মাউন্ট এভারেস্টের চূড়ায় উঠেছেন আট নেপালি পর্বতারোহী। গত শুক্রবার তাঁরা বিশ্বের সর্বোচ্চ এই পর্বতশৃঙ্গের চূড়ায় পৌঁছান। এর মধ্য দিয়ে চলতি মৌসুমের জন্য এভারেস্ট অভিযান শুরু হলো।

স্থানীয় পর্বতারোহীদের দিয়ে প্রতিবছর এভারেস্ট অভিযান শুরু হয়। এর ব্যবস্থাপনায় থাকে স্থানীয় একটি পর্বতারোহীদের সংগঠন। এর মধ্য দিয়ে বিভিন্ন দেশ থেকে যাওয়া পর্বতারোহীদের জন্য এভারেস্ট যাত্রার পথ খুলে যায়।

‘৮কে এক্সপেডিশনস’ নামে নেপালের একটি স্থানীয় পর্বতারোহীদের সংগঠন থেকে আটজন এ বছর সবার আগে এভারেস্টের চূড়ায় পৌঁছালেন। সংগঠনটির একজন পেমবা শেরপা গতকাল এএফপিকে বলেন, ‘(এভারেস্টের) পথ খুলে গেছে। আমাদের একটি দল এভারেস্টের চূড়ায় পৌঁছেছেন।’ চলতি বছরের বসন্ত মৌসুমের জন্য এভারেস্ট আরোহণে ৪৫৬ জন পর্বতারোহীকে অনুমতি দিয়েছে নেপাল। গত এপ্রিলে শুরু হওয়া এই মৌসুম আগামী জুন পর্যন্ত চলবে।

এভারেস্টের বেস ক্যাম্পে থাকা পূর্ণিমা শ্রেষ্ঠা নামের একজন পর্বতারোহী এএফপিকে বলেন, ‘এবার কিছুটা আগেভাগেই এভারেস্টের জন্য পথ খুলে গেল। এতে পর্বতারোহীদের ব্যবস্থাপনা এবং এভারেস্টে যাওয়ার পথে ভিড় কমানোর বিষয়ে এটা বেশ সহায়ক হবে বলেই আমরা আশা করছি।’

এভারেস্ট যাত্রায় প্রত্যেক পর্বতারোহীকে সহায়তায় তাঁদের সঙ্গে থাকেন একজন নেপালি গাইড। এর মানে আগামী কয়েক সপ্তাহ সময়ে এভারেস্ট যাবেন মোট ৯ শতাধিক মানুষ।

২০১৯ সালে এভারেস্ট যাত্রায় পর্বতারোহীদের ভিড় সবচেয়ে বাজে পরিস্থিতি ডেকে এনেছিল। ওই বছর কোনো কোনো পর্বতারোহী দলকে জমে যাওয়ার মতো ঠান্ডায় কয়েক ঘণ্টা করে অপেক্ষা করতে হয়েছিল। সেবার এভারেস্টের চূড়ায় উঠতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছিলেন অন্তত ১১ জন। এর জন্য দায়ী করা হয়েছিল পর্বতারোহীদের অতিরিক্ত ভিড়কে।

পৃথিবীর সবচেয়ে উঁচু ১০টি পর্বতশৃঙ্গের মধ্যে ৮টির অবস্থান নেপালে। গত বছর আট শতাধিক পর্বতারোহী সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্টের চূড়ায় আরোহণ করেন। তাঁদের মধ্যে ৭৪ জন চীনের উত্তর তিব্বত অংশ দিয়ে মাউন্ট এভারেস্টে আরোহণ করেছিলেন।

১৯৫৩ সালের ২৯ মে নিউজিল্যান্ডের স্যার এডমন্ড হিলারি ও নেপালের শেরপা তেনজিং নোরগে প্রথম মাউন্ট এভারেস্টের চূড়ায় আরোহণ করেন। ব্রিটিশ অভিযাত্রী দলের অংশ হিসেবে তাঁরা এ অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জন করেন। এটি ছিল পর্বতারোহণের ইতিহাসে এক যুগান্তকারী ঘটনা।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

ই–মেইলের জমানায় কদর নেই ডাকবাক্সের 

হলদে খামে ভরা চিঠি, লাল ডাকবাক্স—এখন দেখা যায় না। ডিজিটাল জমানায় ডাকঘরে গিয়ে চিঠি পাঠানো, কিংবা ডাকবাক্সে চিঠি ফেলার দিন ফুরিয়েছে। তার চেয়ে নীল মেসেঞ্জার, সবুজ হোয়াটসঅ্যাপ, নীল টেলিগ্রাম, আর লাল-নীল-সবুজ-হলুদের ই–মেইল বেশি পরিচিত। হয়তো আগামীর শিশুদের সঙ্গে ডাকবাক্সের পরিচয় হবে জাদুঘরে।

