কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬৪তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে জি সিরিজ থেকে প্রকাশিত হয়েছে সংগীতশিল্পী সঞ্চিতা রাখির গাওয়া রবীন্দ্রসংগীত ‘আমার প্রাণের মানুষ আছে প্রাণে’ গান।

সঞ্চিতার গাওয়া রবীন্দ্রনাথের জনপ্রিয় এই গানটির সংগীতায়োজন করেছেন পার্থ পাল। আর চিত্রগ্রহণ, সম্পাদনা ও দৃশ্যায়ন ভাবনায় ছিলেন স্থপতি ধ্রুব জ্যোতি। শব্দগ্রহণে ছিলেন গৌতম বসু।

সংগীতশিল্পী সঞ্চিতা রাখি জানান, এই গানটির ভিডিও ধারণ ও চিত্রায়ন করা হয়েছে ঢাকায়। কবিগুরুর স্মরণে তার জন্মদিনে কোটি কোটি রবীন্দ্রসংগীত প্রেমীদের জন্য এই নিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। পাশাপাশি ইউটিউবেও গানটি পাওয়া যাবে।

সামাজিক বিভিন্ন মাধ্যম ব্যবহার করে রবীন্দ্র জন্মজয়ন্তীতে গান প্রকাশের পাশাপাশি সঞ্চিতা ২৫ শে বৈশাখ উপলক্ষে শিল্পকলা একাডেমী ও যমুনা টেলিভিশন আয়োজিত অনুষ্ঠানেও সংগীত পরিবেশন করেন।

শিল্পী জানান, শ্রোতাদের কাছে নিয়মিত থাকতেই অনলাইন ও ইউটিউব চ্যানেলে নিয়মিত গান প্রকাশ করে যাচ্ছেন তিনি। এ পর্যন্ত তার ইউটিউব চ্যানেল প্রায় অর্ধ শতাধিক গান প্রকাশ করা হয়েছে। এসব গানের চিত্রায়ন করা হয়েছে দেশে–বিদেশে। ইউটিউবে গান প্রকাশের পাশাপাশি বিভিন্ন দিবসকে সামনে রেখে তিনি বিভিন্ন টেলিভিশনের আয়োজনেও গান পরিবেশন করে চলেছেন।

সঞ্চিতা রাখি আরও জানান, রবীন্দ্রসংগীতে তিনি যে শিক্ষা পেয়েছেন গানের মাধ্যমে তার রেশ ছড়িয়ে দিতে চান শ্রোতাদের মাঝে। রবীন্দ্রসংগীতকে কেন্দ্র করেই তিনি তার ভবিষ্যৎ সংগীত জীবনকে আরও সমৃদ্ধ করতে চান।

সংগীত শিল্পী সঞ্চিতা রাখির সংগীতে পথচলা পারিবারিক আবহে শৈশব থেকে। নওগাঁয় জন্ম নেওয়া এই শিল্পীর বাবা রনজিৎ পাল ছিলেন একজন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব। বাবার আগ্রহ ও অনুপ্রেরণায় গানে হাতেখড়ি তার। গানের প্রতি ভালোবাসা ও আকর্ষণ থেকে স্কুল–কলেজের গন্ডি পেরিয়ে ভর্তি হন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শাস্ত্রীয় সংগীত শিক্ষায়। সেখান থেকে স্নাতকোত্তর শেষ করে ভারত সরকারের বৃত্তি নিয়ে রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রথম শ্রেণিতে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। 

এরপর দেশে ফিরে সংগীতের সঙ্গেই শুরু হয় তার পেশাগত জীবন। ছায়ানট সংগীত বিদ্যায়তনে যুক্ত হন গানের শিক্ষক হিসেবে। বর্তমানে তিনি ইংরেজি মাধ্যমের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সানিডেল স্কুলে শিক্ষকতার পাশাপাশি নিয়মিত সংগীত চর্চায় যুক্ত রয়েছেন।

রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী হিসেবে এরই মধ্যে সঞ্চিতা রাখি সরকারি–বেসরকারি রেডিও–টেলিভিশন ও মঞ্চে নিয়মিত বিভিন্ন সংগীত আয়োজনের সঙ্গে যুক্ত।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: রব ন দ র

এছাড়াও পড়ুন:

দেশে ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর মানুষের ভবিষৎ এখনো অনিশ্চয়তা, শঙ্কায় ভরা: সন্তু লারমা

