমএফের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক হয়। দেড় ঘণ্টাব্যাপী ওই বৈঠকে কোনো সমঝোতা হয়নি; আরও আলোচনা চলবে।

মোট ৭ কিস্তিতে ৪৭০ কোটি মার্কিন ডলার ঋণ পাওয়ার কথা বাংলাদেশের। ইতিমধ্যে ৩ কিস্তিতে আইএমএফ থেকে ২৩১ কোটি ডলার পাওয়া গেছে, বাকি আছে ২৩৯ কোটি ডলার।

উন্মুক্ত বিনিময়হার কতটা সম্ভব

২০২২ সাল থেকে বাংলাদেশে ডলারের দাম বেড়েছে। দীর্ঘদিন ধরে ডলারের দাম কৃত্রিমভাবে ধরে রাখায় ইউক্রেন যুদ্ধসহ বৈশ্বিক পরিস্থিতির কারণে হঠাৎ করে ডলারের দাম বাড়তে থাকে। আড়াই বছরে মার্কিন এই মুদ্রার দাম এই সময়ে ৮৫ টাকা থেকে বেড়ে ১২০ টাকায় উঠেছে।

গত ডিসেম্বর মাসে ডলারের নির্দিষ্ট দাম ধরে আড়াই শতাংশ পর্যন্ত উঠানামার একটি সীমা বেঁধে দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তখন বলা হয়, ১২৩ টাকা পর্যন্ত ডলার লেনদেন করা যাবে। এখন ১২২ থেকে ১২৩ টাকা দরে ডলার বেচাকেনা করছে ব্যাংকগুলো। কিন্তু আইএমএফ এখন বলছে, বিদেশি মুদ্রার বিনিময়হার পুরোপুরি বাজারের ওপর ছেড়ে দিতে হবে। বাজারই নির্ধারণ করবে ডলারসহ বিদেশি মুদ্রার দাম কত হবে। বাংলাদেশ তাতে রাজি নয়। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তাদের মতে, বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশে মুদ্রা বিনিময়হার পুরোপুরি বাজারের ওপর ছেড়ে দেওয়া কঠিন। পুরোপুরি বাজারনির্ভর বিনিময়হার ব্যবস্থা চালু হলে যেকোনো সময় অর্থনীতিতে বড় আঘাত আসতে পারে।

এখন কি উপযুক্ত সময়

সাধারণত অর্থনীতি বিশেষ করে লেনদেন ভারসাম্য ভালো থাকে, তখন বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময়হার উন্মুক্ত করার উপযুক্ত সময় বলে মনে করেন বিশ্লেষকেরা। কয়েক মাস ধরে রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েছে। গত মার্চে রেকর্ড পরিমাণ রেমিট্যান্স এসেছে। আবার রপ্তানি আয়ে চলতি অর্থবছরের ৯ মাসে (জুলাই-মার্চ) ১০ শতাংশের বেশি প্রবৃদ্ধি হয়েছে। এ ছাড়া বাজেট–সহায়তা ও প্রকল্প–সহায়তাও ছাড় হচ্ছে। এসব কারণে ডলারের জোগান বেড়েছে।

বর্তমানে বিশ্ববাজারে ডলারের পড়তি দাম বিরাজ করছে। আন্তর্জাতিক বাজারে তেলসহ বিভিন্ন পণ্যের দাম কমছে। ৩ বছর আগে আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম ব্যারেলপ্রতি ১০০ ডলারের বেশি ছিল। এরপর ধারাবাহিকভাবে কমেছে। সর্বশেষ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পাল্টা শুল্কের আরোপের এ বছর তেলের দাম ব্যারেলপ্রতি ৬০ ডলারে নেমে আসে। তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের (এলএনজি) দামও কমেছে।

এ বিষয়ে বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয়ের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, এখন বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময়হার বাজারের ওপর ছেড়ে না দিলে আর কখন করা হবে? কারণ, এখন লেনদেনের ভারসাম্য ভালো আছে। আন্তর্জাতিক বাজারে ডলারে দাম কমেছে, অন্যান্য পণ্যের দামও পড়তি। আমদানি চাহিদাও কম, তাই চাপ আসার শঙ্কা কম।

