যুদ্ধাবস্থায় নিরাপত্তা শঙ্কায় আইপিএলের ম্যাচ স্থানান্তর
Published: 8th, May 2025 GMT
ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে উত্তেজনার ছায়া এবার আইপিএলেও। অপারেশন ‘সিঁদুর’-এর কারণে সীমান্তবর্তী অঞ্চলে বাড়তি সতর্কতা জারি করেছে ভারত। এরই মধ্যে হিমাচলের ধর্মশালায় আয়োজিত হতে যাওয়া আইপিএলের একটি ম্যাচ সরিয়ে নেওয়া হয়েছে গুজরাটের আহমেদাবাদে।
ধর্মশালায় সেদিন মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স ও পাঞ্জাব কিংসের ম্যাচটি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ওই অঞ্চলের বিমানবন্দর সাম্প্রতিক সহিংসতার পর বন্ধ হয়ে গেছে, এতে সেখানে পৌঁছানো সম্ভব নয় মুম্বাই দলের। ফলে ১০ মে রোববারের ম্যাচটি এখন আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে, গুজরাট রাজ্যের রাজধানীতে অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন গুজরাট ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক অনিল প্যাটেল।
তবে শুধু মুম্বাই-পাঞ্জাব ম্যাচ নয়, বড় ঝামেলায় পড়েছে দিল্লি ক্যাপিটালস দলও। আজ রাতেই ধর্মশালায় তাদের রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ পাঞ্জাব কিংসের বিপক্ষে। কিন্তু ম্যাচের পরই তাদের ১১ মের আরেকটি ম্যাচের জন্য দ্রুত ভ্রমণ করতে হবে, যেখানে ধর্মশালা থেকে কোনো ফ্লাইট-সংযোগই এখন আর কার্যকর নেই।
একজন ফ্র্যাঞ্চাইজি কর্মকর্তার ভাষায়, ‘খেলোয়াড়দের ফিটনেস এবং বিশ্রামের বিষয়টি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। সময়ও কম, তাই ট্রেন, ছোট বাসে ভেঙে ভেঙে যাত্রা কিংবা কাছাকাছি রেলস্টেশন ব্যবহার করে যাওয়ার চিন্তা করছি আমরা। এখনও কিছুই নিশ্চিত নয়।’
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
বেহাল ৫ কিলোমিটার সড়ক যান চলাচলে ঝুঁকি
হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজার জেলার সংযোগ সড়ক পানিউমদা-শমশেরনগর সড়কটি দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় চলাচলের অনুপযোগী হয়ে উঠেছে। ব্যস্ত এ সড়কে প্রতিদিনই ছোট-বড় দুর্ঘটনা ঘটছে। অবিলম্বে সড়কটি সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
স্থানীয়দের অভিযোগ, নবীগঞ্জ উপজেলার পানিউমদা বাজার থেকে মৌলভীবাজার জেলার শমশেরনগর পর্যন্ত সড়কে গত ১০ বছরেরও কোনো সংস্কারকাজ হয়নি। সংশ্লিষ্ট দপ্তরের লোকজন নিয়মিত মাপজোক করে সংস্কারের আশ্বাস দিলেও কাজের কাজ কিছুই হয় না। বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে এ সড়কে চলাচলে কষ্টের শেষ থাকে না।
সরেজমিন দেখা যায়, প্রায় ৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের সড়কে ছোট-বড় খানাখন্দে ভরপুর। কয়েকটি গর্ত বেশ গভীর। যার মধ্যে দুই ও তিন চাকার যান উল্টে যেতে পারে। চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ায় চালক ও যাত্রীদের চরম দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে। স্থানীয়রা জানান, এ সড়কে চলাচল করতে তাদের কষ্টের পাশাপাশি সবসময় দুর্ঘটনার ঝুঁকি তাড়া করে বেড়ায়।
নবীগঞ্জ উপজেলা সিএনজি শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক অনু আহমদের ভাষ্য, গত এক মাসে মৌলভীবাজার-শমশেরনগর টু নবীগঞ্জ পানিউমদা সড়কে ২০টি সিএনজিচালিত অটোরিকশা দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। এতে অন্তত ৫০ জন আহত হন। বিশেষ করে সড়কের টঙ্গিটিলা, ভেড়ামারা, মোকামবাজার, পূর্ব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এলাকা, শমশেরনগর লেবু বাগান এলাকায় সড়কের অবস্থা খুবই খারাপ। বর্ষা মৌসুমে খানাখন্দে পানি জমলে গাড়ি চালানো সম্ভব হয় না।
পানিউমদা গ্রামের ব্যবসায়ী অনু আহমদ জানান, এই সড়কের গুরুত্ব শুধু স্থানীয় পর্যায়ে সীমাবদ্ধ নয়। এটি হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজার জেলার মানুষের যোগাযোগের অন্যতম সড়ক। স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ীসহ সব শ্রেণির মানুষের যাতায়াত এই পথেই। অথচ এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক দীর্ঘদিন ধরে অবহেলিত।
স্থানীয় এক বাসিন্দা আশরাফুল ইসলাম বলেন, এলাকাবাসীর চলাচলের এটিই একমাত্র সড়ক। প্রতিদিন এ সড়কে চলাচল করতে গিয়ে তাদের কষ্টের শেষ থাকে না। ক’দিন পরপর মাপজোক হয়; কিন্তু সংস্কার আর হয় না।
অটোরিকশা চালক কুদ্দুছ মিয়া জানান, রাস্তায় বড় বড় গর্ত হওয়ায় যাত্রী সংখ্যা কমে গেছে। এতে তাদের আয়-রোজগারও কমে গেছে।
পানিউমদা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইজাজুর রহমান বলেন, বেহাল সড়কটি এলাকাবাসীর দুঃখকষ্টের অন্যতম কারণ। তিনি মাসিক উন্নয়ন ও সমন্বয় কমিটির সভায় সড়কটি সংস্কারের কথা অসংখ্যবার বলেছেন। বারবার আশ্বাস দেওয়া হলেও কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না।
নবীগঞ্জ উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রকৌশলী মো. জোনায়েদ আলম বলেন, গুরুত্ব বিবেচনা করে পানিউমদা-শমশেরনগর সড়ক সংস্কারে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে প্রকল্পের প্রাক্কলন তৈরি করে সংশ্লিষ্ট কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে।