‘বাংলাদেশ রিপাবলিক পার্টি’ নামে নতুন দলের আত্মপ্রকাশ হতে যাচ্ছে
Published: 13th, May 2025 GMT
‘সবার উপরে দেশ’ স্লোগান নিয়ে ‘বাংলাদেশ রিপাবলিক পার্টি’ নামে একটি নতুন রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ হতে যাচ্ছে।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির আত্মপ্রকাশের বিষয়ে জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, সাবেক সামরিক কর্মকর্তা, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, শিক্ষক, আইনজীবীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার দেশপ্রেমিক নাগরিকদের উদ্যোগে এ রাজনৈতিক দল আগামী জুন মাসের মাঝামাঝি সময়ে আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মপ্রকাশ করবে।
সংবাদ সম্মেলনে আত্মপ্রকাশ হতে যাওয়া দলটির পক্ষ থেকে লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মো.
মেহেদী হাসান আরও বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও প্রচলিত রাজনৈতিক দলগুলো ‘জুলাই বিপ্লবের মূল চেতনা’ থেকে সরে এসেছে। এতে পলাতক ফ্যাসিস্টদের লাল পাসপোর্ট নিয়ে দেশ ত্যাগ, শহীদদের পরিবারের প্রতি অবহেলা, আহতদের পুনর্বাসনের ঘাটতি এবং চিহ্নিত দোষীদের রাজনৈতিক পুনর্বাসনের চেষ্টা করা হচ্ছে।
ক্যাপ্টেন মো. শফিকুর ইসলাম (অব.) বলেন, ‘নতুন দলের উদ্দেশ্য হচ্ছে, এটি ক্ষমতার লোভ নয়, বরং সুশাসন, ন্যায়বিচার ও জনকল্যাণ প্রতিষ্ঠার জন্যই কাজ করবে। রাজনীতিকে ব্যবসা নয়, বরং পবিত্র দায়িত্ব হিসেবে তুলে ধরতে চাই আমরা। রাজনীতি মানে অনেকের কাছে চাঁদাবাজি, দুর্নীতি, অপকর্মে জড়িত হওয়ার অন্যতম মাধ্যম। আমরা সেসব থেকে ভিন্ন কিছু করতে চাই। আমাদের এখানে কোনো অসৎ লোকের স্থান হবে না।’
সংবাদ সম্মেলনে জনকল্যাণকেন্দ্রিক সেল গঠনের কথাও জানানো হয়েছে। বলা হয়, নতুন এই রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্মের আত্মপ্রকাশের সঙ্গে সঙ্গেই বিভিন্ন জনকল্যাণমুখী সেল, যেমন নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতকরণ সেল, স্বাস্থ্য সুরক্ষা সেল, নিরাপত্তা ও আইনি সহায়তাবিষয়ক সেল, কৃষি, মৎস্য ও ভেটেরিনারি সেল, শিক্ষা সেল, মিডিয়া ও সাংস্কৃতিক সেল, যুব উন্নয়ন ও দারিদ্র্য বিমোচন সেল, নারী ও শিশুবিষয়ক সেল, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সম্পর্কবিষয়ক সেল ইত্যাদি।
সমর্থনের আহ্বান জানিয়ে দলটির এ উদ্যোগে অংশ নিতে চিকিৎসক, প্রকৌশলী, শিক্ষক, সাবেক সামরিক কর্মকর্তা, সাংবাদিক, কৃষিজীবীসহ দেশের সব শ্রেণি-পেশার দেশপ্রেমিক নাগরিকদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র জন ত ক
এছাড়াও পড়ুন:
পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসা ভিনগ্রহের বস্তু নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে ইলন মাস্ক