আইএমএফের সঙ্গে দর-কষাকষি

ঋণের চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তির অর্থ ছাড়ের বিষয়ে অর্থনৈতিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে গত এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে আইএমএফের মিশন শেষ হয়। তখন শর্তের বিষয়ে কোনো সমঝোতা হয়নি। পরে গত মাসে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে আইএমএফ ও বিশ্বব্যাংকের বসন্তকালীন সভায় অংশ নিতে গিয়ে বাংলাদেশের অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ ও বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুরসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা আইএমএফের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আবার বৈঠক করেন।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে, ওই বৈঠকে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্য নিয়ে সমঝোতা হয়। আগে আইএমএফ লক্ষ্য দিয়েছিল, চলতি অর্থবছরের ৫ লাখ ৭০ হাজার কোটি টাকা আদায় করতে হবে। এখন ৪ লাখ ৫৫ হাজার কোটি টাকা আদায়ের নতুন লক্ষ্য দেওয়া হয়েছে, এতে বাংলাদেশ রাজি হয়।

অন্যদিকে বিনিময়হার উন্মুক্ত করার বিষয়টি অমীমাংসিত থেকে যায় ওই বৈঠকে। আইএমএফের চাওয়া হলো, বিনিময়হার পুরোপুরি বাজারের ওপর ছেড়ে দেওয়া। যদি অর্থনীতিতে সমস্যা হয়, তাহলে এখন যে তিন টাকা ওঠানামার সীমা আছে, তা সাত থেকে আট টাকা করা যেতে পারে। কিন্তু বাংলাদেশ চায়, বিনিময়হার বাজারের ওপর ছেড়ে দিলে রিজার্ভসহ বিভিন্ন খাতে যে চাপ সৃষ্টি হবে, তা মোকাবিলায় ১০০ কোটি ডলারের স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ড বা স্থিতিশীলতা রক্ষা তহবিল চায়। এভাবে বিষয়টি এখন ঝুলে আছে।

অতীত অভিজ্ঞতা কেমন

জানা গেছে, স্বাধীনতার পর থেকে এখন পর্যন্ত ১৩ বার আইএমএফের কাছ থেকে ছোট-বড় ঋণ নিয়েছে বাংলাদেশ। ২০১২ সালে সর্বশেষ নেওয়া বর্ধিত ঋণ–সহায়তার (ইসিএফ) ১০০ কোটি ডলার পেয়েছিল বাংলাদেশ। সব কিস্তি পেয়েছে বাংলাদেশ। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, এর আগে কোনো ঋণ কর্মসূচিই পুরোপুরি শেষ করা সম্ভব হয়নি। সর্বশেষ ২০০৩ সালে দারিদ্র্য বিমোচন ও প্রবৃদ্ধি সহায়তা (পিআরজিএফ) কর্মসূচিতে ৪৯ কোটি ডলার পাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু কাঙ্ক্ষিত সংস্কার না হওয়ায় তিন কিস্তি পাওয়ার পর বাকি তিন কিস্তি স্থগিত করেছিল আইএমএফ।

এ ছাড়া ১৯৯১ সালে আরেকটি ঋণ কর্মসূচির শর্ত হিসেবে অর্থনৈতিক সংস্কারে তৎকালীন অর্থমন্ত্রী সাইফুর রহমানের সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় মাঝপথে স্থগিত হয়। পরের ১০ বছর আইএমএফের সঙ্গে কোনো ঋণ কর্মসূচিতে যায়নি বাংলাদেশ। ১৯৭৩ সালে আইএমএফের কাছে প্রথম প্রায় চার কোটি ডলার ঋণ নেয় বাংলাদেশ।

ঋণ কর্মসূচি স্থগিত হলে যা হতে পারে

আইএমএফের ঋণ কর্মসূচি স্থগিত হলে কী হতে পারে, এমন প্রশ্নের জবাবে বিশ্বব্যাংকের সাবেক অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেন বলেন, বৈশ্বিক পরিমণ্ডলে একধরনের নেতিবাচক বার্তা যাবে। বিভিন্ন ঋণমানকারী প্রতিষ্ঠানের বিবেচনায় বাংলাদেশের মান কমে যেতে পারে। আবার বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে বাংলাদেশ আস্থা হারাতে পারে। এ ছাড়া বিশ্বব্যাংক, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) কাছে যে ২০০ থেকে ২৫০ কোটি ডলারের বাজেট–সহায়তার আলোচনা চলছে, সেগুলো বন্ধ হয়ে যেতে পারে।