পুরান ঢাকার বুড়িগঙ্গা নদীর পাড়ে চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউতে অবস্থিত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়। এখানে এখনো টিকে আছে পোস্ট অফিস। একসময় এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাকবাক্সে দাপ্তরিক চিঠির পাশাপাশি আসত ব্যক্তিগত চিঠিও। এখন আর আগের মতো চিঠি আসে না। তাই মরিচা পড়ে ডাকবাক্সটি তামাটে রং ধারণ করেছে। আগের মতো আর নেই লাল বাক্সের কদর। সদরঘাট পোস্ট অফিসের সাব–পোস্ট অফিস হিসেবে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এ ডাকঘর পরিচালিত হয়। এর পোস্টাল কোড—১১০০। বর্তমানে ডাকঘরটিতে শুধু চিঠিপত্র গ্রহণের কাজ হয়।

পরিবর্তন এসেছে খামের রংয়ে। আগের মতো এখন আর হলুদ খাম ব্যবহার হয় না। বেশির ভাগই বাদামি রংয়ের খাম। নিজস্ব প্রতিষ্ঠানের নাম ও লোগোসংবলিত স্মারকে এখন চিঠি আদান–প্রদান করা হয়।

ডাকঘর সূত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার আগে কলেজ আমল থেকেই এখানে পোস্ট অফিস ও ডাকবাক্সের প্রচলন ছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের (বর্তমান) সামনে আমতলায় পোস্ট অফিসের জন্য একটি রুম বরাদ্দ ছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভবনগুলো সম্প্রসারিত হওয়ায় পরে ইউটিলিটি ভবনের দ্বিতীয় তলার পশ্চিম পাশে একটি কক্ষে পোস্ট অফিসটি স্থানান্তর করা হয়। এখন সেখানে একজন পোস্টমাস্টার এবং চিঠি বিলি করার কাজে নিয়োজিত রয়েছেন একজন ডাকপিয়ন। চিঠিপত্রের বেশির ভাগই বিশ্ববিদ্যালয় ও ব্যাংকিংয়ের দাপ্তরিক কাজের এবং তালাকসংক্রান্ত। মামলা-মোকদ্দমার চিঠি, দাপ্তরিক চিঠি আসত। ব্যক্তিগত চিঠি খুব কম আসে। এ ছাড়া কিছু লোক সরকারি স্ট্যাম্প কিনতে আসেন পোস্ট অফিসে। সকাল নয়টা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত দাপ্তরিক কাজকর্ম চলে এখানে।

পোস্ট অফিসের সাব-পোস্টমাস্টার মোশাররফ হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘বর্তমানে দাপ্তরিক চিঠিপত্র বেশি আসে। মামলা ও তালাকের চিঠিগুলো প্রায়ই ডাকযোগে প্রদান করার কারণে এখানে আসে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকায় যাবতীয় চিঠি ডাকেই পাঠানো হয়। আমাদের এখন আর আগের মতো কর্মব্যস্ত থাকতে হয় না। প্রতিদিন কত চিঠি আসে এবং কত পাঠানো হয়, তা পোস্ট মেশিনের মাধ্যমে জানা যায়। সবাই এখন মেসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপ, টেলিগ্রামে তথ্য আদান-প্রদান করেন। চিঠি পাঠানোর প্রবণতা একাবারেই কম। আগের দিনের মতো চিঠি লিখে ডাকবাক্সে জমা দেওয়ার সেই চিত্র সচরাচর দেখা যায় না।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষায় বদলে যেতে পারে শিক্ষার্থীর জীবন
  • পুরো আসনের ফল বাতিল করতে পারবে ইসি, ফিরছে ‘না’ ভোট 
  • লালমনিরহাটে সাংবাদিকের ওপর হামলার ঘটনায় একজন গ্রেপ্তার
  • মৌচাকে হাসপাতালের পার্কিংয়ে প্রাইভেটকারে ২ মরদেহ 
  • তুরস্কে ভূমিকম্পে একজন নিহত, ধসে পড়েছে ১৬টি ভবন
  • তুরস্কে শক্তিশালী ভূমিকম্পে একজনের মৃত্যু, আহত ২৯
  • অসুস্থ ব্যক্তির জন্য দোয়া কীভাবে করব
  • সবুজবাগে ব্যবসায়ীকে লক্ষ্য করে দুর্বৃত্তের ছোড়া গুলিতে পথচারী আহত
  • দেব আনন্দর স্বপ্ন সেদিন ভেঙে চুরমার হয়ে গিয়েছিল
  • ই–মেইলের জমানায় কদর নেই ডাকবাক্সের