হঠাৎ ছুটিতে পাকিস্তানের হাইকমিশনার, নানান জল্পনা
Published: 13th, May 2025 GMT
হঠাৎ করেই ছুটিতে গেলেন ঢাকায় নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার সৈয়দ আহমেদ মারুফ।
১১ মে সকালে দুবাই হয়ে ইসলামাবাদ যাত্রার জন্য আহমেদ মারুফ ঢাকা ছেড়ে গেছেন। সেদিনই পাকিস্তান হাইকমিশন বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে আহমেদ মারুফের ঢাকায় অনুপস্থিতির বিষয়টি জানায়। আজ মঙ্গলবার সকালে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা প্রথম আলোকে এই তথ্য জানিয়েছেন।
সাধারণত একজন রাষ্ট্রদূত কোনো দেশে দায়িত্ব পালনের সময় ছুটিতে গেলে স্বাগতিক দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে অবহিত করা হয়। রাষ্ট্রদূত কত দিন ছুটিতে থাকবেন, তাঁর অনুপস্থিতিতে কে ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পালন করবেন, সেটিও আনুষ্ঠানিকভাবে জানাতে হয়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা এই প্রতিবেদককে বলেন, আহমেদ মারুফ ১১ মে থেকে ছুটিতে থাকবেন বলে জানানো হয়েছে। বলা হয়েছে, তিনি বাংলাদেশের বাইরে থাকার সময়টাতে ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন ঢাকায় নিযুক্ত পাকিস্তানের উপহাইকমিশনার মুহাম্মদ আসিফ। তখন পাকিস্তান হাইকমিশনের কাছে জানতে চাওয়া হয়, আহমেদ মারুফ কত দিন ছুটিতে থাকবেন, তা কিন্তু উল্লেখ করা হয়নি। এরপর পাকিস্তান হাইকমিশন অনানুষ্ঠানিকভাবে জানায়, দুই সপ্তাহের ছুটিতে থাকবেন আহমেদ মারুফ।
ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটে। ৫ আগস্টের পর ঢাকা-ইসলামাবাদ সম্পর্কে গতি আনার বিষয়ে ‘অত্যন্ত সক্রিয়’ ভূমিকায় আহমেদ মারুফকে দেখা যায়। অন্তর্বর্তী সরকারের বিভিন্ন উপদেষ্টাদের পাশাপাশি সরকারি-বেসরকারি নানা পর্যায়ে তিনি নিয়মিত বৈঠক করে আসছিলেন। পাকিস্তানের পররাষ্ট্রসচিবসহ বিভিন্ন সফর আয়োজনে তিনি সক্রিয় ভূমিকা রাখেন। গত ৯ মাসে আহমেদ মারুফ চষে বেড়িয়েছেন বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা। সবশেষ তিনি গত ৯ মে কক্সবাজার সফর করেন। ‘অতি সক্রিয়’ এই কূটনীতিকের হঠাৎ ছুটিতে যাওয়া নিয়ে ‘রহস্য’ তৈরি হয়েছে। এ নিয়ে নানান জল্পনা চলছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও।
আহমেদ মারুফ ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে ঢাকায় পাকিস্তানের হাইকমিশনার হিসেবে কাজ শুরু করেন।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: আহম দ ম র ফ সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
২ জনের যাবজ্জীবন, বাকিদের ১০ বছর কারাদণ্ড
রমনা বটমূলে বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে বোমা হামলা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মাওলানা তাজ উদ্দিন ও জুয়েলকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন হাইকোর্ট। সাজাপ্রাপ্ত অন্য আসামিদের ১০ বছর করে সাজা দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৩ মে) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি নাসরিন আক্তারের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।
রায়ে ৯ আসামির সাজা কমিয়ে ১০ বছর করে কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
২০০১ সালের ১৪ এপ্রিল রমনা বটমূলে ছায়ানটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে বোমা হামলা চালানো হয়। হামলায় ঘটনাস্থলেই ৯ জনের মৃত্যু হয়। পরে হাসপাতালে মারা যান একজন।
এ ঘটনায় নীলক্ষেত পুলিশ ফাঁড়ির সার্জেন্ট অমল চন্দ্র চন্দ ওই দিনই রমনা থানায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা করেন। সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে ২০১৪ সালের ২৩ জুন বিচারিক আদালত হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করেন। এরপর ডেথ রেফারেন্স এবং আসামিদের জেল আপিল ও ফৌজদারি আপিলের শুনানির জন্য মামলাটি হাইকোর্টে আসে।
ঢাকা/মামুন/সাইফ