ব্যাংকিং খাত, করব্যবস্থা, সরকারি ব্যয় ব্যবস্থাপনা, বিনিময়হার নীতিসহ যেসব অর্থনৈতিক সংস্কারের কথা দীর্ঘদিন ধরে বলা হচ্ছে, কিন্তু রাজনৈতিক প্রভাবশালীদের কারণে করা যায়নি। আইএমএফের কর্মসূচি অব্যাহত থাকলে ওই সব সংস্কার করা তুলনামূলক সহজ হবে। এ ছাড়া বহির্বিশ্বে একধরনের বার্তা যাবে, বাংলাদেশের পাশে আইএমএফ আছে। জাহিদ হোসেন মনে করেন, ঋণ কর্মসূচিতে থেকে প্রয়োজনীয় সংস্কার সম্পন্ন করা ভালো হবে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব জ র র ওপর ছ ড় কর মকর ত দ র আইএমএফ র ক সমঝ ত

এছাড়াও পড়ুন:

আগামী তিন অর্থবছরের জিডিপির আকার প্রক্ষেপণ করেছে সরকার

অর্থমন্ত্রণালয় দেশের আগামী তিন আর্থিক বছরের জন্য জিডিপি’র হিসাব প্রক্ষেপণ করেছে।  আগামী ১ জুলাই থেকে শুরু হওয়া ২০২৫-২০২৬ অর্থবছরের মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) আকার প্রক্ষেপণ করা হয়েছে ৬২ লাখ ৪৪ হাজার ৫৭৮ কোটি টাকা। এর পরের অর্থাৎ ২০২৬-২০২৭ অর্থ বছরের জিডিপি’র আকার হবে চলতি হিসেবে ৬৯ লাখ ১৭ হাজার ১৯০ কোটি টাকা। এবং পরবর্তী অর্থবছর অর্থাৎ ২০২৭-২০২৮ অর্থবছরে জিডিপি’র প্রক্ষেপণ করা হয়েছে ৭৬ লাখ ৭৬ হাজার ১২০ কোটি টাকা।

সম্প্রতি কো-অর্ডিনেশন কমিটির সভায় জিডিপি’র এই প্রাক্কলন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের কাছে উপস্থাপন করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

এদিকে চলতি ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে জিডিপির আকারও সংশোধন করেছে অর্থ বিভাগ। গত বছরের জুনে যখন বাজেট দেওয়া হয় তখন চলতি বছরের জিডিপির আকার প্রক্ষেপণ করা হয়েছিল ৫৫ লাখ ৯৭ হাজার ৪১৪ কোটি টাকা। এখন তা সংশোধন করে  ৫৬ লাখ ৪৫ হাজার ২৩৮ কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

অর্থ বিভাগের সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, মধ্যমেয়াদি সামষ্টিক অর্থনৈতিক কাঠামোর আওতায় প্রস্তুতকৃত প্রক্ষেপণকে অধিকতর নির্ভরযোগ্য করার জন্য অর্থ বিভাগ নিজেদের মডেলের সঙ্গে বিশ্বব্যাংকের ম্যাক্রো ফিসক্যাল ফ্রেমওয়ার্ক মডেল (এমএফএমওডি) ব্যবহার করে জিডিপি’র পূর্বাভাস দেওয়ার কাজ শুরু করেছে।

বর্তমানে অর্থ বিভাগের ব্যবহৃত মধ্যমেয়াদি সামষ্টিক অর্থনৈতিক কাঠামো আইএমএফ’র মডেল অনুসরণ করে তৈরি করা হয়েছে। অন্যদিকে এমএফএমওডি পূর্বাভাস তৈরি করতে বেশ কিছু আচরণগত সমীকরণ ব্যবহার করে ফলাফল প্রস্তুত করা হয়। সামষ্টিক অর্থনৈতিক নীতি সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে সঠিকভাবে ভবিষ্যতের পূর্বাভাস দেওয়ার লক্ষ্যে অর্থ বিভাগ এখন থেকে এমএফএমওডি ব্যবহার শুরু করেছে।

