আইভী কারাগারে, পুলিশের গাড়িতে হামলা-ককটেল
Published: 10th, May 2025 GMT
জুলাই অভ্যুত্থানে পোশাক শ্রমিক হত্যা মামলায় নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি সেলিনা হায়াৎ আইভীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার ভোরে নারায়ণগঞ্জ শহরের দেওভোগ এলাকার নিজ বাসভবন থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করলে শুনানি শেষে বিচারক আইভীকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। পরে দুপুরে তাঁকে গাজীপুরের কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারে নেওয়া হয় বলে জানান জ্যেষ্ঠ জেল সুপার কাওয়ালিন নাহার।
পুলিশ জানায়, আইভীর বিরুদ্ধে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় চারটি ও ফতুল্লা থানায় একটি হত্যা মামলা রয়েছে। সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় গত বছর জুলাইয়ের ছাত্র আন্দোলনে গুলিতে পোশাক শ্রমিক মিনারুল ইসলাম হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে গ্রেপ্তারের জন্য আইভীর বাসভবনে যায় পুলিশ। খবর পেয়ে হাজারো নেতাকর্মী ও সমর্থক বাড়ির সামনে অবস্থান নেন। স্থানীয় মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়েও লোক জড়ো করা হয়। আইভীর বাড়িগামী পথগুলোতে বাঁশ, বালু, আসবাব ফেলে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে তারা। গ্রেপ্তারের বিষয়ে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ফোন করে তাঁর সহযোগিতা চান। এ সময় আইভী তাদের জানান, গ্রেপ্তার হতে তিনি প্রস্তুত। তবে তা সূর্যের আলো ফোটার পরে।
এর পর পুলিশ অপেক্ষা করে। সঙ্গে বাড়ি ঘিরে নেতাকর্মী ও সমর্থকরা রাতভর অবস্থান করেন। প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী গতকাল ভোর পৌনে ৬টার দিকে আইভী বাড়ি থেকে বের হয়ে পুলিশের কাছে আসেন। এ সময় তিনি বলেন, ‘গ্রেপ্তার করতে এসে পুলিশ আমাকে কোনো ওয়ারেন্ট দেখাতে পারেনি। তার পরও আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়ায় আমি যাচ্ছি। রাতে পুলিশকে অপেক্ষা করানোর জন্য আমি দুঃখ প্রকাশ করছি।’
আইভী বলেন, ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ বলা কোনো অপরাধ হলে, আমি অপরাধী হতে চাই। জয় বাংলা বলায় বিচার হলে হবে। আমি বাড়িতেই ছিলাম, কখনও পালাইনি। তাহলে এভাবে কেন গ্রেপ্তার করতে হলো? প্রশ্ন রেখে সাবেক এ মেয়র বলেন, ‘আমি কি জুলুমবাজ? আমি কি হত্যা করেছি? আমি কি চাঁদাবাজি করেছি? ২১ বছর জনগণকে সেবা দিয়েছি। কেউ বলতে পারবে না নারায়ণগঞ্জ শহরে কোনো বিরোধী নেতাকর্মীকে আঘাত করেছি। যখন নারায়ণগঞ্জবাসী একেবারে চুপ ছিল, কেউ কথা বলেনি, আমি আওয়াজ তুলেছি। অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা শিখিয়েছি। তাহলে কোন ষড়যন্ত্রে, কার স্বার্থে আমাকে গ্রেপ্তার করা হলো?’
আইভীকে পুলিশ নিয়ে যাওয়ার সময় নেতাকর্মী ও সমর্থকরা ‘দলমত বুঝি না, আইভী ছাড়া চিনি না’ স্লোগান দেয়। এক পর্যায়ে নগরীর গলাচিপা মোড় পার হওয়ার সময় আইভীকে বহনকারী পুলিশের গাড়িবহর লক্ষ্য করে ককটেল হামলা হয়। পরে তাঁর অনুসারীদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। এতে পুলিশসহ অন্তত পাঁচজন আহত হন।
যুবদল নেতা মাজহারুল ইসলাম জোসেফের নেতৃত্বে এ হামলার অভিযোগ করা হয়। এ সময় দু’পক্ষের মধ্যে কিছুক্ষণ ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। পরে আইভী সমর্থকরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। অভিযোগ অস্বীকার করে মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবু আল ইউসুফ খান টিপু বলেন, আইভীর সমর্থকরা রাস্তা আটকে গ্রেপ্তারে কেন বাধা দিলেন? যারা রাস্তা আটকে রেখেছিল এবং হামলা করেছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পুলিশের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) তারেক আল মেহেদি বলেন, ‘সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় পোশাক শ্রমিক মিনারুল হত্যা মামলায় আইভীকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’ গাড়িবহরে হামলার বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক অঞ্চল) হাসিনুজ্জামান জানান, হামলার ঘটনা তদন্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। হামলা হলেও আইভীকে নিরাপদে আদালতে নেওয়া হয়।
রাজধানীতে পাঁচ নেতা গ্রেপ্তার
আওয়ামী লীগ, এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের পাঁচ নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে পল্লবী থানা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও সাবেক এমপি ইলিয়াস মোল্লার সহযোগী রমজান আলী সিটু, মোহাম্মদপুর থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহসভাপতি মো.
