রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মরণে সঞ্চিতা রাখির ‘প্রাণের মানুষ’
Published: 11th, May 2025 GMT
কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬৪তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে জি সিরিজ থেকে প্রকাশিত হয়েছে সংগীতশিল্পী সঞ্চিতা রাখির গাওয়া রবীন্দ্রসংগীত ‘আমার প্রাণের মানুষ আছে প্রাণে’ গান।
সঞ্চিতার গাওয়া রবীন্দ্রনাথের জনপ্রিয় এই গানটির সংগীতায়োজন করেছেন পার্থ পাল। আর চিত্রগ্রহণ, সম্পাদনা ও দৃশ্যায়ন ভাবনায় ছিলেন স্থপতি ধ্রুব জ্যোতি। শব্দগ্রহণে ছিলেন গৌতম বসু।
সংগীতশিল্পী সঞ্চিতা রাখি জানান, এই গানটির ভিডিও ধারণ ও চিত্রায়ন করা হয়েছে ঢাকায়। কবিগুরুর স্মরণে তার জন্মদিনে কোটি কোটি রবীন্দ্রসংগীত প্রেমীদের জন্য এই নিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। পাশাপাশি ইউটিউবেও গানটি পাওয়া যাবে।
সামাজিক বিভিন্ন মাধ্যম ব্যবহার করে রবীন্দ্র জন্মজয়ন্তীতে গান প্রকাশের পাশাপাশি সঞ্চিতা ২৫ শে বৈশাখ উপলক্ষে শিল্পকলা একাডেমী ও যমুনা টেলিভিশন আয়োজিত অনুষ্ঠানেও সংগীত পরিবেশন করেন।
শিল্পী জানান, শ্রোতাদের কাছে নিয়মিত থাকতেই অনলাইন ও ইউটিউব চ্যানেলে নিয়মিত গান প্রকাশ করে যাচ্ছেন তিনি। এ পর্যন্ত তার ইউটিউব চ্যানেল প্রায় অর্ধ শতাধিক গান প্রকাশ করা হয়েছে। এসব গানের চিত্রায়ন করা হয়েছে দেশে–বিদেশে। ইউটিউবে গান প্রকাশের পাশাপাশি বিভিন্ন দিবসকে সামনে রেখে তিনি বিভিন্ন টেলিভিশনের আয়োজনেও গান পরিবেশন করে চলেছেন।
সঞ্চিতা রাখি আরও জানান, রবীন্দ্রসংগীতে তিনি যে শিক্ষা পেয়েছেন গানের মাধ্যমে তার রেশ ছড়িয়ে দিতে চান শ্রোতাদের মাঝে। রবীন্দ্রসংগীতকে কেন্দ্র করেই তিনি তার ভবিষ্যৎ সংগীত জীবনকে আরও সমৃদ্ধ করতে চান।
সংগীত শিল্পী সঞ্চিতা রাখির সংগীতে পথচলা পারিবারিক আবহে শৈশব থেকে। নওগাঁয় জন্ম নেওয়া এই শিল্পীর বাবা রনজিৎ পাল ছিলেন একজন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব। বাবার আগ্রহ ও অনুপ্রেরণায় গানে হাতেখড়ি তার। গানের প্রতি ভালোবাসা ও আকর্ষণ থেকে স্কুল–কলেজের গন্ডি পেরিয়ে ভর্তি হন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শাস্ত্রীয় সংগীত শিক্ষায়। সেখান থেকে স্নাতকোত্তর শেষ করে ভারত সরকারের বৃত্তি নিয়ে রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রথম শ্রেণিতে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন।
এরপর দেশে ফিরে সংগীতের সঙ্গেই শুরু হয় তার পেশাগত জীবন। ছায়ানট সংগীত বিদ্যায়তনে যুক্ত হন গানের শিক্ষক হিসেবে। বর্তমানে তিনি ইংরেজি মাধ্যমের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সানিডেল স্কুলে শিক্ষকতার পাশাপাশি নিয়মিত সংগীত চর্চায় যুক্ত রয়েছেন।
রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী হিসেবে এরই মধ্যে সঞ্চিতা রাখি সরকারি–বেসরকারি রেডিও–টেলিভিশন ও মঞ্চে নিয়মিত বিভিন্ন সংগীত আয়োজনের সঙ্গে যুক্ত।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: রব ন দ র
এছাড়াও পড়ুন:
২০২৬ সালে ব্যাংক বন্ধের তালিকা প্রকাশ
২০২৬ সালে ছুটির তালিকা প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আগামী বছর ব্যাংকগুলোর জন্য ২৮ দিন ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।
রবিবার (১৬ নভেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিপার্টমেন্ট অব অফ-সাইট সুপারভিশন থেকে এই তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে।
নতুন তালিকা অনুযায়ী, আগামী বছর প্রথম সরকারি ছুটির দিন হবে শবে-বরাত উপলক্ষ্যে। ৪ ফেব্রুয়ারি একদিন ব্যাংক বন্ধ থাকবে। ওই মাসে ভাষা শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ২১ ফেব্রুয়ারি ব্যাংক বন্ধ থাকবে। এরপর শবে কদর উপলক্ষে ১৭ মার্চ ব্যাংক বন্ধ থাকবে। জুমাতুল বিদা ও পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ১৯ থেকে ২৩ মার্চ পর্যন্ত পাঁচদিন ব্যাংক বন্ধ থাকবে। এরপর স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে ২৬ মার্চ ব্যাংক বন্ধ থাকবে।
চৈত্র সংক্রান্তি (রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দারবান পার্বত্য জেলার জন্য প্রযোজ্য) ১৩ এপ্রিল ব্যাংক বন্ধ থাকবে। এরপর বাংলা নববর্ষ উপলক্ষ্যে ১৪ এপ্রিল, মে দিবস ও বৌদ্ধপূর্ণিমা উপলক্ষ্যে ১ মে, ২৬ থেকে ৩১ মে পাঁচদিন ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে ব্যাংক বন্ধ থাকবে।
এদিকে, আশুরা উপলক্ষ্যে ২৬ জুন, ১ জুলাই ব্যাংক হলিডে উপলক্ষ্যে একদিন, জুলাই গণঅভ্যুত্থান ৫ আগস্ট, ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষ্যে ২৬ আগস্ট, জন্মাষ্টমী ৪ সেপ্টেম্বর, দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে ২০ ও ২১ অক্টোবর, বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে ১৬ ডিসেম্বর, বড়দিন উপলক্ষ্যে ২৫ ডিসেম্বর ও ব্যাংক হলিডে উপলক্ষ্যে ৩১ ডিসেম্বর ব্যাংক বন্ধ থাকবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিপার্টমেন্ট অব অফ-সাইট সুপারভিশন থেকে বলা হয়েছে, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের চলতি বছরের ৯ নভেম্বর প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী সব তফসিলি ব্যাংকের জন্য এ ছুটি কার্যকর হবে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ ব্যাংকের তালিকায় দেখা গেছে, চলতি বছর দেশের তফসিলি ব্যাংকগুলোর জন্য ছুটি ছিল ২৭ দিন, আগের বছর ব্যাংকগুলোর জন্য ছুটি ছিল ২৪ দিন।
ঢাকা/নাজমুল//