খালেদা জিয়ার ভাগনে শাহরিনের জামিন মঞ্জুর, মুক্তিতে বাধা নেই
Published: 8th, May 2025 GMT
আয়কর ফাঁকি ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে করা পৃথক মামলায় দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে নীলফামারী-১ (ডোমার-ডিমলা) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য বিএনপি নেতা শাহরিন ইসলাম চৌধুরীর (তুহিন) করা পৃথক আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে পৃথক ওই মামলায় তাঁকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেওয়া হয়েছে। শাহরিন ইসলাম চৌধুরী বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ভাগনে।
বিচারপতি মোহাম্মদ আলী ও বিচারপতি শেখ তাহসিন আলীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেন। দুই মামলায় বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে শাহরিনের করা আপিলের গ্রহণযোগ্যতা ও জামিন আবেদনের শুনানি নিয়ে এ আদেশ দেওয়া হয়।
দুই মামলায় জামিন পাওয়ায় শাহরিন ইসলাম চৌধুরীর কারামুক্তিতে আইনগত কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছেন তাঁর আইনজীবী হাসান রাজীব প্রধান। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করে হাইকোর্ট জরিমানা স্থগিত করেছেন। দুই মামলায় শাহরিন ইসলামকে এক বছরের জামিন দিয়েছেন। বিচারিক আদালতের নথি তলব করা হয়েছে।
আইনজীবীদের তথ্য অনুযায়ী, আয়কর ফাঁকি ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০০৭ সালে শাহরিন ইসলামের বিরুদ্ধে পৃথক মামলা হয়। বিচারিক আদালতের রায়ে আয়কর ফাঁকির অভিযোগে করা মামলায় দুটি ধারায় শাহরিন ইসলামকে আট বছর (তিন বছর ও পাঁচ বছর) কারাদণ্ড ও জরিমানা করা হয়। আর জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে করা মামলায় দুটি ধারায় (৩ বছর ও ১০ বছর) ১৩ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
সম্প্রতি শাহরিন ইসলাম দেশে ফেরেন। গত ২৯ এপ্রিল ঢাকার বিশেষ জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। পাশাপাশি জামিনের আবেদন জানান। আদালত তাঁর জামিনের আবেদন নাকচ করে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। দুই মামলায় বিচারিক আদালতের দণ্ডাদেশের রায়ের বিরুদ্ধে গত ৩০ এপ্রিল হাইকোর্টে পৃথক আপিল করেন শাহরিন।
আদালতে শাহরিন ইসলামের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী হাসান রাজীব প্রধান, সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী মো.
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: আইনজ ব
এছাড়াও পড়ুন:
চিত্রপরিচালক চয়নিকা চৌধুরীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
এক যুগ আগে চেক প্রতারণার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় নাট্যকার ও চলচ্চিত্র পরিচালক চয়নিকা চৌধুরীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দিয়েছেন আদালত। ঢাকার সপ্তম যুগ্ম মহানগর দায়রা জজ বুলবুল ইসলাম মঙ্গলবার এ আদেশ দেন। প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ওই আদালতের বেঞ্চ সহকারী শামীম আহমেদ।
চয়নিকা চৌধুরীর আইনজীবী আবদুল কাইয়ুম খান প্রথম আলোকে বলেন, তাঁর মক্কেলের বিরুদ্ধে দায়ের করা চেক প্রতারণার অভিযোগের মামলায় মঙ্গলবার সাক্ষীকে জেরার দিন ধার্য ছিল। তাঁর মক্কেল অসুস্থ থাকায় তিনি আদালতে হাজির হতে পারেননি। এ জন্য আদালতের কাছে সময় চেয়ে আবেদন করেছিলেন। আদালত সেই আবেদন নাকচ করে তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দেন। শিগগিরই চয়নিকা চৌধুরী আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করবেন বলে জানান আইনজীবী আবদুল কাইয়ুম খান।
চেক প্রতারণার অভিযোগে চয়নিকা চৌধুরীর বিরুদ্ধে ২০১৩ সালে ১৪ মে ঢাকার আদালতে নালিশি মামলা করেন প্রযোজক রাশেদুল ইসলাম (রিয়াজ)। মামলায় বাদীপক্ষের অভিযোগ, ‘জীবন সুন্দর হোক’ নামের একটি নাটক নির্মাণ করে দেওয়ার জন্য চয়নিকা চৌধুরীর সঙ্গে চুক্তি করেন প্রযোজক রাশেদুল ইসলাম। নাটক নির্মাণ করে দেওয়ার বিনিময়ে চয়নিকা চৌধুরীকে তিনি ২ লাখ ৩০ হাজার টাকার একটি চেক দেন। চেক নিয়েও নাটক নির্মাণ করেননি চয়নিকা চৌধুরী।
তবে বাদীপক্ষের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন চয়নিকা চৌধুরী। চয়নিকার আইনজীবী আবদুল কাইয়ুম খান প্রথম আলোর কাছে দাবি করেন, চুক্তি অনুযায়ী তাঁর মক্কেল চয়নিকা চৌধুরী ‘জীবন সুন্দর হোক’ নামে নাটক বানিয়ে দিয়েছেন। সেই নাটকটি এনটিভিতে প্রচারিত হয়েছে। বিনিময়ে এনটিভি থেকে টাকাও পেয়েছেন বাদীপক্ষ।
চয়নিকার আইনজীবী বলেন, বিষয়টি বিচারাধীন। নিশ্চয় আদালতের কাছ থেকে ন্যায়বিচার পাবেন তাঁর মক্কেল চয়নিকা চৌধুরী।