আজকের এ বাংলাদেশে ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর মানুষের ভবিষৎ এখনো অনিশ্চয়তা ও শঙ্কায় ভরা বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের সভাপতি জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় (সন্তু) লারমা।

সন্তু লারমা বলেছেন, ‘দেশের পাহাড় ও সমতলের অধিকাংশ জনগণ এখনো অস্তিত্ব হুমকির মধ্যে দিন যাপন করছে। জুলাই অভ্যুত্থানের পর চলমান সংস্কার কার্যক্রমে ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর কার্যকর কোনো সংগঠন বা নেতৃত্বের সঙ্গে সংলাপের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেনি অন্তর্বর্তী সরকার।’

আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবস ২০২৫ উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় লিখিত বক্তব্যে সন্তু লারমা এসব কথা বলেন। আজ শনিবার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এ সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরাম।

অসুস্থতার কারণে সন্তু লারমা সভায় উপস্থিত থাকতে পারেননি। তাঁর পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন আদিবাসী ফোরামের নির্বাহী সদস্য পল্লব চাকমা।

লিখিত বক্তব্যে সন্তু লারমা বলেন, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন হওয়া দেশে তাঁরা ক্রমশ ভূমিহীন ও দেশান্তরি হচ্ছেন। পাহাড়ের ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর সমস্যা সমাধানে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি ২৮ বছরেও কার্যকর করছে না এ রাষ্ট্র। ফলে পাহাড়ে বিদ্যমান সমস্যার নানা রূপ প্রতিফলিত হচ্ছে।

সমতলের ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর মানুষের পরিস্থিতি আরও বেশি নাজুক উল্লেখ করে সন্তু লারমা বলেন, ‘ভূমি থেকে উচ্ছেদ, নারী নিপীড়ন, বৈষম্য, বিচারহীনতা—এসবের মাধ্যমে প্রান্তিক থেকে আরও প্রান্তিক হচ্ছেন ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর মানুষেরা।’

এমন বাস্তবতায় প্রগতিশীল ও অসাম্প্রদায়িক চিন্তাধারার বাংলাদেশের আপামর নাগরিক সমাজ, বুদ্ধিজীবী, শিক্ষক, সাংবাদিক, মানবাধিকারকর্মী, রাজনৈতিক নেতাসহ সবাইকে ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর অস্তিত্ব রক্ষার সংগ্রাম জোরদারে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান সন্তু লারমা।

দেশে বসবাসকারী ৪০ লাখের বেশি ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর মানুষের টিকে থাকার লড়াইকে শাণিত এবং তাঁদের ঐক্য ও সংহতি সুদৃঢ় করতে তরুণদের অধিকতর ভূমিকা নিয়ে এগিয়ে আসারও আহ্বান জানান সন্তু লারমা।

সন্তু লারমা বলেন, আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকারের লড়াই ও সংগ্রাম বেগবান করা এবং গণতান্ত্রিক, অসাম্প্রদায়িক ও শোষণমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে প্রগতিশীল আদর্শের কোনো বিকল্প নেই।

আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবস উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানিয়ে সন্তু লারমা বলেন, এ দিবস প্রতিবছরের মতো তাঁদের তরুণ সমাজ ও জনগণকে নবতর সংগ্রামে অংশগ্রহণের জন্য অনুপ্রেরণা জোগাবে।

আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবস ২০২৫ উপলক্ষে আজ শনিবার রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে একটি মিছিল বের করেন ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর লোকজন

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • শিক্ষকদের কষ্টের কথা বলার জায়গা কম, শোনার লোকও নেই
  • যুব দিবসে সম্মাননা পাচ্ছেন ২০ তরুণ
  • শিক্ষকেরা সম্মানিত হলেই সমাজ ও রাষ্ট্র এগিয়ে যাবে
  • মাহবুব আলী খানের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে মহানগর ছাত্রদলের দোয়া মাহফিল
  • এনসিপির নেতা-কর্মীরা ‘মিডিয়া ট্রায়ালের’ শিকার হচ্ছেন: তরিকুল ইসলাম
  • ‘দেশের কোনো সরকার ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর অধিকারের স্বীকৃতি দেয়নি’
  • দেশে ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর মানুষের ভবিষৎ এখনো অনিশ্চয়তা, শঙ্কায় ভরা: সন্তু লারমা
  • দেশের বিভিন্ন স্থানে বিশ্ব আদিবাসী দিবস পালন
  • আদিবাসী দিবস উপলক্ষে শেওড়াপাড়ায় পাহাড়ি নারী উদ্যোক্তাদের পণ্যমেলা