শেষমেশ এফডিসির বাইরে পরিচালক সমিতির ভোট, কারা জিতলেন
Published: 9th, May 2025 GMT
অবশেষে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির নতুন নেতৃত্ব চূড়ান্ত হয়েছে। দিনব্যাপী ভোট গ্রহণ শেষে আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় ফলাফল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার আবদুল লতিফ। এতে দেখা যায়, সভাপতি পদে পরিচালক শাহীন সুমন ১৬৬ ভোট পেয়ে হারিয়েছেন মুশফিকুর রহমানকে। অন্যদিকে মহাসচিব পদে ১৮০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন শাহীন কবির, তিনি হারিয়েছেন সাফি উদ্দিনকে। এর বাইরে নির্বাচিত অন্যরা হলেন সহসভাপতি আবুল খায়ের; উপমহাসচিব কবিরুল ইসলাম; কোষাধ্যক্ষ সায়মন তারিক; প্রচার-প্রকাশনা ও দপ্তর সচিব ওয়াজেদ আলী; আন্তর্জাতিক ও তথ্যপ্রযুক্তি সচিব বন্ধন বিশ্বাস; সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া সচিব মোস্তাফিজুর রহমান।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, দুই বছর মেয়াদি পরিচালক সমিতির নেতৃত্বে নির্বাচিত সদস্যরা হলেন ছটকু আহমেদ, শাহাদাৎ হোসেন, পল্লী মালেক, জাকির হোসেন, বজলুর রাশেদ চৌধুরী, সাইদুর রহমান, হাবিবুল ইসলাম, জয় সরকার, গাজী মাহবুব ও বুলবুল বিশ্বাস।
কয়েক দফা পিছিয়ে যাওয়ার পর আজ অনুষ্ঠিত হয়েছে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির দুই বছর মেয়াদি নির্বাচন। ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে অনুষ্ঠিত এ নির্বাচনে আগামী দুই বছরের জন্য পরিচালক সমিতির নতুন নেত্বত্ব নির্বাচিত হয়। সন্ধ্যা সোয়া সাতটায় চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির নির্বাচিত উপমহাসচিব কবিরুল ইসলাম প্রথম আলোকে জানান, সকাল ১০টায় ভোট গ্রহণ শুরু হয়ে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত চলে।
কবিরুল ইসলাম এ–ও জানান, সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ২৫৯ জন পরিচালকের ভোট গ্রহণ হয়। এবারের নির্বাচনে মোট ভোটারের সংখ্যা ছিল ৩৯১। উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হওয়া এ ভোট গ্রহণে ৩৪ জন তাঁদের ভোট প্রদান করতে পারেননি। কারণ, তাঁরা দেশের বাইরে আছেন। তা ছাড়া জ্যেষ্ঠ পরিচালকদের মধ্যে ১৪ জন অসুস্থ। এই নির্মাতার ভাষ্য, ‘এবারের নির্বাচনে ভোট গ্রহণ এফডিসির বাইরে অনুষ্ঠিত হয়েছে। তাই অপেক্ষাকৃত জ্যেষ্ঠ পরিচালকদের কয়েকজন আসতে পারেননি। তা ছাড়া যাঁরাই এসেছেন, তাতে উৎসবমুখর একটা পরিবেশ ছিল। ভোট প্রদানের ফাঁকে দিনব্যাপী পরিচালকেরা আড্ডা দিয়েছেন।’
এবারের নির্বাচন অনুষ্ঠানে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্বে ছিলেন আবদুল লতিফ। বাকি দুজন নির্বাচন কমিশনার হলেন এ জে রানা ও বি এইচ নিশান।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ভ ট গ রহণ অন ষ ঠ ত ল ইসল ম দ ই বছর ত হয় ছ
এছাড়াও পড়ুন:
উৎসবমুখর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ, পরিবার নিয়ে আসছেন অনেকে
জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস উদযাপনে রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে দিনব্যাপী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সন্তানদের নিয়ে আসছেন অভিভাবকেরা। সরকারি ছুটির দিন হওয়ায় বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অনুষ্ঠান উপভোগ করতে পরিবার নিয়ে আসছেন।
মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) দুপুর সোয়া বারোটায় সাইমুম শিল্পীগোষ্ঠীর পরিবেশনার মধ্য দিয়ে শুরু হয় ৩৬ জুলাই উদযাপনের দিনব্যাপী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
বনানী থেকে সন্তান ও স্ত্রী নিয়ে অনুষ্ঠানে এসেছেন ব্যবসায়ী মোমিনুর রহমান। তিনি রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘‘আমি এবং আমার স্ত্রী একসঙ্গে রাজধানীর বনানীতে স্বৈরাচারকে দেশ থেকে তাড়ানোর জন্য আন্দোলন করেছি। আজ পরিবারের সবাইকে নিয়ে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বছরপূর্তি উদযাপন করতে আসলাম। গত বছর এই দিনে স্বৈরাচার পালানোর কথা শুনে যেমন আনন্দ পেয়েছিলাম, আজ এখানে এসে ঠিক তেমনই মনে হচ্ছে।’’
‘‘আমরা যে আশা নিয়ে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে অংশ নিয়েছিলাম সেই প্রত্যাশা এখনো পূরণ হয়নি। সরকারকে বলব, সব রাজনৈত দলের সঙ্গে আলোচনা করে দেশ ও জনগণের স্বার্থে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের চেতনাকে ধারণ করে দেশকে সামনে এগিয়ে নিতে।’’ বলেন মোমিনুর রহমান।
আয়রা ও আজোয়া দুই সন্তানকে নিয়ে অনুষ্ঠানে এসেছেন সামিয়া আক্তার। তিনি রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘‘আমার যমজ কন্যাদের নিয়ে আসছি প্রিয় শিল্পীদের গান শুনতে। আমরা গত বছর ফার্মগেটে আন্দোলন করেছিলাম। আগামী বাংলাদেশ শিশুদের জন্য নিরাপদ হোক আমরা সেই প্রত্যাশা করি।’’
জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবসের অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে সোমবার (৪ আগস্ট) রাত থেকেই মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে। এখানে বিকাল ৫টায় ঐতিহাসিক জুলাই ঘোষণাপত্র পাঠ করা হবে। রাত ৮টায় সর্বশেষ আয়োজনে থাকছে আর্টসেল-এর গান। অনুষ্ঠানের আয়োজক সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়, ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি। সহযোগিতায় বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ সচিবালয়।
দুপুর ২টা ২৫ মিনিটে ‘ফ্যাসিস্টের পলায়ন ক্ষণ’ উদযাপন করা হবে। ‘পলায়ন ক্ষণ’ উদযাপনের পর পুনরায় শুরু হবে কনসার্ট। একে একে পারফর্ম করবেন সায়ান, ইথুন বাবু ও মৌসুমি, সোলস এবং ওয়ারফেজ। সন্ধ্যায় সংসদ ভবনের সামনে লাখো কণ্ঠে জুলাইয়ের গান ‘কতো বিপ্লবী বন্ধুর রক্তে রাঙা...’ গাওয়া হবে।
জুলাই ঘোষণাপত্র পাঠের পর আবারও শুরু হবে কনসার্ট। একে একে পারফর্ম করবেন বেসিক গিটার লারনিং স্কুল, এফ মাইনর এবং পারশা। মাগরিবের নামাজের বিরতির পর পারফর্ম করবেন এলিটা করিম। তার পারফরম্যান্সের পর অনুষ্ঠিত হবে স্পেশাল ড্রোন ড্রামা। ড্রোন শো-এর পর সংগীত পরিবেশন করবে জনপ্রিয় ব্যান্ড আর্টসেল।
সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এ ছাড়াও মানিক মিয়াজুড়ে দিনভর থাকছে উৎসবমুখর নানা আয়োজন।
ঢাকা/রায়হান