আট নেপালিকে দিয়ে এ মৌসুমে এভারেস্ট অভিযান শুরু
Published: 11th, May 2025 GMT
মাউন্ট এভারেস্টের চূড়ায় উঠেছেন আট নেপালি পর্বতারোহী। গত শুক্রবার তাঁরা বিশ্বের সর্বোচ্চ এই পর্বতশৃঙ্গের চূড়ায় পৌঁছান। এর মধ্য দিয়ে চলতি মৌসুমের জন্য এভারেস্ট অভিযান শুরু হলো।
স্থানীয় পর্বতারোহীদের দিয়ে প্রতিবছর এভারেস্ট অভিযান শুরু হয়। এর ব্যবস্থাপনায় থাকে স্থানীয় একটি পর্বতারোহীদের সংগঠন। এর মধ্য দিয়ে বিভিন্ন দেশ থেকে যাওয়া পর্বতারোহীদের জন্য এভারেস্ট যাত্রার পথ খুলে যায়।
‘৮কে এক্সপেডিশনস’ নামে নেপালের একটি স্থানীয় পর্বতারোহীদের সংগঠন থেকে আটজন এ বছর সবার আগে এভারেস্টের চূড়ায় পৌঁছালেন। সংগঠনটির একজন পেমবা শেরপা গতকাল এএফপিকে বলেন, ‘(এভারেস্টের) পথ খুলে গেছে। আমাদের একটি দল এভারেস্টের চূড়ায় পৌঁছেছেন।’ চলতি বছরের বসন্ত মৌসুমের জন্য এভারেস্ট আরোহণে ৪৫৬ জন পর্বতারোহীকে অনুমতি দিয়েছে নেপাল। গত এপ্রিলে শুরু হওয়া এই মৌসুম আগামী জুন পর্যন্ত চলবে।
এভারেস্টের বেস ক্যাম্পে থাকা পূর্ণিমা শ্রেষ্ঠা নামের একজন পর্বতারোহী এএফপিকে বলেন, ‘এবার কিছুটা আগেভাগেই এভারেস্টের জন্য পথ খুলে গেল। এতে পর্বতারোহীদের ব্যবস্থাপনা এবং এভারেস্টে যাওয়ার পথে ভিড় কমানোর বিষয়ে এটা বেশ সহায়ক হবে বলেই আমরা আশা করছি।’
এভারেস্ট যাত্রায় প্রত্যেক পর্বতারোহীকে সহায়তায় তাঁদের সঙ্গে থাকেন একজন নেপালি গাইড। এর মানে আগামী কয়েক সপ্তাহ সময়ে এভারেস্ট যাবেন মোট ৯ শতাধিক মানুষ।
২০১৯ সালে এভারেস্ট যাত্রায় পর্বতারোহীদের ভিড় সবচেয়ে বাজে পরিস্থিতি ডেকে এনেছিল। ওই বছর কোনো কোনো পর্বতারোহী দলকে জমে যাওয়ার মতো ঠান্ডায় কয়েক ঘণ্টা করে অপেক্ষা করতে হয়েছিল। সেবার এভারেস্টের চূড়ায় উঠতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছিলেন অন্তত ১১ জন। এর জন্য দায়ী করা হয়েছিল পর্বতারোহীদের অতিরিক্ত ভিড়কে।
পৃথিবীর সবচেয়ে উঁচু ১০টি পর্বতশৃঙ্গের মধ্যে ৮টির অবস্থান নেপালে। গত বছর আট শতাধিক পর্বতারোহী সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্টের চূড়ায় আরোহণ করেন। তাঁদের মধ্যে ৭৪ জন চীনের উত্তর তিব্বত অংশ দিয়ে মাউন্ট এভারেস্টে আরোহণ করেছিলেন।
১৯৫৩ সালের ২৯ মে নিউজিল্যান্ডের স্যার এডমন্ড হিলারি ও নেপালের শেরপা তেনজিং নোরগে প্রথম মাউন্ট এভারেস্টের চূড়ায় আরোহণ করেন। ব্রিটিশ অভিযাত্রী দলের অংশ হিসেবে তাঁরা এ অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জন করেন। এটি ছিল পর্বতারোহণের ইতিহাসে এক যুগান্তকারী ঘটনা।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
‘আল্লাহু আকবার’ বলে হলের ছাদ থেকে লাফ দিলেন রাবি শিক্ষার্থী
‘আল্লাহু আকবার’ বলে হলের ছাদ থেকে লাফ দিয়েছেন সাদ আহমেদ নামে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।
মঙ্গলবার (২৫ জুন) রাত ১১টা ২০ মিনিটে শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলের চার তলার উপর থেকে লাফ দেন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়েছে।
সাদ আহমেদের বাড়ি সিরাজগঞ্জ। ছাদ থেকে লাফ দেওয়ার আগে ফেসবুকে তিনি কয়েকটি পোস্ট করেন। সর্বশেষ ফেসবুক পোস্টে তিনি লেখেন, ‘ভালোবাসি লিসা'।
লিসাকে উদ্দেশ্য করে তিনি লেখেন, “লিসা তুমি জানতা তোমাকে আমি কত্তটা ভালোবাসি, তবুও কেন এমন করলে? সব জায়গায় সেইম ইফোর্ট সেইম ডায়ালগ কীভাবে পারো লিসা? মানুষ এতটা সাইকো কীভাবে হয়? তোমাকে তো বলেই ছিলাম, আমার সাথে চিট করলে কিন্তু আমার বন্ধু ফিরোজের মতো আমাকেও মরা ছাড়া উপায় থাকবে না। এত্ত করে বুঝাইলাম তাও বুঝলে না।”
আরেকটি পোস্টে তিনি লেখেন, “সরি আম্মু পারলে মাফ করে দিও। তুমি আমার আম্মু ছিলা, তুমি আমার আব্বু ছিলা। আর আমার বাপ একটা জানোয়ার।”
এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, “আমি মাত্রই ছাদে উঠেছিলাম, তিন তলায় ওঠার পরে একজন জোরে 'আল্লাহু আকবার' বলে এবং পরক্ষণেই হঠাৎ জোরে শব্দ শুনতে পাই। তারপর ওখান থেকে দৌঁড়ে এসে দেখি একজন মাটিতে পড়ে আছে। পরে অ্যাম্বুলেন্স এসে তাকে রামেকে নিয়ে যায়।
তার এক বন্ধু বলেন, সাদ খুব সহজ সরল। সে হাফেজ। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে। পারিবারিক কিছু সমস্যাও ছিলো। তবে এভাবে সে লাফ দেবে এটা ভাবতেই পারিনি।
ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক মো. আরিফুল ইসলাম বলেন, “আমি বাইরে ছিলাম। ঘটনাটি শোনার পর হলে গিয়ে শুনতে পেলাম তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। সে ফার্স্ট ব্লকের চার তলা থেকে লাফ দিয়েছিল। সম্ভবত তার একটা পা ভেঙ্গে গেছে।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান বলেন, “আমরা ঘটনাটি শোনামাত্রই সেখানে অ্যাম্বুলেন্স পাঠাইছি। তাকে মেডিকেলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত আমরা বিস্তারিত কিছু জানতে পারিনি।”
ঢাকা/ফাহিম/ইভা