মিয়ানমারে পাচারকালে বিপুল পরিমাণ ইউরিয়া সারসহ আটক ১১
Published: 8th, May 2025 GMT
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে পাচারের সময় বিপুল পরিমাণ ইউরিয়া সারসহ সাগর থেকে ১১ জন পাচারকারীকে আটক করেছে কোস্ট গার্ড।
বৃহস্পতিবার (৮ মে) সকালে গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে কোস্ট গার্ড মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার হারুন-অর-রশীদ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, বুধবার দিবাগত রাতে কোস্ট গার্ডের জাহাজ বিসিজিএস মনসুর আলী সেন্টমার্টিনের ছেড়াদ্বীপের ৪ নটিক্যাল মাইল দক্ষিণে একটি ইঞ্জিনচালিত কাঠের নৌকা দেখতে পায়। বঙ্গোপসাগরে ৫৮ দিনের মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা চলমান থাকায় ওই এলাকায় কোনো বোট থাকার অনুমতি নেই।
আরো পড়ুন:
৭ হাজার কোটি টাকার আমদানি ব্যয় কমাবে যবিপ্রবির ন্যানো ইউরিয়া
ডিএপি সার ও ফসফরিক কিনতে ব্যয় ৩০৭ কোটি টাকা
নৌকাটি থামার সংকেত উপেক্ষা করে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টাকালে কোস্ট গার্ড ধাওয়া করে নৌকাটি আটক করে। পরে তল্লাশি চালিয়ে ৭৪২ বস্তা ইউরিয়া সার এবং ১১ জন পাচারকারীকে আটক করা হয়।
আটক ব্যক্তিদের মধ্যে কয়েকজন উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্প ও বাকিরা চট্টগ্রামের বাসিন্দা বলে জানা গেছে। জব্দ করা সার টেকনাফ কাস্টমসে এবং পাচারকারীদের টেকনাফ মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
ঢাকা/তারেকুর/এস
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আটক ইউর য়
এছাড়াও পড়ুন:
সচিবালয়ে আজ ২ ঘণ্টা কর্মবিরতি কর্মচারীদের
সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫ বাতিলের দাবিতে আজ সোমবার দুই ঘণ্টার কর্মবিরতি পালন করবেন সচিবালয়ের কর্মচারীরা। গতকাল রোববার অর্থ মন্ত্রণালয়ের সামনে বিক্ষোভ-সমাবেশ থেকে এ কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছেন বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য ফোরামের নেতারা।
গতকাল বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সচিবালয়ের ১১ নম্বর ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন কর্মচারীরা। এ সময় বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে তারা সচিবালয়ের বিভিন্ন দিক প্রদক্ষিণ করেন। মিছিল থেকে ‘অবৈধ কালো আইন, মানি না, মানব না’, ‘আমাদের দাবি মানতে হবে, মানতে হবে’, ‘আমার সোনার বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই’, ‘ফ্যাসিবাদী কালো আইন, মানি না মানব না’, ‘আপস না লড়াই, লড়াই লড়াই’, ‘সারা বাংলার কর্মচারী, এক হও লড়াই কর’সহ নানা স্লোগান দেওয়া হয়।
আন্দোলনকারীদের সংগঠন বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য ফোরামের কো-চেয়ারম্যান বদিউল কবীর সমকালকে বলেন, সোমবার বেলা ১১টা থেকে ১টা পর্যন্ত দুই ঘণ্টা কর্মবিরতি পালন করবেন তারা। কর্মসূচির অংশ হিসেবে তারা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে অবস্থিত সচিবালয় কেন্দ্রীয় লাইব্রেরিতে অবস্থান করবেন। সেখানে আলোচনা করে পরবর্তী কর্মপন্থা ঠিক করবেন।
গত ২২ মে উপদেষ্টা পরিষদে অনুমোদনের পর সরকারি চাকরি অধ্যাদেশের খসড়া বাতিলের দাবিতে গত ২৪ মে আন্দোলনে নামেন সচিবালয়ের কর্মচারীরা। কর্মচারীদের আন্দোলনের মধ্যেই ২৫ মে রাতে এ অধ্যাদেশ জারি করে সরকার। ঈদুল আজহার ছুটি শেষে অফিস খোলার এক দিন পর গত সোমবার থেকে আবার সচিবালয়ের ভেতর বিক্ষোভ করে আসছেন আন্দোলনকারী কর্মচারীরা।