বাংলায় ক্রোম ব্রাউজার ব্যবহার করবেন যেভাবে
Published: 7th, May 2025 GMT
বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় ওয়েব ব্রাউজারগুলোর মধ্যে গুগল ক্রোম অন্যতম। সহজ ব্যবহারের পদ্ধতি, দ্রুতগতিতে কাজ করার ক্ষমতা ও আধুনিক সুবিধাগুলোর জন্য কোটি কোটি মানুষ নিয়মিত ব্রাউজারটি ব্যবহার করেন। ডিফল্ট বা প্রাথমিকভাবে ইংরেজি ভাষায় চালু হয় ক্রোম ব্রাউজার। তবে চাইলে ডিফল্ট সেটিংস বদলে বাংলা বা অন্যান্য ভাষায় ব্যবহার করা যায় ব্রাউজারটি। ক্রোম ব্রাউজারে ইংরেজির পরিবর্তে বাংলা ভাষা ব্যবহারের পদ্ধতি দেখে নেওয়া যাক।
ভাষা পরিবর্তনের জন্য কম্পিউটারে ক্রোম ব্রাউজার চালু করে ওপরের ডান পাশে থাকা তিনটি ডট মেনুতে ক্লিক করে সেটিংস পেজে যেতে হবে। এরপর সেটিংসের বাঁ দিকের তালিকা থেকে ল্যাঙ্গুয়েজেস অপশন নির্বাচন করে ‘অ্যাড ল্যাঙ্গুয়েজেস’–এ ক্লিক করতে হবে। এবার তালিকা থেকে বাংলা ভাষা নির্বাচন করে পাশে থাকা তিনটি বিন্দুর মেনুতে ক্লিক করে ‘ডিসপ্লে গুগল ক্রোম ইন দিস ল্যাঙ্গুয়েজ অপশন’ চালু করতে হবে। এরপর রিলঞ্চ বাটনে ক্লিক করলেই বাংলায় ব্যবহার করা যাবে ব্রাউজারটি।
স্মার্টফোনে ভাষা পরিবর্তনের জন্য ক্রোম ব্রাউজারের অ্যাপ চালু করে ওপরের ডান কোণে থাকা তিনটি ডট মেনুতে ট্যাপ করতে হবে। এরপর সেটিংস থেকে ল্যাঙ্গুয়েজ অপশনে প্রবেশ করে ক্রোম ল্যাঙ্গুয়েজ বিভাগের ‘প্রেফারড ল্যাঙ্গুয়েজেস’ থেকে বাংলা ভাষা নির্বাচন করলেই বাংলায় ক্রোম ব্রাউজার ব্যবহার করা যাবে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব যবহ র কর ক ল ক কর
এছাড়াও পড়ুন:
রাঙা বউয়ের সন্ধানে
দুর্লভ ও বিরল পাখির খোঁজে ১১ জানুয়ারি ২০২৫ রাতে হাজারিখিল বন্য প্রাণী অভয়ারণ্যের উদ্দেশে ফটিকছড়ির বাসে চড়লাম। সকালে হাজারিখিল পৌঁছে দ্রুত গাইড নাহিদুল ইসলামের গেস্টহাউসে নাশতা সারলাম। এরপর পাখির খোঁজে বেরিয়ে পড়লাম। পাক্কা দুই ঘণ্টা ঘোরাঘুরি করে একটি নতুন ও একটি দুর্লভ পাখিসহ ১৮ প্রজাতির পাখির ছবি তুললাম। এরপর পাহাড়ের দিকে এগিয়ে গেলাম।
পাহাড়টি মোটামুটি উঁচু। কয়েক বছর আগে পরিচিত একজন পক্ষী আলোকচিত্রী এখান থেকে পা পিছলে পড়ে ব্যথা পেয়েছিলেন। পা ঠিক হতে বেশ সময় লেগেছিল। আমার হাঁটুতে সমস্যা, তাই পাহাড়ে উঠতে ভয় লাগছিল। কিন্তু নতুন পাখি পাওয়ার আশা এবং সঙ্গী ইমরুল হাসান ও ডা. আশিকুর রহমানের অনুরোধে পাহাড়ে ওঠার সিদ্ধান্ত নিলাম। পাহাড়ের বিভিন্ন স্থানে পাখি খোঁজার সময় কিছুটা বিশ্রাম পাওয়ায় কষ্ট কম হলো। যাত্রাপথে আরও ছয় প্রজাতির পাখি দেখলাম।
প্রায় ৫০ মিনিট হাঁটার পর চমৎকার এক জায়গায় এসে পৌঁছালাম। পাহাড়টি এখানে বেশ খাড়া। নাহিদ আমাকে ফোল্ডিং টুল পেতে বসতে বলে তামাটে লাল দুর্লভ পাখিটি খোঁজা শুরু করল। কয়েক দিন ধরে এখানেই ওটিকে দেখা যাচ্ছে। পাখিটি আমাদের তিনজনের জন্যই নতুন। মাত্র সাত মিনিট খোঁজার পর একটি স্ত্রী পাখিকে সেগুনপাতার আড়ালে পোকামাকড় খুঁজে বেড়াতে দেখা গেল। ১ মিনিট ২২ সেকেন্ডে ১৯টি ক্লিক করলাম। এরপর হঠাৎ সেটি উড়ে গেল।
খানিকক্ষণ পর অতি সুন্দর এক নতুন পাখির দেখা মিলল। ওটির ছবি তুলে পাহাড়ের আরও ওপরে উঠতেই দুপুর ১২টা ৩৫ মিনিটে আবারও তামাটে লাল পাখিটিকে দেখা গেল। এবার ৯ মিনিট সময় দিল। পাহাড়ের একবারে চূড়ায় ১ ঘণ্টা ৪০ মিনিট পাখি খুঁজে ফিরতি পথে কিছুটা নামতেই আমাদের মাথার ঠিক ওপরে আবার ওটির দেখা পেলাম। কিন্তু লতাগুল্মের আড়ালে থাকায় কাছে পেয়েও ভালো ছবি তোলা গেল না। সর্বশেষ বেলা ২টা ৫৫ মিনিটে শেষবারের মতো দেখলাম আকাশমণিগাছের বাকলের ভেতর থেকে রস খেতে। এবার খোলা জায়গায় পেয়ে কিছু ভালো ছবি তোলা গেল, তবে পাখিটি বেশ উঁচুতে ছিল। আড়াই মিনিটে ৪৯টি ছবি তুলে পাহাড় থেকে নামা শুরু করলাম।
অভয়ারণ্যের পাহাড়ে লাগানো আকাশমণিগাছের রস খেতে ব্যস্ত রাঙা বউ