গত বছরের ডিসেম্বর মাসে সরকার চলতি অর্থবছরের জন্য দেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস ৬.৭৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫.২৫ শতাংশ নির্ধারণ করে। চলমান আর্থিক সংকট, ব্যবসায় স্থবিরতা এবং সাম্প্রতিক সরকার পরিবর্তনের পর রাজনৈতিক অস্থিরতা বিবেচনায় নিয়ে এই সংশোধন করা হয়। তবে অর্থ মন্ত্রণালয় কিছুদিন আগে চলতি অর্থবছরের জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য আরও খানিকটা সংশোধন করে তা ৫ দশমিক ২ শতাংশ নির্ধারণ করেছে।

তবে আন্তর্জাতিক ঋণদাতা সংস্থাগুলো বলছে, চলতি অর্থবছরে সরকার ঘোষিত জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জন করা সম্ভব হবে না। বিশ্বব্যাংক, আইএমএফ ও এডিবি-এই তিন সংস্থাই বলছে, চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৪ শতাংশের ওপরে যাবে না।

চলতি অর্থ বছরে ( ২০২৪-২০২৫)  জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৩ দশমিক ৮ শতাংশ হবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। চলতি অর্থবছরে জন্য আইএমএফ’র পূর্বাভাস হতাশাব্যঞ্জক হলেও আগামী অর্থবছরের জন্য অর্থনীতির ক্ষেত্রে তারা বেশে ভালো পূর্বাভাস দিয়েছে। আন্তর্জাতিক ঋণদাতা এই সংস্থাটি বলেছে, বাংলাদেশের আগামী অর্থবছরে (২০২৫-২০২৬) জিডিপি প্রবৃদ্ধি হবে ৬ দশমিক ৫ শতাংশ এবং মূল্যস্ফীতি কমে হবে ৫ দশমিক ২ শতাংশ।  

গত এপ্রিলের ২১ তারিখে ওয়াশিংটন থেকে প্রকাশিত আইএমএফ-এর ‘ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক আউটলুক’-এর সর্বশেষ সংস্করণে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়।  

আইএমএফ-এর এই পূর্বাভাসের আগে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) তাদের সাম্প্রতিক ‘এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট আউটলুক (এডিও)’-এ জানিয়েছে, বাংলাদেশের অর্থনীতি চলতি অর্থবছরে মাত্র ৩.৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে পারে, যা ২০২৫-২০২৬ অর্থবছরে বেড়ে ৫.১ শতাংশে পৌঁছাবে।

তবে সবচেয়ে খারাপ পূর্বাভাসটি দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। গত ২২ এপ্রিল সংস্থাটি জানায়, চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি হতে পারে বড়জোড় ৩ দশমিক ৩ শতাংশ। যদি তাই হয়, তবে এটি হবে বিগত ৩৬ বছরের মধ্যে সবচেয়ে কম অথনৈতিক প্রবৃদ্ধি। এর আগে এই সংস্থাটিই গত জানুয়ারি মাসে বলেছিল, বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি হবে ৪ দশমিক ১ শতাংশ।

ঢাকা/টিপু

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ডলারের দরে নমনীয়তা দেখায়নি সরকার, আইএমএফের সঙ্গে আজ আবার বৈঠক
  • আইএমএফের ঋণ কর্মসূচি থেকে সরে দাঁড়ানো মানে একধাপ পেছনে যাওয়া
  • চট করে আইএমএফের শর্ত মেনে নিয়ে কিছুই করব না: ইতালিতে অর্থ উপদেষ্টা
  • ঋণ নিয়ে পাকিস্তান-শ্রীলঙ্কার অবস্থায় পড়তে চাই না: অর্থ উপদেষ্টা
  • আইএমএফ-এডিবি সহায়তা না দিলে নিজেদের মতো করে বাজেট: অর্থ উপদেষ্টা
  • আইএমএফ-এডিবি সহায়তা না দিলে নিজেদের মত বাজেট দেওয়া হবে: অর্থ উপদেষ্টা
  • আগামী তিন অর্থবছরের জিডিপির আকার প্রক্ষেপণ করেছে সরকার
  • কৃষিতে ভর্তুকি চালিয়ে যেতে প্রয়োজনে আইএমএফ থেকে বেরিয়ে আসবে সরকার