বিএনপি নেতার বাড়ি থেকে লিটনের এপিএস গ্রেপ্তার
রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটনের সাবেক এপিএস আবদুল ওয়াহেদ খান টিটুকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার ১ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাগর চৌধুরীর বাড়ি থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় সাগরকেও হেফাজতে নেয় পুলিশ। টিটু রাজশাহী মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।
এদিন পৃথক অভিযানে বদলগাছীর বিভিন্ন এলাকা থেকে আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের তিন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে সাবেক শিল্প প্রতিমন্ত্রী ও রাজশাহী-১ আসনের সাবেক এমপি ওমর ফারুক চৌধুরীর অঘোষিত ‘বডিগার্ড’ কাউসার আহমেদ বাবুকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বিভিন্ন স্থানে গ্রেপ্তার ৪৮
বৃহস্পতিবার রাতে চাঁপাইনবাবগঞ্জে অভিযান চালিয়ে ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাদের মধ্যে রয়েছেন– নাচোল পৌরসভার সাবেক মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুর রশিদ খান ঝালু, সাবেক ডিআইজি সৈয়দ নুরুল ইসলামের সাবেক দেহরক্ষী আল মামুন, নাচোল উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তারিক আলী ও জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি রুহুল আমিনের ঘনিষ্ঠ হাম্মাদ আলী।
পাবনার চাটমোহরে অভিযান চালিয়ে বিস্ফোরক মামলায় আওয়ামী লীগ, এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের ৯ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার রাতে সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ার পূর্ণিমাগাঁতী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জালাল উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করা হয়। বগুড়ার সোনাতলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জান্নাতুল ফেরদৌসি রুম্পা ও তাঁর স্বামী নাজমুল মাহমুদ তুহিনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গাইবান্ধা জেলা আওয়ামী লীগের আইনবিষয়ক সম্পাদক ফারুক আহমেদ প্রিন্স গ্রেপ্তার হয়েছেন।
নড়াইলে দুই ইউপি চেয়ারম্যানসহ আওয়ামী লীগ, এর সহযোগী সংগঠনের চারজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। রাজবাড়ী থেকে গতকাল তিন আওয়ামী লীগ নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারা হলেন– জেলা আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক আবু হাসান, উপপ্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমজাদ হোসেন এবং পাংশার কলিমহর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আমিরুল ইসলাম। ফরিদপুরের সালথা থেকে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা কামাল হোসেন ও হেমায়েত হোসেনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
পটুয়াখালীর দশমিনা থেকে বৃহস্পতিবার রাতে আওয়ামী লীগের চার নেতাকর্মী এবং ভোলার মনপুরা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শামসুদ্দিন সাগরকে গতকাল গ্রেপ্তার করে পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাতে পিরোজপুরের ইন্দুরকানী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুল ইসলাম ইব্রাহিম ও উপজেলা যুবলীগের সদস্য রাসেল হাওলাদারকে গ্রেপ্তার করা হয়।
কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি জহিরুল ইসলাম সেলিমকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল লক্ষ্মীপুরের কমলনগরের চরফলকন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল ওয়াহেদকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ থেকে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের চার নেতা এবং ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ পৌর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রবিউল আলম শরীফকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
(প্রতিবেদনে তথ্য দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যুরো, প্রতিনিধি ও সংবাদদাতা)
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: গ র প ত র কর ছ ন র য়ণগঞ জ র ল ইসল ম সমর থকর ন ত কর ম ন আওয় ম স গঠন র উপজ ল আইভ র গতক ল আইভ ক সহয গ এ সময়
এছাড়াও পড়ুন:
মাসুদ ভাই আপনাদের উন্নয়নে, সমস্ত কর্মকাণ্ডে পাশে থাকবেন : সজল
নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম সজল বলেছেন, নারায়ণগঞ্জ -৫ আসনে বিএনপি'র মনোনীত প্রার্থী হল মাসুদুজ্জামান মাসুদ। আপনারা দল করেন বিএনপি আর সেই দলের প্রার্থী হলেন মাসুদুজ্জামান মাসুদ। আগামী নির্বাচনে উনাকে আপনেরা একসাথে মিলে মিশে কাজ করে বিজয়ী করবেন ইনশাল্লাহ।
কারণ বন্দর উপজেলা হচ্ছে বিএনপির ঘাঁটি। বন্দরের মাটিতে বিএনপির নেতাকর্মীদের প্রত্যেকের ঘাম জড়িত। আমাদের দল মাসুদ ভাইকে ৫ আসনের প্রার্থী দিয়েছে আমরা আপনাদের সবাইকে নিয়েই তার নির্বাচনের সমস্ত পরিচালনা করব। আপনারা যারা বিএনপি তথা ধানের শীষের সমর্থন আপনারা সবাই একসাথে থাকবেন।
মাসুদ ভাই আপনাদের সকল উন্নয়নে এবং সমস্ত কর্মকাণ্ডে আপনাদের পাশে থাকবেন। আগামী দিনে ধানের শীষের প্রার্থী মাসুদুজ্জামান মাসুদের জন্য আপনারা জীবনের সর্বোচ্চ বাজিয়ে রেখে কাজ করে তাকে বিজয় নিশ্চিত করবেন। যেভাবে আপনারা রাজপথে আন্দোলন সংগ্রাম করেছিলেন। সেভাবে আপনারা ধানের শীষের প্রার্থীকে বিজয় করে নিয়ে আসবেন।
বিএনপি'র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান কর্তৃক জাতির সামনে উপস্থাপিত রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এবং আগামী নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী বিশিষ্ট সমাজসেবী ও ক্রীড়ানুরাগী মাসুদুজ্জামান মাসুদকে বিজয়ী করার লক্ষ্যে বন্দর উপজেলা বিএনপির উদ্যোগে মতবিনিময় এবং গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তার বক্তব্যে তিনি এসব কথাগুলো বলেন।
বুধবার (৫ নভেম্বর) বিকেলে মদনপুর ইউনিয়নের দেওয়ানভাগে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
তিনি বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এদেশে জনগণ সমস্ত দল ও বিভিন্ন দেশের কূটনীতি মতামত নিয়ে আগামী দিনে রাষ্ট্র সংস্কারের ৩১ দফা প্রনয়ন করেছেন। আমাদের বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ১৯ দফা কর্মসূচির মাধ্যমে সারাদেশ পরিচালনা করেছিল। এবং অন্যের দফার মাধ্যমে দেশকে সুজলা সুফলা ও শস্য শ্যামলা একটি উন্নত বাংলাদেশ তৈরি করেছিলেন। এবং আমাদের নেতা তারেক রহমান যে একত্রিশ দফা দিয়েছে সেই ৩১ দফার আলোতে আগামীতে বাংলাদেশ পরিচালনা হবে। এই একত্রিশ দফার মাধ্যমে শিশু বাচ্চা থেকে শুরু করে বৃদ্ধ সকল সমস্ত পেশাজীবী মানুষগণ ভবিষ্যতের সুন্দর জীবন যাপনের পরিকল্পনা করেছেন।
তিনি সম্প্রীতি বিএনপি নেতা আওলাদ মাহমুদের উপরে আওয়ামী ও জাতীয় পার্টির সন্ত্রাসের হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, তাওলাত মাহমুদ রাজপথের নেতা।তিনি দীর্ঘদিন আমাদের সাথে রাজপথে আন্দোলন সংগ্রাম করেছে। তার মতো রাজপথের নেতার উপরে স্বৈরাচারীদের দোসররা হামলা চালাবে তা সত্যি নিন্দনীয়। আমি বলে দিতে চাই আপনারা হয়তোবা এখন পার করছেন কিন্তু আগামী তিন মাস পর নির্বাচন হবে এরপর কিন্তু আপনারা পার পাবেন না। আপনাদের কিন্তু এর উপযুক্ত শাস্তি পেতেই হবে। সুতরাং সাবধান করে দেই আপনারা ভাল হয়ে যান ভবিষ্যতে এ ধরনের কোন কর্মকাণ্ডে যদি লিপ্ত থাকেন তাহলে কিন্তু আপনাদেরকে ছাড় দেওয়া হবে না।
বন্দর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদ লিটনের সভাপতিত্বে ও কলাগাছিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি শাহাদুল্লাহ মুকুলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বন্দর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মাজহারুল ইসলাম হিরণ, প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম সজল, বিশেষ বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বন্দর উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি মহি উদ্দিন শিশির, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মহানগর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক নূরে এলাহী সোহাগ, সিনিয়র সদস্য রাফি উদ্দিন রিয়াদ, সাইফুল ইসলাম আপন, পারভেজ খান, মুছাপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি তাঁরা মিয়া, মদনপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মামুন ভূঁইয়া, ধামগড় ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি জাহিদ খন্দকার, বন্দর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি রাজু আহমেদ, বন্দর উপজেলা বিএনপি নেতা মোমেন ভূঁইয়াসহ বন্দর উপজেলা বিএনপির আওতাধীন পাঁচটি ইউনিয়ন বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।