গত জুলাই মাসে শনাক্ত হওয়া রহস্যময় ‘৩আই/অ্যাটলাস’ নামের আন্তনাক্ষত্রিক বস্তুর পরিচয় নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে বিজ্ঞানীদের মধ্যে। আমাদের সৌরজগতের মধ্যে থাকা বস্তুটি এমন আচরণ করছে, যা বিজ্ঞানীরা আগে কখনো দেখেননি। কারও ধারণা এটি ধূমকেতু, আবার কারও মতে ভিনগ্রহ থেকে আসা মহাকাশযান। উৎস ও পরিচয় সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানাতে না পারলেও বস্তুটি পৃথিবীর জন্য কোনো হুমকি নয় বলে ধারণা করছে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। তবে যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের খ্যাতনামা জ্যোতির্বিজ্ঞানী অভি লোব অভিযোগ করেছেন, নাসা বস্তুটির বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য গোপন করছে। বিশাল আকারের অতিদ্রুতগামী মহাজাগতিক বস্তুটি অস্বাভাবিক রাসায়নিক উপাদান নিঃসরণ করছে, যা বিজ্ঞানের প্রচলিত ধারণাকে চ্যালেঞ্জ করছে। অনেকের ধারণা, ৩আই/অ্যাটলাস কোনো কৃত্রিম উৎস থেকে তৈরি হতে পারে। এবার এই বিতর্কে নাম লিখিয়েছেন মহাকাশ সংস্থা স্পেসএক্সের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ইলন মাস্ক।
জনপ্রিয় মার্কিন পডকাস্ট দ্য জো রোগান এক্সপেরিয়েন্সে ইলন মাস্ক ৩আই/অ্যাটলাস নামের আন্তনাক্ষত্রিক বস্তু সম্পর্কে নিজের ভাবনা প্রকাশ করেছেন। বস্তুটি কোনো ভিনগ্রহের মহাকাশযান হতে পারে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে ইলন মাস্ক বলেন, ‘আপনি যদি এটিকে সম্পূর্ণ নিকেল দিয়ে তৈরি করেন, তবে তা হবে একটি অত্যন্ত ভারী মহাকাশযান। এটি এমন একটি যান হতে পারে, যা একটি মহাদেশকে নিশ্চিহ্ন করে দিতে পারে। তার চেয়েও খারাপ কিছু ঘটাতে পারে। যদি আমি ভিনগ্রহের কোনো প্রমাণ সম্পর্কে জানতে পারি, তাহলে কথা দিচ্ছি আপনার অনুষ্ঠানে আসব। আর এখানেই তা প্রকাশ করব।’
অভি লোবের দাবি, আন্তনাক্ষত্রিক বস্তুটি পৃথিবীর ওপর নজরদারি করতে পাঠানো ভিনগ্রহের কোনো মহাকাশযান হতে পারে। অস্বাভাবিক লেজযুক্ত বস্তুটি প্রতি সেকেন্ডে চার গ্রাম নিকেল নিঃসরণ করছে; যদিও সেখানে কোনো লোহার উপস্থিতি নেই। ধূমকেতুর ক্ষেত্রে এমন আচরণ আগে দেখা যায়নি।
জো রোগান তাঁর আলোচনায় ধূমকেতুর রহস্যময় বৈশিষ্ট্যের ওপর জোর দেন। ধূমকেতুর গ্যাসের মেঘে নিকেলের উপস্থিতি উল্লেখ করেন। এই ধাতু পৃথিবীতে প্রধানত শিল্পক্ষেত্রে ব্যবহৃত সংকর ধাতুতে পাওয়া যায়। অন্যদিকে ইলন মাস্ক নিকেলের উপস্থিতির একটি পার্থিব ব্যাখ্যা দেন। তিনি বলেন, অনেক ধূমকেতু ও গ্রহাণু প্রাথমিকভাবে নিকেল দিয়ে তৈরি। পৃথিবীতে যেখানে নিকেলখনি দেখা যায়, সেখানে আসলে অতীতে নিকেলসমৃদ্ধ কোনো গ্রহাণু বা ধূমকেতু আঘাত করেছিল।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া